কয়েকদিন হল আমার বান্ধবী নুসরাতের সাথে তার নানার বাড়ি বেড়াতে এসেছি। নুসরাতের মামার বিয়ে। বিরাট আয়োজন করেছেন ওর নানা। সারা বাড়িতে আত্মীয় স্বজন গিজ গিজ করছে। সারাদিন গান বাজনা আর হৈ-হুল্লোড় করে দারুন কাটছে সময়টা। কিন্তু এর মধ্যে আমার জীবনে ঘটে চলেছে অন্য রকম একটা ঘটনা।
ছেলেটিকে প্রতিদিনই দেখছি। নুসরাতের কাজিন, ইমরান। লন্ডন থেকে লেখাপড়া শেষ করে ফিরেছে। নুসরাত পরিচয় করিয়ে দেবার পর হাই-হ্যালো টাইপের দু-একটা কথা হয়েছে কেবল। তারপর আর কথা হয়নি। কিন্তু সারাদিনে বেশ কয়েকবার চোখা-চোখি হয় তার সাথে। প্রথমদিকে ব্যাপারটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু দুদিন না যেতেই আমি আবিষ্কার করলাম, আমি ইচ্ছে করেই ছেলেটির দিকে তাকাচ্ছি। এক মুহূর্ত তাকে না দেখলেই কেমন যেন লাগে! মাঝে মাঝে মনে হয় ছেলেটিও বুঝি আমার অলক্ষে আমাকে দেখে। কিন্তু তার চোখে তাকাতেই দেখি সে অন্য কিছু দেখছে। নিজেকে লুকানোর চেষ্টা নয় তো? আমার মধ্যে তাকে আকর্ষণ করার মত তেমন কিছু নেই। আমি আর দশজন সাধারন বাঙ্গালী মেয়েদের মত লাজুক প্রকৃতির। এ যুগের মডার্ন মেয়েদের মত মনের কথা অবলীলায় বলে দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। ছেলেটি যদি আমাকে পছন্দ করে থাকে তাহলে সাহস করে কিছু একটা বলে দিলেই তো পারে! না না, কি ভাবছি এসব? বোধহয় আমারই ভুল। ছেলেটি আমাকে পছন্দ করবে কেন?
গতরাতে আয়নায় নিজেকে ভালভাবে দেখলাম। আমি বোধহয় দেখতে তেমন একটা ভাল না। খুব বেশি সাজগোজও করিনা, সালোয়ার কামিজ ছাড়া অন্য কিছু পরিনা। নাহ! লন্ডনফেরত একজন আধুনিক যুবকের মন জয় করার মত কোনও গুনই আমার নেই। কিন্তু ছেলেটিকে দেখুন! কি সুদর্শন! মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুল। চুলগুলো বাতাসের ঝাপটায় এলোমেলো হয়ে কপালে ছড়িয়ে পড়ে। ছেলেটা হাত দিয়ে চুলগুলো আবার পেছনের দিকে উলটে নেয়। আমার ভীষণ ভাল লাগে দেখতে। সবচেয়ে সুন্দর লাগে তার হাসিটা। সুন্দর একটা শব্দ করে হাসে, প্রান খোলা হাসি। লম্বায় আমার চেয়ে ৩-৪ ইঞ্চি বেশি, বয়সেও তাই হবে। আমরা পারফেক্ট জুটি হতে পারতাম। কিন্তু আমার তো তার পাশে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। আজকাল নুসরাতের দিকে তাকালেও লজ্জা পাই। ও বুঝে ফেলেছে আমার ইমরানের প্রতি দুর্বলতার কথা।
আজ বৌ-ভাত। বাড়িতে প্যান্ডেল সাজানো হচ্ছে। সবাই আমরা টুক টাক কাজ করছি। কিন্তু কাজের ফাকে ঠিকই সুযোগ করে ইমরানকে দেখছি। এ বাড়িতে বোধহয় আজই শেষ দিন। আর কখনো ইমরানের সাথে দেখা হবেনা। আমি ভাবতেই পারছি না! হঠাৎ আমার কি যেন হল। নিজেকে প্রস্তুত করে নিলাম। আজই কথা বলব ওর সাথে। মনের কথা গুলো বলব। চাইলে আমাকে খারাপ মেয়ে ভাবুক, চাইলে সস্তা মেয়ে ভাবুক। কিচ্ছু আসে যায়না। কথা আমাকে বলতেই হবে। কিন্তু এত মানুষের মাঝে কথা বলব কেমন করে? একটা প্লান করলাম। কাগজে আমার মোবাইল নম্বরটা লিখলাম। তারপর নুসরাতকে বললাম, “আমার একটা কাজ করে দিবি?” নুসরাত জিজ্ঞেস করল, “কি কাজ?” আমি আমতা আমতা করে বললাম, “এই.... এই কাগজে আমার মোবাইল নম্বর লিখে দিয়েছি। তোর ভাইকে বল......আমাকে এখনই একটা ফোন দিতে, জরুরী কথা বলব”।
নুসরাত হাসল, যেন জানত আমি এমনই একটা অনুরধ করতে যাচ্ছি। ওর হাতে কাগজ ধরিয়ে দিয়ে রুমে চলে এলাম। দারুন উত্তেজিত লাগছে, সেই সাথে লজ্জাও। এমন কাজ করার সাহস আমি কোথায় পেলাম! ছেলেটি আমার কাছে ফোন করলে কি বলব তা মনে মনে সাজিয়ে নিলাম।
অনেক সময় পেরিয়ে গেল। কিন্তু কাঙ্খিত ফোনটি এলনা। আমি ফোন করলাম নুসরাতকে, “কিরে তুই নম্বরতা দিস নি?” নুসরাত বলল, “দিয়েছি তো!” আমি অবাক হলাম। ১০ মিনিট হয়ে গেছে, এখনও ছেলেটা ফোন দিচ্ছে না কেন? ও নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে কেন ফোন করতে বলেছি। উত্তর জদি “না” হয়, তবে কল করে “না” বলে দিলেও তো পারে! আমি অপেক্ষা করছি। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা চলে গেল! কেন ফোন করলে না ইমরান? আমি কি এতই ফেলনা? একবার একটা কল করার যোগ্য আমাকে ভাবলে না? আমি এখন কেমন করে তোমাকে মুখ দেখাব? এ লজ্জা আমি কোথায় রাখি? বালিশে মুখ ঢেকে কিছুক্ষন ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাদলাম। তার পর চোখ মুছে নিজেকে সামলে নিলাম। এই অপমানের পর আর এখানে থাকা যায়না। আমি কাপড় চোপড় গোছাতে লাগলাম। আজই চলে যাব।
***
তোমার কথাঃ
অনেক ছোট থাকতে চাচার হাত ধরে লন্ডন পাড়ি দিয়েছিলাম। দেশে ফিরলাম একেবারে গ্রাজুয়েশন শেষ করে। ফেরার পর মুহূর্ত থেকেই মনে হচ্ছে, ইস! এতদিন কি মিস করেছি! ইউরোপের যান্ত্রিক জীবন বাবস্থার মাঝে থাকতে থাকতে হাপিয়ে উঠে ছিলাম। ভেবেছিলাম লন্ডনেই নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করব। কিন্তু দেশে ফিরেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললাম। এখানেই বাকি জীবনটা কাটাতে চাই, এটাই যে আমার আসল ঠিকানা। কিন্তু সুন্দরভাবে জীবনটাকে সাজানোর জন্য প্রয়োজন একজন সঙ্গীর, প্রয়োজন একজন কাছের মানুষের। তাই জীবনে পরম আপন একজনের আগমনের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই তাকে দেখলাম।
আমার কাজিন নুসরাতের বান্ধবী, রুমকি! নামটা যেমন সুন্দর মেয়েটিও ঠিক তাই। প্রথম দেখাতেই মনে হল আমার এত দিনের অপেক্ষা শুধু তার জন্য। তার আচার-আচরন, কথা-বার্তা, পোশাক-আশাক সব কিছুই আমার কাছে দারুন লাগে। যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। কিন্তু মেয়েটি সারাক্ষন তার চারিপাশে কেমন যেন একটা অদৃশ্য প্রাচির তুলে রেখেছে। কাছাকাছি হওয়ার বা কথা বলার সুযোগই পাচ্ছিনা। বুঝাই যাচ্ছে মেয়েটি একটু রক্ষণশীল। অনেকদিন বাইরে থাকার কারনে বাংলাদেশি কালচারটা আমার কাছে একটু অচেনাই রয়ে গেছে। কিভাবে অ্যাপ্রচ করলে রুমকির কাছে ভাল লাগবে সেটা বুঝতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি। আমি অবশ্য মেয়েটিকে বুঝতে দিচ্ছি না যে আমি তার জন্য দুর্বল হয়ে পড়েছি। বলা যায়না, মেয়েটা হয়ত ব্যাপারটা ভাল ভাবে নাও নিতে পারে। তাই দূর থেকে দেখছি আর ভিতরে ভিতরে ব্যাকুল হয়ে আছি। রুমকির অলক্ষে তার দিকে সারাক্ষন তাকিয়ে থাকি। কখনো চোখাচোখি হলেই ভান করি যেন অন্য কিছু দেখছি। কিন্তু এভাবে আর কতক্ষন?
