somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Zics N Chicks - 2

২১ শে আগস্ট, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Zics N Chicks (Part -1) এ কি বলেছিলাম? কখনো মেয়েদের উপকার করতে হয় না। সমস্যা হইল এই জিনিষটা আমি নিজেই মাঝে মাঝে ভুলে যাই। ৪-৫ বছর আগের কথা। কি কারনে জানি ঐদিন বেশি খবরের কাগজ কিনতে হবে তাই দুপুরের দিকে নিচে নামলাম। এপার্টমেন্ট এর নিচেই কাগজ বিছায় পেপার বিক্রি করে। পেপার কিনতে গেলাম। যেহেতু বাসাটা ভিকারুন্নেসার সাথেই তাই স্কুল ছুটির সময় ভীড় থাকে। ঐসময় এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল পরীক্ষা সম্ভবত শেষ এবং ঠিক ঐসময় এক মেয়েও সেখানে আসলো সম্ভবত কিছু একটা কিনবে। মেয়েটা কিনে চলে গেল। আমি খবরের কাগজে একটু উকি মারলাম মকর জাতের রাশিফল এ লেখা রোমান্স অশুভ। এইটা নিয়া অবশ্য চিন্তার কিছু নাই মকর জাতকদের এইসব কথা লেখাই থাকে। রাশিফল এ আরো লেখা বিপরীত লিংগের থেকে নাকি সহযোগিতা পাব। হটাৎ পেপার ছেড়ে নিচে তাকিয়ে দেখি মুসিব্বতের ফালুদা। মেয়েটা তার ট্রান্সপারেন্ট কলমের ঐটা (কি কয় কে জানে, পেনসিল বক্স তো অন্য জিনিস) ফেলে গেছে। পরিষ্কার দেখা যাইতেসে ভিতরে এডমিট কার্ড। আরে সব্বনাশ। এই মেয়ে পরীক্ষা দিবে কিভাবে!! দৌড়ায় গেলাম। আমার ৯২ কেজি ওজনের দেহের হাফপ্যান্ট পরা দৌড় মনে হয় কোন সুখকর দৃশ্যনা। দেখি আশে পাশের দুই একজন তাকায় আসে।আর ইলাস্টিকওয়ালা প্যান্ট আবার একটু ঢিলা তাই এক হাত দিয়ে প্যান্ট ধরে আসি আরেক হাত এ মেয়ের ঐ কলমবাক্স। মেয়েটাও দেখি ভয় পেয়ে গেল। আমি পাশ পাশ দিয়ে বলতেসি, এক্সকিউজ মি! মেয়ে দেখি আরো দূরে যায়। আরি কি যন্ত্রনা আমি কি প্রেমের প্রস্তাব দিতে আইসি নাকি!! ভাগ্যভাল তখন মানুষজন ইভটিজিং রোধ করার ব্যাপারে এত সোচ্চার ছিলনা। নাইলে তো যাইতাম। কান ধইরা না উঠবস করা লাগত। মেয়েটা তার ট্র্যান্সপারেন্ট কলমের ঐটা নিল। কোনোরকম থ্যাঙ্কসগিভিং কিছু নাই। বুঝলাম রক্ষনশীল পরিবারের মেয়ে। বাসা থেকে বলে দেওয়া আছে অপরিচিত লোকজনের সাথে কথা বলা যাবেনা। আর হাফপ্যান্ট পইরা ৯২ কেজি ওজনের কেউ দৌড়ায় আসলে দ্রুত পালায় যাবা।



