বুদ্ধিজীবী যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ফজলে রাব্বী। ডাক্তার ফজলে রাব্বী। আমার আব্বা যার কাছ থেকে মাঝে মাঝেই চিকিৎসা নিতেন। তিনি যেই বাসার দোতালাতে থাকতেন তার নিচ তালার ভাড়াটিয়া সম্ভবত আল বদরের সাথে ছিলেন। সেই লোক আশ্বাস দেন ফজলে রাব্বীর কিছু হবেনা কিন্তু যখন বদর বাহিনী তাকে নিতে আসে তিনি দরজা খোলেননি। ফজলে রাব্বীর ব্যাবহৃত গাড়ী মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে শুরুতেই রাখা আছে। আমি দেখেছি। ছুয়েও দেখেছি। এই গাড়ী যিনি চালাতেন তিনি আমার বাবাকে অনেকবার সুস্থ করেছিলেন। কিছু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এসেছি। এর বাইরে কিই বা আর করতে পারি।
বুদ্ধীজীবী মারা গিয়েছিলেন ২০০০ এর মত। পাকিস্তানীদের যে পরিকল্পনা ছিল তাতে আরো বেশি হওয়ার কথা। তারা চেয়েছিল জাতি হিসেবে আমরা যেন কোনদিন দাড়াতে না পারি। তাদের সেই চাওয়াটা সত্যি হয়নি। বাংলাদেশ অনেক দিক দিয়েই এখন তাদের থেকে এগিয়ে। আমাদের দেশে কখনও মসজিদে বোমা ফুটেনা। আমাদের দেশে নারী ধর্ষন হয় কিন্তু পাকিস্তানের মত রাস্তায় হয়না যেখানে সবাই তাকায় থাকে (মুহতারাম মাঈ)। পাকিস্তানের নারী শিক্ষার হার ১৫ আমাদের প্রায় ৪০ এর কাছাকাছি। গনতন্ত্র আমাদের অহঙ্কার তা আমরা যতই হাসিনা খালেদা নিয়ে বিরক্ত থাকি কিন্তু পৃথিবীর খুব কম দেশেই আমাদের মত গনতন্ত্র ঠিক ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
বুদ্ধিজীবী দিবসে আপনাদেরকে একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই। ইনি বিরাট ক্রিয়েটিভ মানুষ। বাংলাদেশ জানি কোনদিন পৃথিবীর বুকে দাঁড়াতে না পারে তাই বুদ্ধিজীবী নিধনের নীল নকশাটা প্রথম আসে তার মাথা থাকেই। তিনি তার চিন্তা বাস্তবায়নের জন্য বদর বাহিনী ঠিক করেন। বদর বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বুদ্ধিজীবী ধরে নিয়ে আসে। ঢাকা কলেজের এক ছাত্র তার শিক্ষককে জবাই করে।
বুদ্ধিজীবী হত্যার প্ল্যান প্রথম আসে রাও ফারমান আলীর মাথা থেকে। আমি তার ছবি দিয়ে দিচ্ছি। আপনার মুখে যত থুতু আছে এর মুখে মারেন। সেই থুতু আমার ব্লগে লাগবে, আমার মুখে লাগবে কিন্তু তারপরেও আমি শান্তি পাব যে সবাই রাও ফারমান আলীকে থুতু মারছে।
থুতু মারুন। থু থু থু।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৯