এখন অনেক রাত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আইপ্যাডে নিউজ পড়ছিলাম আর সেহরির অপেক্ষা করছি। মাগুরার ছোট্ট শিশুটির হাসপাতালে জীবন-মরন যুদ্ধের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছিলাম। মন থেকে চাইছিলাম মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাক।
আমার সে আশা পূরণ হয়নি, ছোট্ট শরীরে ঘৃণ্য পশুর থাবার আঘাত নিয়ে বারবার কার্ডিয়্যাক এ্যারেস্ট করতে করতে মেয়েটি শেষ পর্যন্ত চলেই গেল চির নবান্নের দেশে। যাক, অন্তত ওখানে আর কেউ ওকে খাবলে খেতে আসবে না। এক দিকে ভালোই হয়েছে, এই নষ্ট দেশ, সমাজ আর অসভ্যতার মাঝে বেঁচে না থেকে ও বিদায় নিয়েছে। যাবার আগে ওর ছোট্ট বুকে যে ধিক্কার ও অভিমান নিয়ে গেল তা অভিশাপ হয়ে আসবে বার বার আমাদের জীবনে। এটাই আমাদের পাওনা ছিলো। আসুক, অভিশাপে বিলীন হয়ে যাক সবকিছু। প্রচণ্ড বানের তোড়ে ভেসে যাক এই দেশ, ঘূর্ণিঝড়ের প্রলয়ে চুরমার হোক সবার ঘর-বাড়ি, অন্তত নষ্ট মানুষগুলো কু-কীর্তি করার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের প্রাণ নিয়ে দৌড়ের উপর থাকুক। এটাই আমাদের প্রাপ্য।
যেখানেই থাকিস না কেন, মা'মনি পারলে আমাদের ক্ষমা করে দিস। ক্ষমার যোগ্য আমরা নই, তবুও নতজানু হয়ে বার বার ক্ষমা চাইতেই থাকি তোর কাছে। ওপারে অনেক ভালো থাকিস মা'মনি।
১. ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪ ১