মাননীয় নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন কিনা। তিনি প্রথমে উত্তর দিলেন, জনগণতো ভোটের মাধ্যমেই বিচার করছে। পরে বললেন, লিগ্যাল একশন যা দরকার তা তিনি নিবেন। নেত্রীর উত্তরের দ্বিতীয় অংশটা আশা জাগায়। তবে উত্তরের প্রথম অংশটা শংকিতও করে। প্রথম অংশের মাধ্যমে তিনি কি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে শুধুমাত্র ভোটের কারণেই তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথাটি বলেছিলেন? এরা ভোটে জিতলেই এদের মানুষ হত্যার পাপ কেটে যেত?
আমরা জানি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এদের বিচার করেনি। এর কারণ কিন্তু নেত্রীর উত্তরের প্রথম অংশ। তখন তিনি বা তার দল মনে করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীরা ভোটের যুদ্ধে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তারা আর মাথা তুলে দাড়াতে পারবেনা। কিন্তু দেখা গেল তারা ঠিকই পাঁচ বছরের মাথায় মাথা তুলে দাড়ালো, এমনকি মন্ত্রীও হল। একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করল।
এবারও যদি নেত্রী মনে করে থাকেন তারা ভোটের মাধ্যমে পরাজিত হয়েছে তবে ঠিকই তারা আগের মতোই ফিরে আসবে। আর যেটা বিবেচনার বিষয় তা হচ্ছে তাদের বিচার হবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে। তারা যদি নির্বাচিত হতো তবেও তাদের বিচার করতে হতো, আমরা বিচারের দাবী জানাতাম। কারণ নির্বাচিত হলে কিংবা মন্ত্রী হলেই পূর্বের অপরাধ ধুয়ে মুছে যাবেনা। কাজেই নেত্রী, তারা পরাজিত হয়েছে এটাতে স্বস্তিবোধ না করে অতি দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করুন। যাতে পরবর্তীতে আর মাথা গজাতে না পরে।
আর, আমরা যারা আমজনতা, যারা যুদ্ধপরাধীদের বিচারের আশায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছি তাদেরও স্বস্তিতে থাকলে চলবেনা। তাদের বিচার শেষ হলেই রাজপথ ছাড়তে হবে। অন্যথায় ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে বা ১৯৯৬-২০০১ সালে তারা যেমন পার পেয়ে গিয়েছিল, এবারও তেমন পার পেয়ে যাবে। অতএব, সাধু সাবধান।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৫৮