ইতিমধ্যে আমার কাজিন নুসরাত বুঝতে পেরছে আমি তার বান্ধবীকে নিয়ে ভাবছি। মেয়েটির মধ্যে কি যেন একটা আছে, সব কিছু বুঝে ফেলে। আজ বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান। হয়ত আজই এ বাড়িতে আমার শেষ দিন। যা করার আজই করতে হবে। আর সময় পাওয়া যাবেনা। এখন বাড়িতে প্যান্ডেল সাজানো চলছে। আমরা সবাই তদারকির কাজ করছি। দূর থেকে দেখছি রুমকিও নুসরাতের সাথে টুকটাক কাজে হাত লাগাচ্ছে। সুযোগ খুজছি আমি। কিন্তু রুমকি হঠাৎ নুসরাতের কাছে কি যেন একটা বলে বাড়ির ভেতর চলে গেল। কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। কিন্তু আর আসছে না। আমার ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেল। একটা কাগজ যোগাড় করলাম। লিখলাম, “রুমকি, তোমাকে আমার কিছু জরুরী কথা বলার আছে। প্লিজ বাড়ির পেছনের পুকুর ঘাটে আসো। আমি অপেক্ষা করছি”।
আমি এগিয়ে গেলাম নুসরাতের কাছে। আমার একটা হেল্প করবে নুসরাত? নুসরাত বোধহয় অবাক হল, কি কাজ ইমরান ভাই? আমি আস্তে করে বললাম, এই কাগজটা তোমার বান্ধবীকে দেও এখনই। নুসরাত মুখ টিপে হাসল। ঠিক আছে ভাইয়া, দিচ্ছি। আমি ওর হাতে কাগজটা ধরিয়ে দিয়ে সোজা হাটা দিলাম। পুকুর পাড়ে গিয়ে বসলাম। মনটা একটু হালকা লাগছে। কিভাবে কি বলব সেটা ঠিক করতে লাগলাম।
প্রায় ১০মিনিট পার হয়ে গেল, কিন্তু রুমকির আসার কোনও লক্ষন দেখছিনা! আমি ফোন দিলাম নুসরাতের কাছে। “কি ব্যাপার? তোমার বান্ধবীকে কাগজটা দেওনি?” নুসরাতের উত্তর, “হ্যাঁ ভাইয়া! অনেক আগেই তো দিয়েছি!” আমি অবাক হলাম, এখনও আসছেনা কেন? মেয়েটি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে আমি কি বলার জন্য ডেকেছি। যদি তার উত্তর “না” হয়, সেটা বলে দেয়ার জন্যও তো আসতে পারে! আমি আরও অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। মেয়েটি আসল না। আমি এমনভাবে কারো কাছে অপমানিত হব তা কখনো ভাবতেই পারিনি। এই ঘটনার পর আমি নুসরাত আর ওর বান্ধবীর সামনে মুখ দেখাব কিভাবে? আমার খুব খারাপ লাগছে। কেন এভাবে অপমান করলে আমাকে রুমকি? একবারের জন্য একটু আসতে পারলে না? যা বলার তা সামনেই বলে দিতে! আজই আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। নাহ, এই দেশে আর থাকবনা। আবার লন্ডন চলে যাব। সেখানে আর যাই হোক, এভাবে কাউকে অপমান করা হয়না!
