আগের পোস্টে কেপি টেস্ট নিয়ে লিখেছিলাম। ওখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে গিয়েছিল, তা হলো কেপি টেস্ট করার প্রণালী। হট্টগোল এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। অতএব, এই সম্পূরক পোস্টে আমরা দেখবো, কেপি টেস্ট করার প্রণালী আসলে কি।
সমাজ বিজ্ঞানের মতে, জয়ীরাই ইতিহাস লিখে, পরাজিতরা নিজস্ব অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নিজেদের কাজকে অন্তত কিছুকালের জন্য জনসমক্ষে বেমালুম অস্বীকার করে যায়। ভিতরে ভিতরে একটা তীব্র অপমান বোধ কাজ করে। যে রোল প্লে করার জন্য তাদের পতন হয়েছে, সে রোলের জাইগোট শরীর এবং মনের আনাচে কানাচে থেকে গেলেও সে রোলের প্রতি একটি ক্ষণিক বিতৃষ্ঞা সৃষ্টি হয়। জামাতিরা ৭১এ যে রাজাকার রোল প্লে করেছিলো, তার জন্যও তাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাসে বিরাট ফাটল ধরে। তারা আশা করেছিলো, এভাবে পাকি সৈন্যদের দালালী করে পূর্ব পাকিস্তানে তাদের একছত্র আধিপত্য কায়েম হবে। কিন্তু তাদের জন্য বাস্তব হয়েছে বড়ই করুণ। পাকি সৈন্যরা গণ খেয়ে এদেশের মাটিকে উর্বর করেছে, বাকিগুলা জান নিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে। কিন্তু রাজাকারদেরকে ঠিকই লাথিগুতা খেয়েও এই বাংলাদেশেই বাস করতে হয়।
সুতরাং রাজাকার রোল প্লে করাটা তাদের জন্য বিরাট অসম্মান এবং ভোগান্তি নিয়ে এসেছে। রাজাকার হিসেবে তাই তারা নিজেদেরকে ঘৃণাই করে। নিজেদের গা থেকে রাজাকারের তকমাটা খুলে ফেলতেই তারা তৎপর।
এ-টীম এই মনস্তাত্ত্বিক সুবিধাটা নেয়। জামাতিরা রাজাকার হিসেবে তাদের গুরু গোআ, নিযামীর নাম মুখে আনতে পারে না। ৫ জন রাজাকারের নাম জিজ্ঞেস করলেই তারা এভাবে শুরু করে:
১। শেখ হাসিনার জামাই
২। ...
তারা ১ নম্বরের পরে আর এগোতে পারে না। গোআ, নিযামী এই লিস্টে অনুপস্থিত থাকে। কেপি টেস্ট পজিটিভ প্রমাণের এ এক মহৌষধি বিফলে মূল্য ফেরত পদ্ধতি।