somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

★মুভি রিভিউ★ কুয়েন্টিন টারান্টিনোর পাল্প ফিকশন - সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুভির একটি!

২৭ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মুভি ক্রিটিক ব্লগ পোস্ট#১৩৩

আমি বিশ্বাস করি কোন মুভি পর্যালোচনা করার সময় নির্মাণ কালটাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। Pulp Fiction এমন একটি মুভি যেটি তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিল অ-নে-ক বেশি। আইনস্টাইন যখন আপেক্ষিক তত্ত্ব আবিষ্কার করেন তখন গোটা পৃথিবীর গুটিকয়েক মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছিলেন। যারা তত্ত্বটি বোঝেননি তারা এটা অন্তত বুঝেছিলেন যে ব্যাপারটা নিশ্চয় একটা অসাধারণ কিছু, এই লোক একটা জিনিয়াস। পরবর্তীতে তত্ত্বটা ব্যাপক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ হতে হতে এখন এতোটাই সহজ করা হয়েছে যে, আপেক্ষিক তত্ত্বটা যে কী সেটা আজকালকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরাও বুঝতে পারবে। তাই বলে আপেক্ষিক তত্ত্বের গুরুত্ব কমেনি এতোটুকু। আজ আমি এমন একটি মুভি নিয়ে আলোচনা করছি যেটি আজ থেকে ১৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল। তখন থেকে মুভিটি নিয়ে এতো বেশি চর্চা হয়েছে, এতো সংখ্যক মুভি পাল্প ফিকশন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে যে সেগুলোর বেশ কিছু যদি আপনি দেখে থাকেন তা হলে মুভিটি হয়তো আপনার কাছে ততোটা জটিল মনে হবে না যতোটা মনে হয়েছিল ১৯৯৪ সালের দর্শকদের কাছে। তাই বলে পাল্প ফিকশনের মাহাত্য কমেনি এতোটুকু। পাল্প ফিকশন পরবর্তী অসংখ্য মুভি দেখার পরও আমার এখনও মনে হয় এই মুভিটি যেন সম্প্রতি বানানো। পাল্প ফিকশন এতোটাই উত্তরাধুনিক। সময়ের পরিক্রমায় গ্রেট মুভি হিসেবে পাল্প ফিকশনের অবস্থান পাকাপোক্ত হয়েছে আরও।


শক্তিশালী সংলাপ কুয়েন্টিন টারান্টিনোর পাল্প ফিকশন (Pulp Fiction) মুভির সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি। মূলত এটা Q.T. (Quentin Tarantino)-র বৈশিষ্ট্য যে দ্রুত দৃশ্যপট বদলের চেয়ে গতিশীল সংলাপ দিয়ে কাহিনী এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। টারান্টিনোর চরিত্রগুলোর আপাত 'গুরুত্বহীন' কিংবা 'অসংলগ্ন' সংলাপের মধ্যে লুকিয়ে থাকে আসন্ন ঘটনার ইঙ্গিত। এই সংলাপগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তাই বলে মেকি নয়। সংলাপগুলো বেরিয়ে আসে চরিত্রগুলোর 'চরিত্র' থেকে, কোন টিয়া পাখি থেকে নয়। মুভিটির সংলাপ থেকেই চরিত্রগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায়। অভিনেতারা সেই সংলাপগুলো উচ্চারণে নিজেদের সক্ষমতার উৎকর্ষ সাধন করেছেন। মুখের অভিব্যক্তি, শারীরিক ভাষা সবই ছিল জবরদস্ত। এই মুভিতে সংলাপ কাজ করেছে মিউজিকের মতো। মুভির উৎকণ্ঠ মুহূর্তগুলো দীর্ঘায়ত ও জমজমাট হয়েছে আলাদা কোন ফিল্ম স্কোরের মাধ্যমে নয়, বরঞ্চ সংলাপই করেছে সেই কাজ। আসলে পাল্প ফিকশনের জন্য কোন অরিজিনাল ফিল্ম স্কোর (ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক) কম্পোজ করাই হয়নি। সাউন্ডট্র্যাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে রক অ্যান্ড রোল, সাফ, সোল ও পপ মিউজিক। যা ফাংশনাল মিউজিক হিসেবে কাজ করেছে।