***
একটি প্রাচিরের কথাঃ
ইদানিং জীবনটা খুব একঘেয়ে লাগে। এইযে হাসছি-ঘুরছি, খাচ্ছি-ঘুমচ্ছি এই সবই যেন একটা নির্দিষ্ট নিয়মে বাঁধা! এর বাইরে কি জীবনে কিছুই করার নেই? আমার জীবনে নতুণত্বের প্রয়োজন। আমি এমন কিছু করতে চাই যা কখনো করিনি। আমি এমন কোনও খেলা খেলতে চাই যা কখনো খেলিনি। মাঝে মাঝে এসব চিন্তা করতে করতে আমার তালগোল পাকিয়ে যায়। তখন হাতের কাছে যা পাই তাই ভাঙতে শুরু করি। সবাই আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। বলে কিছু হয়নি, সব ঠিক আছে। কিন্তু আমি জানি কিছুই ঠিক নেই। ভেতরে ভেতরে আমি ভীষণ অসুস্থ। এটা কোনও শারীরিক রোগ নয়।
এভাবে জীবনযাপনে আমি যখন হতাশ হয়ে পরছিলাম, ঠিক তখনই আমার এই অর্থহীন জীবনে দারুন এক অর্থ হয়ে এলো ইমরান। ওকে দেখার পর থেকে সারাক্ষন শুধু ওকে নিয়েই ভাবছি। আমার পাগলামী কমে গেল। এর মধ্যে মামার বিয়ে ঠিক হল। আমি সাধারণত যেকোনো অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলি। মানুষের ভিড় আমার পছন্দ নয়। কিন্তু ইমরান আসছে যেনে আর না এসে পারলাম না। সাথে নিয়ে আসলাম আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবী রুমকিকে।
কিন্তু ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি রুমকিকে সাথে আনাটা হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। প্রথমদিন পরিচয় করিয়ে দেবার পরই আমি ইমরানের চোখে দেখলাম রুমকির জন্য গভীর অনুরাগ। প্রথমদিকে রুমকিকে এ বিষয়ে কিছুটা উদাসীন মনে হচ্ছিল। কিন্তু দু দিন না যেতেই বুঝলাম এই বোকা মেয়েটা ইমরানের প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছে। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ করে অবাক হলাম! এমন একটা ঘটনার পর তো আমার অধিক শোকে পাগল হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি বেশ মজা পাচ্ছিলাম। এবার একটা অন্য রকম খেলা খেলার সুযোগ এসেছে হাতে। আমি অপেক্ষায় আছি আর মজা দেখছি।
হঠাৎ সুযোগটা এল হাতে। আজ রুমকি এসে আমাকে ওর মোবাইল নম্বর লেখা একটা কাগজ ধরিয়ে দিল। ইমরানকে দিতে বলে গেল। আমি সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম। রুমকি রুমে চলে যাওয়ার পর আমার ভীষণ হাসি পাচ্ছিল! মেয়েটা কি বোকা! আমি দলা পাকিয়ে কাগজটা ময়লার মধ্যে ছুড়ে দিলাম। কিন্তু তখনও বুঝিনি আমার জন্য আরও বড় চমক অপেক্ষা করছে! একটু পরই ইমরান এলো আমার কাছে। ইমরানও আমার হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিল রুমকি কে দেয়ার জন্য! আমি আবার একটু হাসলাম। ইমরান দৃষ্টির আড়াল হতেই কাগজটা পড়লাম। দেখা করতে বলেছে! কাগজটা দলা পাকিয়ে ওই একই স্থানে ছুড়ে ফেললাম। খেলাটা সত্যিই আমাকে আনন্দ দিয়েছে! রুমকি অপেক্ষা করে আছে ইমরানের ফোনের। ইমরান অপেক্ষা করে আছে রুমকির আগমনের। কিন্তু দুজনকেই আজ খুব হতাশ হতে হবে! একে অপরকে খুব পছন্দ করা সত্ত্বেও জানবে যে অন্যজন তাকে পছন্দ করেনা। ওরা জানতেও পারবেনা আমি ভেতরে ভেতরে কি খেলা খেলেছি! দুজনের মাঝে আমি এক অদৃশ্য প্রাচীর হয়ে আছি। রুমকি ও ইমরানকে অনেক ধন্যবাদ জানাই! তোমরা এক মুহূর্তের জন্য হলেও আমাকে বেঁচে থাকার আনন্দ দিতে পেরেছ!
কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ করে বেশ অবাক হলাম! আমার মধ্যে একটা অপরাধবোধ কাজ করছে। আমি তো প্রাচীর! আমার মধ্যে কোনও অপরাধবোধ থাকতে পারেনা। এক কাজ করা যেতে পারে! বাথরুমে ঢুকে জোরে শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদতে পারি। তাতে মনটা একটু হালকা হবে। আমার শক্ত হওয়া দরকার। কিছুক্ষনের মধ্যে আমার কাছে ২টা ফোন আসবে। আরও দুটো মিথ্যে কথা বলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে, যেন কথাগুলো নির্ভেজাল সত্য বলে মনে হয়..........
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৬