২০০৫ সালে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়াকে হারাল। আশরাফুল এর সেঞ্ছুরি। ওহ কি দিনটাই না ছিল। খুবই আনন্দিত সবাই। খেলা শেষ হওয়ার পর অনেকের সাথে ফোন এ কথা হল। সবাই বেশ খুশি। ২ ঘন্টা পরে এক মেয়ে ফোন দিল। বাংলাদেশ জিতায় তার খুবই ভাল লেগেছে কিন্তু আশরাফুল কি নাকি ম্যান অফ দা ম্যাচ দেওয়া ঠিক হয়নি। আমি অবাক হইয়া গেলাম!! এইটা ক্যামুন কথা!! ক্যান ক্যান? কারন আশরাফুল নাকি ইংলিশ বলতে পারেনা!! এইরম আজব কথা বলার কারনে সাথে সাথে ফোন কাটলাম। পরবর্তি দুইমাস ঐ মেয়ের সাথে কথা বলিনাই। সব মেয়েদের অবশ্য এইরকম চিন্তা ভাবনা থাকেনা এই রক্ষা। যাই হোক আশরাফুল অবশ্য মাইকেল হোল্ডিং কে খারাপ বলেনায়, “ Last match, I duck. This match, I century. Thanks for Allah.” মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এ টাইপ করতেসিলাম। লেখা আসছে, Fragment (consider Revising)। আরে মাক্রোসফট কি বুঝবে এইটা হইল আশরাফুল এর ইংলিশ। তবে আশরাফুল ইংলিশ যাই বলুক তার ব্যাটতে কেন রেগুলার ওইভাবে চলেনা এটাই দুঃখ।


১৯৯৬ সাল। বোন ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এ ক্লাস টেন এ পড়ে। তাদের RAG ডে। সেইখানে গানা বাজানা খানা পিনার আয়োজন হয়। আমি বাইরে দাঁড়ায় আসি বোনকে নিতে আসছি। গাড়ি বাইরে। ভেতর থেকে আওয়াজ আসছে। আমার মত আরো একজন ভাইয়া আসছে তার বোনকে নিতে। আমি তখন সিক্স এ পড়ি ভাইয়া নটরডেম কলেজ এ পড়ে। যাই হোক অডিটোরিয়াম এ গানা বাজনা চলতেসে। হটাৎ কইরা ভাইয়া বলে চল ভিতরে গিয়া দেখি কি হইতাসে। আমি কইলাম মেয়েদের স্কুল এ ঢুকমু? মাইর দিলে। ভাইয়া বলে আরে চল না। গেলাম ভিতরে। নাচানাচি হইতেসে অডিটোরিয়াম এ। হুইয়া হুইয়া হুইইয়া হুইয়া হো (খামশি সিনেমার গান)। দুইজন মিলে দেখতেসি হটাৎ পেছন দিয়ে কে জানি কান ধরল। যা সন্দেহ করছি তাই। ম্যাডাম এর নাম জানিনা। ম্যাডাম সোজা নিয়ে যাইতে লাগল হামিদা আলীর রুম এ। (হামিদা আলী এর মেয়ে মনে হয় তার কয়েক দিন আগে মারা যান এই ব্যাপারটা আমার মনে নাই। আর যেই ম্যাডাম কান ধরছিল সে মনে হয় রোকেয়া ম্যাডাম। এটাও নিশ্চিত নই)। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার কোন সমস্যা হল না। কারন আমি নিতান্ত বাচ্চা একটা ছেলে তখন। (আসলে মোটেও বাচ্চা না। বেওয়াচ দেখতাম)। কিন্তু ঐ ভাইয়ার খবর হয়ে গেল। সম্ভবত নটরডেম কলেজ এ বিচার চলে গেল।




ফেসবুক এ এক মেয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলে আর মেয়ের বন্ধুত্ব নিয়ে জানতে চাইল কয়েকদিন আগে। আমার সোজা সাপ্টা জবাব। গাধা আর মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে পারে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে না। অনেক ঝামেলার মাঝে প্রভা আপা আর অপূর্ব ভাই নিয়া কথা হইল। ৭ বছরের প্রেম ঠেইলা প্রভা নাকি অপূর্ব কে বিয়ে করসে। কে যে ফ্রেন্ড, কোনটা যে প্রেম কিছুই বুঝলাম না। এ ক্ষেত্রে ব্লগার সাপিয়েন্স অবশ্য ভাল একটা কথা বলেছেন। আশা করি অপূর্ব এর বাবা মা অপূর্বের জন্মের পর থেকে যে কাজটি করেনি সেটা এখন প্রভা করবে। অপূর্ব কে ভাল একজন ডেন্টিস এর কাছে নিয়ে যাবে।

শেষ করার আগে মেয়েদের নিয়ে একটা মজার উক্তি দিয়ে যাই।

I saved a girl from being attacked last night. I controlled myself.


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৯
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×