" জয়ীতা"
কত কষ্টে মেঘ কেটে সেদিন উঠেছিল পূর্নিমা চাঁদ। অমানিশা আঁধারে মুখ লুকিয়ে
কেঁদেছিলো সোনালী প্রভাত।
তুমি কেমন করে যেন বেমালুম
ভুলে গেছ সব। রাতজাগা মধুর
সে অনূভুতি, জোনাক পোকার আলো আঁধারীর সব রোমান্টিক কারুকাজ।
পাখিদের কলকাকলী, মধুর সে উৎসব।
তুমি কি অনূভব করতে পার,
আমার হ্রদয় ভাঙ্গার গান?
কান পেতে শুনতে পাও, আমার
স্বপ্ন ভাঙ্গার বেদনা? না জানি কোন
স্পর্শ কাতর অনুভূতি মাঝেমধ্যে এখনো ভুলিয়ে দেয় আমার
সকল কান্না।
স্বপ্নের হাত ধরে কত রাত
কেঁদে কেঁদে হয়েছিলো ভোর।
হ্রদয় ভাঙ্গার শব্দ শুনেও
নাওনি তো খোঁজ।
ইদানীং এসব নিয়ে আর ভাবি না,
মন খারাপ ও হয়না আমার।
মনটাও বুঝে গেছে, অভিমান ভাঙ্গানোর কেউ নেই আর।
শরীর জানিয়ে দেয়, খেয়ে নাও,
কেউ তোমার জন্য অপেক্ষায়
নেই। কেউ এসে দরজা খুলবে, সেটা ও নেই। তাই,
লক্ষভ্রষ্ট হইনা এখন, কারণ
আজ যে আমি চিনে ফেলেছি
নিজেকে। জয়ী হওয়ার অভিনয়ে
এখন প্রচন্ড পারদর্শী আমি।
দু:খ কষ্টরা তাই পথভ্রষ্ট করেনা আমায়। অতীত স্মৃতিরা এলোমেলো
বিচরণ করে আমার দরজায়।
কে এলো, কে গেলো, আমার
কিচ্ছু যায় আসেনা। কেউ আবার
ভালো না বাসলেও মন থেকে
একেবারে মুছে ফেলি না।
লোকে যদি মন্দ বলে আমায়,
বলুক না তবে, কি এসে যায়?
শিখে গেছি আমি, নিজেকেই
কি করে গভীর মনোযোগে
ভালোবাসতে হয়।
--------------
জিনাত নাজিয়া
20.8.23.
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০