[ ভূত বিষয়ক একটি পোস্ট ]
সবাইতো অবাক। কি হয়েছে? কি হয়েছে? তারা কোন কিছু বলতেই পারলোনা। শেষে সবাই মিলে ঐ জায়গায় গেলো। উপরে তাকিয়ে দেখলো গরুটি একটি বাঁশে ঝুলে আছে। সারা শরীর থেকে খাবলা দিয়ে মাংস নিয়ে যাওয়ার দাগ স্পষ্ট। শেষে অতি উৎসাহী ও লবাদার কাছ থেকে যা শুনা গেলো তা হলো এইরকম। ওরাও দেখলো গরুটি গাছে ঝুলে আছে, কিন্তু সেই সাথে দেখলো চার-পাচটি ছোট ছোট বাচ্চা ঐ গরুটির উপর ঝুলে আছে। আর হাতের বড় বড় নখ দিয়ে সেই গরুর মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। কি ভীবৎস সে দৃশ্য।
সেই থেকে এই পথে আর কেউ খুব একটা আসেনা। নিতান্তই যদি কারো আসতে হয় তবে সাথে সাহসী কাউকে নিয়েই আসে। আমি চলছি আমার গন্তব্যে। আমি বাঁশঝাড়ের খুব কাছে চলে আসলাম। কিছুটা ভয় ভয় লাগছে। বাশঝারের কাছে এসে আমার চক্ষুছানাভরা। আমিতো অবাক। এক মুহুর্তের জন্য থমকে গেলাম। আগের ঘটনাগুলো খুব মনে পড়ছে। একটা বাঁশ ভেঙ্গে রাস্তার উপর পরে আছে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর সোজা বাঁশটিকে পাশ কাটিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। বাতাসে বাঁশে বাঁশে ঘর্ষণের সেই ভিবৎস শব্দটি শুনা যাচ্ছে। আমি উপরে তাকালাম না। বুঝতে পারছিলাম আমাকেও একই ভাবে ভয় দেখানো হবে তাই কোন ভাবেই উপরে তাকাবনা। কানে তালা লেগে যাওয়ার অবস্থা। রাক্ষসের শিকার মিস হইয়া গেলে যে বিভৎস শব্দ করে কিছুটা সেই রকম। আমি যত দূরে সরে যাচ্ছি ততটা শব্দের ক্ষিপ্ততা বেড়েই চলছে।
সামনে নদীর একটা বাঁক দেখা যাচ্ছে। এই বাঁকটার পরই শশানঘাট। যদিও এটা অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেটাও একটা বিরাট ঘটনা। এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পোড়া কাঠ, ছেঁড়া কাথা, কিছু চুল পরে আছে। দূরে একটা গাছে একটা বালিশ ঝুলছে। আমি ভূত খেকো মজিদকে খুঁজছি। ঐ তো নদীর পাড়টার একটু নিচে মাথা দেখা যাচ্ছে। আমি সামনে এগোলাম। দেখলাম লোকটা একমনে হাতে বড়শী নিয়ে বসে আছে শিকারের আশায়। আমি উনাকে চমকে দেওয়ার জন্য শব্ধহীন আগাচ্ছি। একদম কাছে গিয়ে বললাম মজিদ ভাই, কোন সাড়া নাই। আমি আবার বললাম ভূত খেকো মজিদ ভাই। এইবার উনি পিছনে তাকালেন এবং সাথে সাথেই চিৎকার.............।
চলছে.........
প্রথম পর্বঃ
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৫০