somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন পদার্থ বিজ্ঞানীর নোবেল বিজয়

১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উইলসন পদার্থবিজ্ঞান জগতের একজন বিখ্যাত নাম। পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষনার পাশাপাশি তিনি প্রচুর অর্থের মালিক। তারপরেও পদার্থবিজ্ঞান তার কাছে নেশার মত। উইলসন এর সহকর্মী বাংলাদেশি ইকবাল এর কাছেও পদার্থবিজ্ঞান অনেক ভাল লাগার একটা বিষয়। ইকবাল কে উইলসন বেশ পছন্দ করেন। সাধাসিধা নিতান্তই ভাল একটা ছেলে। তবে তার মেধাটা মোটেও সাধাসিধা নয়। উইলসন মাঝে মাঝেই চিন্তা করেন বাংলাদেশ এর মত থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে কিভাবে এরকম মেধার জন্ম হল। ইকবাল এর মেইন কাজ হল স্ট্রিং থিওড়ি তে। কিন্তু ইদানিং কালে সে কিছু Atmospheric এর কি একটা মডেল নিয়ে কাজ করছে। উইলসন এর মাঝে মাঝেই এই ব্যাপারটা বিরক্ত লাগে।

উইলসন একদিন ইকবাল কে জিজ্ঞেস করল ব্যাপারটা কি? ইকবাল ১০ বছর আগের কি একটা কাহিনি শুনিয়ে দিল। তাদের দেশে কোন এক সাইক্লোন এ নাকি কত হাজার লোক মারা গিয়েছিল। ইকবাল নাকি সেটার জন্য ত্রান বিতরনে গিয়ে ছিল। সেটার বিভীষিকা নাকি তাকে এখনো নাড়া দেয়। ওয়েদার ফোরকাস্টিং এ নাকি বাংলাদেশিদের কোনো নিজেস্ব মডেল নাই। প্যারামিটার যেখানে ৩০ টা দরকার বাংলাদেশ এ ২-৪ টা আছে। ইকবাল সেটা নিয়েই নাকি অনেক দিন ধরে কাজ করছে। উইলসন এটাতেও বেশ বিরক্ত হল। ইকবাল চাইলেই পদ্দারথবিজ্ঞানের অন্য বিষয়ে অনেক বড় বড় কাজ করে নোবেল পুরষ্কার পেতে পারে। নোবেল অনেক বড় ব্যাপার। চাইলেও পাওয়া যায়না কিন্তু উওইলসন এর ধারনা এই ইকবাল এর পক্ষে সম্ভব।

ইকবাল কয়েকদিন সময় নিয়ে বাংলাদেশ এ আসল। তার ওয়েদার ফোরকাস্টিং এর মডেলটা নিয়ে। এটা সম্পুর্ণ বাংলাদেশ এর প্রেক্ষাপটে বানানো। বাংলাদেশ এর উপকূলীয় এলাকার ঘুর্ণিঝড় এর আগাম সঙ্কেত যাতে অনেক আগেই টের পাওয়া যায় তার জন্য। বিজ্ঞান জগতের অনেক বড় আবিষ্কার কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও বাংলাদেশ এ প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে মারা যাওয়ার হারটা কমিয়ে দিবে কোন সন্দেহ নেই। তবে সন্দেহ আছে কি নেই সেটা বুঝার মত অবস্থা যে বাংলাদেশ এর অনেকেরি থাকেনা। ইকবাল তার ঐ পেটেন্ট নিয়ে সরকারী অনেক দুয়ার ঘুরেও কিছু সুবিধা করতে পারলনা।

ইকবাল আমেরিকা ফিরে আরেকটি দুঃসংবাদ শুনল। সেটা হল নোবেল কমিটি তার কাজ এবার ও বিবেচনা করেনি। ইকবাল অবশ্য এত সহজে দমাবার পাত্র নয়। কিন্তু তার নিজের দেশের ঐ ব্যাপারটা নিয়েই সে বেশি আপসেট। তার ধারনা ছিল নোবেল পুরষ্কারটা তাকে খ্যাতি এনে দেওয়ার পাশাপাশি এই তখন বাংলাদেশ এর সরকার কেও বুঝাতে পারবে যে তার ওয়েদার ফোরকাস্টিং এর মডেলটা কত কাজের। আর এটা যে শুধু বাংলাদেশ এই কাজে দিবে।

উইলসন ইকবাল কে একটা অদ্ভুত কথা শুনাল। উইলসন বলল নোবেল পুরষ্কার টার সাথেও যে কিছুটা পলিটিক্স জড়িত। একজন বাংলাদেশিকে নোবেল কমিটি চাইলেই বিবেচনায় আনবেনা যতটা সহজে তারা একজন আমেরিকান কে আনবে। উইলসন ইকবাল কে বলল বাংলাদেশ এর অই মডেলটা ইম্পলিমেন্ট করার পুরা টাকাটা সে ইকবাল কে দিয়ে দিবে যদি ইকবাল এর স্ট্রিং থীওড়ির আর্টিকেল টা উইলসন কে দিয়ে দেয়। ইকবাল এই অত্যন্ত অবিশ্বাস্য প্রস্তাব টা কেন জানি এমনিতেই রাজি হয়ে গেল। বিজ্ঞানী হয়ে যদি দেশের কাজেই না আসে তাহলে আবার বিজ্ঞানী কি!!!

উইলসন এর টাকায় বাংলাদেশ এর উপকূলীয় অঞ্ছলে ৩০ প্যারামিটার এর মডেল তা বসানোর পার্মিশন পাওয়া গেল। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত খরচে নির্মান করা এই মডেল কাজ শুরু করার আগেই সরকারী দলের লোকজন ব্যাঘাত দেওয়া শুরু করল। চাঁদার টাকা চাইল। সেখানেই সব না আরো আরো ঝামেলা শুরু হল। তারপর একদিন সেই ঝামেলার মাঝে কাজ আটকে গেল। সরকার এর পারমিশন নিয়ে শুরু করা হলেও কি জানি সমস্যায় কাজ আটকে দেওয়া হল। কারন সেই জায়গাতে হোটেল আর পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হবে। ওয়েদার ফোরকাস্টিং মডেল না হলেও চলবে। এরকম সময় খবর আসল পদার্থ বিজ্ঞান এ এবার নোবেল পেয়েছেন বিজ্ঞানী উইলসন। কে এই উইলসন এ ব্যাপারে অবশ্য বাংলাদেশিদের তেমন কোনো ধারনা বা আগ্রহ নেই। বিসিএস অনেক পরীক্ষার্থী নামটা খালি জেনে রাখল। বিসিএস পরীক্ষায় যে কাজে লাগতে পারে।

(ওয়েদার ফোরকাস্টিং এর জন্য যে বাংলাদেশ এর নিজেদের মডেল দরকার এই ব্যাপারটা আমি শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বর্তমান চেয়ারপার্সন প্রফেসর সুলতানা শফী ম্যাডামের কাছে। বাকি গল্পটা পুরা কাল্পনিক)

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০১১ রাত ১১:০৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×