কারো দলীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে আমাকে দোষ দিবেন না। কারণ আমি নির্দলীয় নই। আমি তথ্যপ্রযুক্তির দলের। অজ পাড়া গায়ে থাকি। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্লগে আসি বা গুগল করি সে ওই মোবাইল অপারেটরগুলোর দয়ায়। আমি যে দেশের নাগরিক সে দেশের সরকারের কাছ থেকেই তারা ব্যান্ডউইথ কিনছে এবং আমার মত নাগরিকের(!) কাছেই আবার বিক্রি করছে চড়া দামে। অথচ আমার দেশের সরকারের কাছ থেকে নাগরিক অধিকার হিসাবে সেটা আমারই পাওয়ার অগ্রাধিকার ছিল কিন্তু সেটা পাচ্ছি একটু ঘুড়িয়ে পেছিয়ে। তারপরো পাচ্ছি যে এটাই বড় সান্ত্বনা। কিন্তু কতটুকু পাচ্ছি। কমেন্ট লিখে সেন্ড করার পর ৫ মিনিট বসে থাকতে হয়, আর কোন ছবি আপলোড করতে গেলে মাশাল্লাহ বিটিভির ধারাবাহিক নাটকের ফাকের বিজ্ঞাপন যেমন শেষ হতে চায় না, তেমনি ছবি আপলোডও শেষ হতে চায় না টাইপের হয়ে যায়। একবার চিন্তা করুন কত্ত টেরাবাইটের(!) ব্যান্ডউইথ আমরা ইউজ করি। যারা ব্রডব্যান্ড বা ডিএসএল ক্যাবল লাইন ব্যবহার করেন হয়তো তাদের সাথে আমার কথাগুলো মিলবে না। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই আমার মত এমন ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ ২০০৭ সালে সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত সারা দেশে সাবমেরিনের ছোঁয়া লাগে নি। কিন্তু সেই সাবমেরিন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি যদি ঘোষনা দেয় যে সাবমেরিন ক্যাবল থেকে দেয়া ৪৫.০০ মেগাবাইট ব্যান্ডউইথ এর ৮০ ভাগই অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে যা কিনা তারা এখন আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বিক্রি করবে তখন আপনার কেমন লাগবে?
এখানে ক্লিক করে দেখুন
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানী লিঃ সংক্ষেপে বিএসসিসিএল গত ১৩ জুন আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে, ২০ জুন দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ।
কই গেল আমাদের দেশের ডিজিটাল বুলি ওয়ালারা? নাকি এই ব্যান্ডউইথ বিক্রি না করলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া যাবে না ?
সর্বোপরি অন্ততঃ গর্ব করতে পারব "আমরা এখন ব্যান্ডউইথ রপ্তানী করি"।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১০ ভোর ৪:১২