
ভৌতিক সেই বাড়ীটাঅনেক দিন ধরে এই বাসাটা সবার কাছেই ভুতুরে বাড়ী হিসাবে পরিচিত ছিলো। কিন্তু একটা রিয়েলিটি শো পাল্টে দিলো সব হিসাব নিকেষ। আবিষ্কত হলো এক লোম হর্ষক কাহিনী......
"প্রতি বুধবারে সন্ধ্যা মিলাতে না মিলাতেই হাজির হয় শত শত কুকুর.......সেই আড্ডা চলে মাঝরাত পর্যন্.......বিসয়টা অবশ্যই ভয়ংকর"
রবার্ট থর্ন স্প্যানীস মা মারিয়াটে রোজারিও আর বাবা জে জে হ্যারীর একমাত্র সন্তান। জে জে হ্যারী ইহুদী এবং মা কনভার্টেড.......মানে খৃষ্টান থেকে এখন কোনো ধর্মেরই না......

খুব ছোটোকাল থেকেই জে জে হ্যারীর সবসময় রবার্টকে নিয়ে নর্থক্যালিফর্নিয়ার ভিউয়ার সেন্ট নামের শহরতলীতে থাকতেন। তার একটা ট্রেইন্ড কুকুর (টিক্কাফ) ছিলো। রবার্টের সাথে কুকুরটির চমৎকার সম্পর্ক ছিলো। তারা দুজনেই একে অন্যকে খুব ভালো ভাবে রিড করতে পারতো। রবার্টের বয়স যখন ১৬, তখন তার মামা তাকে সর্বপ্রথম একটা ল্যাপটপ দেয়। রবার্ট যখন ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করতো, টিক্কাফ তার পাশে বসে থাকতো। এভাবেই আস্তে আস্তে কুকুরটি ইংরেজি আল্যফাট গুলো চিনে ফেললো। সেই দেখে রবার্টের উৎসাহ অনেক বেরে যায়......আস্তে আস্তে কুকুরটি শব্দ......ছোটো ছোটো বাক্য থেকে শুরু করে কমপ্লেক্স সেন্টেন্স লিখতে পারা শুরু করলো। প্রথম প্রথম ট্রেডিশনাল কিবোর্ডে কিছুতেই সুবিধা করা যাচ্ছিলো না, কিন্তু ছেলের উৎসাহ দেখে বাবা জে জে হ্যারী তাকে স্পেশাল কিবোর্ডের ব্যাবস্হা করে দেন।

বিশেষ সেই কিবোর্ডটিধিরে ধিরে সময় পার হতে থাকলো.........রবার্টের এখন ২৬ বছর। তার ডেটাবইজে প্রতিদিন যেইপরিমান ইনফরমেশন স্টোর্ড হচ্ছে.........ধারনা করা হয়, সে এখন নর্থ ক্যালিফোর্নিয়ের সবচেয়ে বড় ড্যাটাবেইজের মালিক।
পাঠক নিশ্চই অবাক হচ্ছেন......কুকুরের সাথে ড্যাটাবেইজের সম্পর্ক কি আর ভুতুরে বাড়ীর বিষয়টাই বা কি?
রবার্ট যখন দেখতে পারলো, কুকুরটা বেশ ভালো ভাবেই ইংলিশ কি বোর্ডে দক্ষ হয়েছে, তখন সে কুকুর টিকে ইনফর্মার হিসাবে কাজে লাগাতো। কুকুরটা সারাদিন চোষে বেড়াতো পাড়ায় পাড়ায়.......পথে আরো অনেক কুকুরের সাথে দেখা হতো তাদের কাছে অনেক ইনফর্মেশন পাওয়া যেতো। ১২৪/৪ স্যান্ট স্ট্রিটের মালিক কে?পাশের বাসার সুজানার বয় ফ্রেন্ড কে? থেকে শুরু করে স্কুল টিচার বাচ্চাদের ফাসানোর জন্য কি প্রশ্ন কম্পোজ করছে.......সব কিছুই রবার্টের কাছে দিন শেষে আপডেট করতো টিক্কাফ......ইনফ্যাক্ট......এখনো করে যাচ্ছে। এজন্য রবার্ট প্রতিদিন টিক্কাফাকে নিয়ম করে পার্কে নিয়ে যেতো।

পার্কে অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে টিক্কাফসেই দেখে জে জে হ্যারী একটা বুদ্ধী বের করলো। টিক্কাফের পক্ষে সারাদিনে অনেক খবর যোগার করাটা কঠিন, তাই প্রতি বুধবার সে শখানেক কুকুরের জন্য খানাপিনার আয়োজন করে দেন। সন্ধ্যা মিলানোর সাথে সাথে রুটিন করে আসতে দেখা যায় কুকুরের পাল গুলো কে।

কুকুরদের আড্ডা রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে তদের আড্ডা। সেই থেকে সারমর্ম করে টিক্কাফা রবার্টের ডেটাবেইজ ভারি করে। সাদা চোখে প্রতিবেশীরা বুধবারের রাতে কুকুর গুলোর আনাগোনা দেখতে.......এর আসল কারন জানা ছিলো না বলে তারা ধরেই নিয়েছিলো বিষয়টার সাথে কোনো ভৌতিক নাটকের সম্পর্ক আছে। তাই বাসাটা অনেক আগেই পরিত্যাক্ত বলে মনে করা হতো
.........সম্প্রতি এক রিয়েলিটি শোতে সুটিং করতে গিয়ে ক্যাফ রিচি (সহকারি প্রডিউসার) এই রহস্যের উন্মচন করেন........কিন্তু ড্যাটাবেইজটা এখনো আছে রবার্টেরই কাছে..........রিচি খুবই চিন্তিত.........