ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে আমি ভুলও হতে পারি কিন্তু আপনাদের কাছ থেকে জেনে নিশ্চিত হতে চাই.....গতকাল টেলিভিশের ব্রেকিং নিউজ এ দেখলাম জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে টেলিফোন করে আরো ১ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশি আর্মি মানে পিস কিপিং আর্মি চেয়েছেন...প্রায় সব টিভিতেই এটি প্রচার করা হয়েছে...আপনারাও কম বেশী দেখে থাকবেন....
কিন্তু আমার কথা হচ্ছে মাত্র ১ব্যাটালিয়ন পিস কিপিং আর্মি চাইতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন কেন সরাসরি ফোন করবেন....? এই বিষয়ে জাতিসংঘে কি আর কোন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাই বা বাংলাদেশী জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি নাই।
অবশ্যই আছে কেননা পিস কিপিং আর্মি পাঠানো এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া সেটা আমাদের দেশে যে সরকারই থাকুক না কেন।
পূর্বে কখনোই এমনটা শুনা যায় নাই পিস কিপিং আর্মি চাইতে জাতিসংঘ মহাসচিব সরাসরি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করে অনুরোধ করেন।
আসলে সুদানে সৈন্য পাঠানোর গল্পটা পুরাতন। এটা ৩ দিন আগেই জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি মোমেন সাহেব করেছিলেন।
তাই সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বান কি মুনের সঙ্গে কথা বলেছেন, এটা মিথ্যা প্রচারণা। এমনটা কখনও হয় না। সেনাপ্রধান তো আর প্রধানমন্ত্রীর এডিসি নন, যে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের সময় পাশে বসে থাকবে! এটা খুব সস্তা রাজনীতি! আর জাতিসংঘের মহাসচিব কখনো কোনো দেশে ফোনে করে সৈন্য আর অস্ত্র চায় না। এর জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা আছে, কয়েকজন সহকারী মহাসচিব আছেন।
গল্পটা বানানোর সময় হুশ ছিল না যে ২৪ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় যখন ফোন মহাসচিব করেছিল নিউইয়র্কে তখন কয়টা বাজে! ঢাকায় যখন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা, তখন নিউইয়র্কে টাইম হয় সকাল সাড়ে ৮টা। অথচ বান কি মুনের অফিস শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায়। তাহলে কি বান কি মুন রান্না ঘর থেকে নাকি টয়লেট থেকে ফোন দিয়েছিল...?
আসলে সরকার কৌশলে বোঝাতে চাইছে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন তাদের বর্তমান কর্মে সন্তুস্ঠ বা জাতিসংঘের সাথে সরকারে সম্পর্ক স্বাভাবিক।
তবে আশা করি মিথ্যা সহসাই দূর হবে- সত্য উদ্ভাসিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