২০০৫ সালে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে হারাল। আশরাফুল এর সেঞ্ছুরি। ওহ কি দিনটাই না ছিল। খুবই আনন্দিত সবাই। খেলা শেষ হওয়ার পর অনেকের সাথে ফোন এ কথা হল। সবাই বেশ খুশি। ২ ঘন্টা পরে এক মেয়ে ফোন দিল। বাংলাদেশ জিতায় তার খুবই ভাল লেগেছে কিন্তু আশরাফুল কি নাকি ম্যান অফ দা ম্যাচ দেওয়া ঠিক হয়নি। আমি অবাক হইয়া গেলাম!! এইটা ক্যামুন কথা!! ক্যান ক্যান? কারন আশরাফুল নাকি ইংলিশ বলতে পারেনা!! এইরম আজব কথা বলার কারনে সাথে সাথে ফোন কাটলাম। পরবর্তি দুইমাস ঐ মেয়ের সাথে কথা বলিনাই। সব মেয়েদের অবশ্য এইরকম চিন্তা ভাবনা থাকেনা এই রক্ষা। যাই হোক আশরাফুল অবশ্য মাইকেল হোল্ডিং কে খারাপ বলেনায়, “ Last match, I duck. This match, I century. Thanks for Allah.” মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ টাইপ করতেসিলাম। লেখা আসছে, Fragment (consider Revising)। আরে মাক্রোসফট কি বুঝবে এইটা হইল আশরাফুল এর ইংলিশ। তবে আশরাফুল ইংলিশ যাই বলুক তার ব্যাটতে কেন রেগুলার ওইভাবে চলেনা এটাই দুঃখ।
১৯৯৬ সাল। বোন ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এ ক্লাস টেন এ পড়ে। তাদের RAG ডে। সেইখানে গানা বাজানা খানা পিনার আয়োজন হয়। আমি বাইরে দাঁড়ায় আসি বোনকে নিতে আসছি। গাড়ি বাইরে। ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে। আমার মত আরো একজন ভাইয়া আসছে তার বোনকে নিতে। আমি তখন সিক্স এ পড়ি ভাইয়া নটরডেম কলেজ এ পড়ে। যাই হোক অডিটোরিয়াম এ গানা বাজনা চলতেসে। হটাৎ কইরা ভাইয়া বলে চল ভিতরে গিয়া দেখি কি হইতাসে। আমি কইলাম মেয়েদের স্কুল এ ঢুকমু? মাইর দিলে। ভাইয়া বলে আরে চল না। গেলাম ভিতরে। নাচানাচি হইতেসে অডিটোরিয়াম এ। হুইয়া হুইয়া হুইইয়া হুইয়া হো (খামশি সিনেমার গান)। দুইজন মিলে দেখতেসি হটাৎ পেছন দিয়ে কে জানি কান ধরল। যা সন্দেহ করছি তাই। ম্যাডাম এর নাম জানিনা। ম্যাডাম সোজা নিয়ে যাইতে লাগল হামিদা আলীর রুম এ। (হামিদা আলী এর মেয়ে মনে হয় তার কয়েক দিন আগে মারা যান এই ব্যাপারটা আমার মনে নাই। আর যেই ম্যাডাম কান ধরছিল সে মনে হয় রোকেয়া ম্যাডাম। এটাও নিশ্চিত নই)। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার কোন সমস্যা হল না। কারন আমি নিতান্ত বাচ্চা একটা ছেলে তখন। (আসলে মোটেও বাচ্চা না। বেওয়াচ দেখতাম)। কিন্তু ঐ ভাইয়ার খবর হয়ে গেল। সম্ভবত নটরডেম কলেজ এ বিচার চলে গেল।
ফেসবুক এ এক মেয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলে আর মেয়ের বন্ধুত্ব নিয়ে জানতে চাইল কয়েকদিন আগে। আমার সোজা সাপ্টা জবাব। গাধা আর মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে পারে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে না। অনেক ঝামেলার মাঝে প্রভা আপা আর অপূর্ব ভাই নিয়া কথা হইল। ৭ বছরের প্রেম ঠেইলা প্রভা নাকি অপূর্ব কে বিয়ে করসে। কে যে ফ্রেন্ড, কোনটা যে প্রেম কিছুই বুঝলাম না। এ ক্ষেত্রে ব্লগার সাপিয়েন্স অবশ্য ভাল একটা কথা বলেছেন। আশা করি অপূর্ব এর বাবা মা অপূর্বের জন্মের পর থেকে যে কাজটি করেনি সেটা এখন প্রভা করবে। অপূর্ব কে ভাল একজন ডেন্টিস এর কাছে নিয়ে যাবে।
শেষ করার আগে মেয়েদের নিয়ে একটা মজার উক্তি দিয়ে যাই।
I saved a girl from being attacked last night. I controlled myself.
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৯