বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড় হল এখন অটো রিক্সা, স্বল্প পরিশ্রমে সহজ আয়ের মাধ্যম হিসাবে খুবই জনপ্রিয় একটা পেশা। স্বল্প ভাড়ার জন্য অনেক মানুষ এখন পায়ে হাঁটা ভুলেই গেছে আর হাঁটার উপায়ও নেই এসব বাংলা টেসলার জন্য।
বন্ধ করা নিয়ে হৈচৈই চলেছে কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে না। বাংলাদেশে বা ৩য় বিশ্ব এমন একটা জায়গা যেখানে গাছের মূল থেকে ডালপালা কাটাকে হাইলাইট করা হয়।
আমার মতে এই রিক্সা বন্ধ করা কোন জটিল কাজ না তবে সময় লাগবে।
বাংলাদেশে এসব রিক্সার যন্ত্রাংশ আসে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে। এসব ইমপোটার ও যেসকল কাস্টমস কর্মকর্তা কর্মচারী মিথ্যা ঘোষণার পণ্য ছাড় করল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিলে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা বন্ধ হলে মার্কেটে যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে না। ফলে যন্ত্রাংশ সংকট তৈরী হলে যত্রতত্র রিক্সা তৈরী প্রতিষ্ঠান ও রিপিয়ার সেন্টার গড়ে উঠবে না।
ব্যাটারিগুলি মূলত আসে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে ও মিথ্যা ঘোষনা দিয়ে, এখানেও ব্যাটারি আমদানি প্রতিষ্ঠান ও যেসকল কাস্টমস কর্মকর্তা এগুলি ছাড় করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিলে ব্যাটারির সংকট তৈরী হবে দেশে যার ফলে দেশীয় ব্যাটারি শিল্প যেমন প্রসার ঘটবে তেমনি এসকল বাংলা টেসলার উৎপাদও কমে যাবে, দৌরত্বও কমে আসবে।
চাজিং স্টেশনগুলিতে নিয়মিত অভিষান পরিচালনা করতে হবে, তাদের জন্য আলাদা বিদ্যুৎ বিলের ব্যাবস্থা করতে হবে, যদি অবৈধ লাইন পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গে চার্জিং স্টেশন বন্ধ করে দিতে হবে এবং মোটা অংকের জরিমানা নির্ধারণ করতে হবে। চার্জিং স্টেশন করতে হলে ২০/৫০লাখ টাকা জামানত নিয়ে চার্জিং পারমিশন দিলে যত্রতত্র চার্জিং স্টেশন গড়ে উঠবে না।
বাসাবাড়িতে চার্জিং ব্যাবস্থা করলে বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল নির্ধারণ করে দিতে হবে (এ কাজটি ইতমধ্যে শুরু করেছে কিছু কিছু এলাকায়) এবং চার্জ দিতে হলে জামানত নেয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।
তারা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটায়, দুর্ঘটনা ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি জব্দ করতে হবে এবং ডাম্পিং করতে হবে অফেরত যোগ্যভাবে।
এবার নেগেটিভ দিক হল কর্মক্ষেত্রে- আমার কিছু কৃষি কারবার আছে- বিশ্বাস করেন আর নাই করেন গ্রামে কৃষি কাজের লোক পাওয়া যায় না, তারা উত্তর দেয় অরধেক বেলা রিক্সা চালালে হাজার টাকা আয়, কাদার ভিতর পরিশ্রম করবে কে? ফলে আমরা হয়ে যাচিছ আমদানি নির্ভর জাতি আর দাম বেড়ে চলেছে প্রতিনিয়ত প্রতিটি পণ্যের। যারা আধুনিকতার দোহায় দিয়ে এত অমানবিক পরিশ্রমের কথা বলেন তারা আধুনিকতা দিয়ে যদি খাওয়াটা যদি বাদ দিতে পারতেন, নির্মান শ্রমিকের পরিবর্তে যদি রোবট ব্যাবহার করতে পারতেন তা হলে ভালো হত। আবার যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে এদেশে সেটা কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমেই, একটা মেয়ে ৮/১০/১২ঘন্টা ম্যাশিনে বসে সেলাই করে সে পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, যার ফলে আমরা আমদানি করতে পারি। সো এসব রিক্সাওয়ালাদের কথা চিন্তা করার আগে ঐসকল মেয়েদের কথা চিন্তা করুন যারা সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করছে গারমেন্টস কারখানার ভিতরে।