আসছি চিত্রনাট্যের কথায়, যা পাল্প ফিকশনকে বানিয়েছে গ্রেট ফিকশন। পুরো মুভিটি যেন একটি চক্র। যে বিন্দু দিয়ে বৃত্তাঙ্কন শুরু হয়েছে সেই বিন্দুতে ফিরে আসার মতো। মুভিটি যে রেস্টুরেন্টের দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ঘটনাচক্রে আপনি আবিষ্কার করবেন সেই রেস্টুরেন্টেই মুভির সমাপ্তি। কিন্তু এর মাঝে আপনি দেখে ফেলবেন তিনটি ভিন্ন অথচ পরস্পর সম্পর্কিত গল্প। যা আসলে একই সুতোয় তিনটি ভিন্ন গিঁট। প্রতিটি গিঁটে আছে একাধিক ঘটনার মারপ্যাঁচ। বলতে পারেন গিঁটগুলো শক্ত করা হয়েছে। এই তিনটি ভিন্ন গিঁটের মাঝে গিঁট্টুটি লাগিয়েছেন চিত্রনাট্যকার/পরিচালক কুয়েন্টিন টারান্টিনো। আর এই মহাগিঁট খুলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমাদের মতো গোবেচারা দর্শকদেরকে। যারা বছরের পর বছর এতোসব গিঁট্টুটিট্টু ছাড়া সমান্তরাল গল্পের মুভি দেখতে অভ্যস্ত। যদি প্রশ্ন করি, ' মি. Q.T., আপনি একটা গল্প বলবেন, সোজাসুজি বলে ফেললেই তো পারেন, এতোসব প্যাঁচ করার কি আছে?' Q.T. একগাল হেসে যা বলবেন বলে আমার মনে হয়, 'দেখুন, সোজাসুজি গল্প দেখতে দেখতে আমি বিরক্ত, আমার মনে হয় আপনারাও বিরক্ত। আমি জটিলতা চাই। জটিলতার মজাই আলাদা!' প্রিয় পাঠক, পুরো মুভির কাহিনীটি আপনি একই সরলরেখায় পাবার আশা করবেন না। মুভিটি দেখতে বসার ২৫/৩০ মিনিট পরেও আপনার মনে হতে পারে কোন 'মানে' খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ এটি কোন 'প্রেডিক্টেবল' মুভি নয়। একটি জটিল চিত্রনাট্য অনুসারে নির্মিত মুভি। মুভির কাহিনীটি বৃত্তাকারে ঘুরে এলেও এর মাঝে আছে উপবৃত্ত যা মূল বৃত্তের সঙ্গে মিশে পরিণতিতে পৌঁছেছে। মুভির শেষ দৃশ্য পর্যন্ত দর্শককে অপেক্ষা হয় পুরো কাহিনীটি খাপে খাপে মেলানোর জন্য। কোন মুভির চিত্রনাট্যই সম্পূর্ণ ১০০% সফলভাবে চিত্রায়িত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। টারান্টিনো তার চিত্রনাট্যের সর্বোচ্চ উপযোগ নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে চিত্রনাট্য অনুসারে চমৎকার এডিটিংয়ের মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন এডিটর Sally Menke, তিনি এই মুভিটির জন্য বেস্ট ফিল্ম এডিটিং বিভাগে অস্কার নমিনেশন পেয়েছিলেন।


পাল্প ফিকশন ফর্মূলাভিত্তিক গল্প বলায় আবর্তিত হয়নি, এটি নির্ভর করেনি দুর্ধর্ষ অ্যাকশন দৃশ্য অথবা অবাক করা ইস্পেশাল ইফেক্টের উপর। P.F. নিজেই সৃষ্টি করেছে নতুন ফর্মুলা। উদ্ভাবন করেছে গল্প বলার নতুন ভঙ্গিমা। পাল্প ফিকশন তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে এবং পরবর্তীতে অসংখ্য মুভিকে প্রভাবিত করেছে নিজস্ব মৌলিক ভিত্তিগুলোর উপর দাঁড়িয়ে। এই ভিত্তিগুলো হলো- প্লট-তরান্বিত বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ, অভূতপূর্ব দৃশ্যপট বিন্যাস, অতি আকর্ষণীয় চরিত্র। পাল্প ফিকশনে আছে সারপ্রাইজ, আছে ভায়োলেন্স। কিন্তু এই ভায়োলেন্স সম্পূর্ণ নগ্ন নয়, অর্ধ নগ্ন। ব্যবহৃত হয়েছে অফ-স্ক্রিন, লং শট, কাটএওয়ে টেকনিক। পাল্প ফিকশনে ভায়োলেন্স প্রদর্শনে আছে নান্দনিকতা - যা মুভিটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্র।


যারা মুভিটি দেখেছেন, এমনকি একাধিকবার দেখেছেন তাদের কাছে অমীমাংসিত থেকে গেছে একটি রহস্য। সেই ব্রিফকেসটি, যার মালিক একজন ক্রাইম-বস। কী ছিল সেই ব্রিফকেসটিতে তা আমাদেরকে Q.T. দেখায়নি বা জানায়নি। আমরা শুধু দেখেছি সেই ব্রিফকেসটি খুললে একটি স্বর্ণালী আলো বিচ্ছুরিত হয়, যা কৌতুহলউদ্দীপক। সেই একই আলো আমরা দেখেছি যখন ক্রাইম-বসের দুই হিটম্যান ব্রিফকেসটি বেদখলমুক্ত করতে এসে গুলিবর্ষণ করে প্রতিপক্ষের উপর। এই আলোর ব্যবহারটা মনে হতে পারে একটি শৈল্পিক ও অপার্থিব আবহ সৃষ্টির প্রয়াস। লক্ষ্য করলে দেখবেন, ব্রিফকেসটি খোলার কী-কম্বিনেশনটি হচ্ছে '৬৬৬'- যা বাইবেলে শয়তানের প্রতীক বলে পরিচিত। শয়তানের ইঙ্গিত যেমন আছে, বিপরীতক্রমে গড ও মিরাকলে অগাধ বিশ্বাস ও বাইবেলের বাণী উদ্ধৃত করতে দেখা যায় দুই হিটম্যানের একজনকে। মূলত এই ব্রিফকেসটি একটি MacGuffin বা প্লট ডিভাইস।


