১।
সবে ক্লাস টেনে উত্তীর্ণ হয়েছে "দিব্যি" ।
এইচ এস সি পরিক্ষা সামনে তাই পড়ার চাপ যেন পাহাড় সম।দিব্যি ইংরেজীতে কাঁচা ,বিধাতার কৃপায় কোনরকম উতরে গেছে ক্লাস নাইনে কিন্তু এবার এইচ এস সি বলে কথা তাই এবার ভালকরেই পড়তে হবে বাসার স্যারের কাছে কিছুই বোঝেনা তাই এবার ভেবেছে সে তাদের ক্লাস টিচার "সাইমন" স্যারের কাছে পড়বে ।
সাইমন স্যার ভাল পড়ান, কি সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন যেন অন্তরে ঢুকে পড়া তিনি গেঁথে দিয়ে আসেন।তাঁর কথার মধ্যেও যেন যাদু আছে,দেখতেও তিনি সুদর্শন ।স্যারকে ভালই লাগে তার। তাই টেনে উঠেই ভর্তি হয়ে যায় স্যারের প্রাইভেট কোচিং-এ।
২।
লম্বা চুলের লম্বা দেহের কিশোর "হিমালয়"।
দিব্যির ক্লাসেই পড়ে নাইনের ফাইনাল পরীক্ষায় সে দিব্যির সামনেই বসেছিল ।ইংরেজীতে দুর্দান্ত সে।দিব্যিকে সে তার খাতার ফটোকপি করতে দিয়েছে পরীক্ষায় ।সে দিব্যিকে ভালবাসে ক্লাস এইট থেকে । পরিক্ষার কল্যানেই সে দিব্যির সাথে প্রথম কথা বলে । বন্ধুত্বের শুরু প্রথম সাময়িক পরীক্ষার দিন থেকে। ভালবাসার কথা এতদিনে কখনোই বলা হয়নি দিব্যিকে । ক্লাস টেনে উঠেই প্রপোজ করে সে । দিব্যি কিছুদিন সময় নিয়ে হ্যাঁ বলে অবশেষে।
৩।
সাইমন স্যারের কোচিং ক্লাসের নিয়মিত ছাত্রী দিব্যি স্যারের প্রতি সে দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ।যদিও হিমালয়ের সাথে সম্পর্ক আছে তার । একদিন সে কোচিং ক্লাস মিস করে অসুস্থ থাকার কারণে।বান্ধবীদের মাধ্যমে জানতে পারে সেদিন সার নাকি খুব গুরুত্বপূর্ণ পড়া পড়িয়েছেন নোটও দিয়েছেন। তাই সে স্যারকে ফোন দেয়। স্যার আসতে বলে পরদিন বিকেল ৭টায়।
দিব্যি আধা ঘন্টা আগে পৌছে । স্যারের বাসায় সার একা বসে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছিলেন।
-স্যার আসবো ?
-ও তুমি! আসো আসো।
-স্যার আমার জ্বর ছিল তাই আসতে পারিনাই গত ক্লাসে।
-না না সমস্যা নাই।খাতা কলম বের কর ।
আজকে দিব্যিকে অপূর্ব লাগছে নীল রঙের থ্রি-পিস ঠোঁটে লাল লিপস্টিক,খোলা চুল। অপূর্ব এক ঘ্রাণ ।মনে হয় যেন শুধু তাকেই মানাতো এমন বেশে।
(স্যার পড়ানোর এক পর্যায়ে প্রপোজ করে দিব্যিকে।)
-দিব্যি আমি তোমাকে ভালবাসি।
-স্যার!(কিছু অপ্রস্তুত থাকে সে)
-আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না দিব্যি।
এমন ক্ষেত মার্কা কথা শুনেও,স্যার বিবাহিত জেনেও দিব্যি না করতে পারেনা ।
-স্যার আমিও আপনাকে ভালবাসি।
৪।
সাইমন স্যারের সাথে সম্পর্কের পর থেকে হিমালয়কে এড়িয়ে চলছে দিব্যি। হিমালয়ের কষ্ট হলেও সে কিছুই বলে না ,দিব্যির উপর তার অনেক বিশ্বাস তার। গত কয়েক দিন ধরে দিব্যির কোন খবর নেই।হিমালয় যেন ব্যকুল হয়ে উঠে ।একদিন হিমালয়ের এক বন্ধু এসে তাকে বলে---
- দোস্ত,তোর গার্লফ্রেন্ডতো দেখি পর্ণস্টার হইগেসে।হাহাহা!
-ফাজলামি অফ কর শালা।
-না দোস্ত সিরিয়াসলি বলতেসি।এই দেখ ভিডিওটা।
ভিডিওটা দেখার পরও সে বিশ্বাস করেনে এটা দিব্যি ।সে দিব্যির সাথে দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ।কিন্তু তার কোন হদিসই নেই।
হতাশ হলে সে হাঁটে ।সে হাটছিল হঠাত এক পত্রিকার দোকানের পত্রিকায় চোখ যায় তার।সে যা দেখে তা দেখার পর যেন তার পা দুটু অচল হয়ে যায়,হৃৎপিণ্ড যেন রক্ত সঞ্চালন বন্ধ করে দিতে চায় তার।
"শিক্ষকের সাথে অবৈধ সম্পর্কের গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে,ছাত্রী দিব্যির আত্মহত্যা "
কপি রাইটঃ স্বার্থপর হিম ইকরাম হোছাইন জারিফ