৩০ তম BCS এর বাছাই পরীক্ষার ২ নং সেটের ইংরেজী প্রশ্ন গুলোর দিকনির্দেশনা ভুল ছিলো তা সবারই দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এখন পিএসসি পরীক্ষাটি বাতিল না করলে যে প্রশ্ন গুলো পরীক্ষাকে প্রশ্নের সম্মূখীন করতে পারে-
১) ২নং সেটের পরীক্ষার্থীদের ১১ নম্বর দিলে
-১লক্ষ পরীক্ষার্থী (সেট ১ ও সেট ৩ এর) বন্চিত হবে
-৫০ হাজার পরীক্ষার্থী (সেট ২ এর) ইংরেজী অংশের কোন যাচাই না দিয়ে পার পেয়ে যাবে, হয়তো তারা ইংরেজীতে ভালো বা খারাপ হতে পারে, যা গণতান্ত্রিক দেশে মানাসই নয়
-সেট ১ ও সেট ৩ এর পরীক্ষার্থীরা ইংরেজীর ঐ অংশে ভুল উত্তরের জন্য মাইনাস নম্বর পাবে, যেখানে সেট ২ এর পরীক্ষার্থীরা মাইনাস থেকে মুক্ত এবং সেই সাথে পুরো ১১ নম্বর পেয়ে যাবে।
২) সব সেটের পরীক্ষার্থীদের ১১ নাম্বার দিলে অথবা ১১ টা প্রশ্ন বাদ দিলে-
- সেট ১ ও সেট ৩ এর যারা ইংরেজী ভালো দিয়েছে তাদের ঠকানো হবে,
আর যাদের খারাপ হয়েছে তারা সুবিধা নিবে।
-সেট ২ এর পরীক্ষার্থীরা অবশ্যই ঠকবে, কারন এই ইংরেজী অংশের প্রশ্ন না বুঝার কারনে তারা অতিরিক্ত অনেক সময় ক্ষেপন করেছে, আর এতোগুলো প্রশ্ন ধরতে না পারাতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে, আর এই অংশ গুলো না পারার কারনে অন্য অংশের ঝাপসা ঝাপসা বা না পারা প্রশ্নগুলো দাগাতে বাধ্য হয়েছে।
যেভাবেই বাছাই করা হোক না কেন, এই বাছাই বাংলাদেশের ইতিহাসে কলংকজনক হয়ে থাকবে। আর যারা নিয়োগ পাবে তারা কখনো নিজেকে অন্যদের চেয়ে মেধাবী ভাবতে পারবেনা।
এখন যদি পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে নেওয়া হয় তখন যারা পরীক্ষা ভালো দিয়েছে তারা আফসোস করবে। কিন্তু তারপরেও বলবো, পরীক্ষা বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিলেই মনে হয় ভালো হবে। এতে করে বাংলাদেশ প্রকৃত মেধাবীদের (যদি নিয়োগে অনিয়ম না হয়!!!!) নিয়োগ লাভ করবে।
পিএসসি মনে হয় দেশের চেয়ে নিজেদের লোকসানকে বেশি ভাবছে!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৫