পাল্প ফিকশন একাধারে একটি ডার্ক কমেডি ও ক্রাইম থ্রিলার মুভি। P.F-র কমেডি মোটা দাগের নয়, সূক্ষ্ম মেধাদীপ্ত কমেডি। রজার এভ্যারি ও টারান্টিনোর গল্প অবলম্বনে Q.T.-র চিত্রনাট্য এতোটাই চমকপ্রদ যে প্রায় প্রতিটি ক্ষুদ্র বিষয়ে নজরদারি লক্ষ করা যায়। এ যেন আধুনিক চার্লস ডিকেন্সের সাহিত্যকীর্তি। যতবার একজন দর্শক মুভিটি দেখবেন ততবারই তিনি নতুন কিছু না কিছু আবিষ্কার করবেন। একটি জটিল চিত্রনাট্যকে সার্থকভাবে চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন ডিরেক্টর কুয়েন্টিন টারান্টিনো। মুভিটি একবার দেখাই যথেষ্ট নয়। প্রথমবার দেখুন অভিজ্ঞতার জন্য, দ্বিতীয়বার দেখুন ভালো করে বুঝার জন্য এবং আরও অনেকবার দেখুন উপভোগের জন্য; কিংবা আসক্ত হয়ে নিজেই দেখতে বাধ্য হতে পারেন। পাল্প ফিকশনে মনে রাখার মতো অসাধারণ দৃশ্যের কোন কমতি নেই। Mia Wallace (Uma Thurman) ও Vincent Vega (John Travolta)-র মধ্যকার নাচের ক্লাসিক দৃশ্য, Butch Coolidge (Bruce Willis)-র ভিনসেন্ট বধ, ক্রাইম-বসকে উদ্ধার, সোনার ঘড়ির গল্প, এড্রেনালিন শট, Winston Wolf (Harvey Keitel)-র 'অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি' নিয়ন্ত্রণের দৃশ্যগুলো সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।


স্বশিক্ষিত ডিরেক্টর Quentin Tarantino নিজ প্রতিভার ঘোষণা দেন ১৯৯২ সালে তার Reservoir Dogs মুভিটির মাধ্যমে। এর আগে তিনি আরও কয়েকটি মুভি প্রজেক্ট হাতে নিলেও অর্থাভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। মুভি-পাগল Q.T. ডিরেক্টর হওয়ার আগে কাজ করতেন একটি ভিডিও রেন্টাল স্টোরে। ওখান থেকেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পদযাত্রা শুরু। পাল্প ফিকশনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে সত্যিই একজন জিনিয়াস চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে প্রমাণ করেন। এই মুভিটির জন্য তিনি বেস্ট ডিরেক্টর হিসেবে অস্কার নমিনেশন পেয়েছিলেন। এই পুরষ্কারটি না জিতলেও বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিনপ্লের অস্কারটি তিনি ও সহযোগী লেখক Roger Avary যৌথভাবে জিতেছিলেন।


নব্বই দশকের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথা সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুভির একটি পাল্প ফিকশনে অভিনয় করেছেন Samuel L. Jackson, John Travolta, Bruce Willis, Uma Thurman-সহ আরও অনেকে। প্রতিটি চরিত্রই অনন্য। John Travolta ও Bruce Willis-কে যারা শুধু 'হিরো' হিসেবে দেখতেই অভ্যস্ত তারা এই দুজনকে Pulp Fiction-এ পাবেন শক্তিশালী চরিত্র-অভিনেতা হিসেবে। জন ট্রাভোল্টা সেই ১৯৭৭ সালে Saturday Night Fever মুভির জন্য অস্কার নমিনেশন পাবার পর এই মুভিতে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ১৯৯৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সেরা অভিনেতা বিভাগে নমিনেশন পেলেন। আদপে পাল্প ফিকশন ট্রাভোল্টার মৃতপ্রায় ক্যারিয়ারকে পুনরুজ্জীবিত করেছে, ফিরিয়ে দিয়েছে তারকাখ্যাতি, ট্রাভোল্টা ভেসেছিলেন মুভি অফারের বন্যায়। অন্যদিকে উমা থারম্যানও এই মুভিতে তার আকর্ষণীয় পারফরম্যান্সের কল্যাণে উপভোগ করেছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা, পেয়েছেন বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাকট্রেস হিসেবে অস্কার নমিনেশন। তবে আর সবাইকে ছাপিয়ে আমার দৃষ্টিতে পাল্প ফিকশনের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হলেন স্যামুয়েল এল. জ্যাকসন। তার অভিনীত চরিত্রটি প্রকৃতপক্ষে তাকে মাথায় রেখেই সৃষ্টি করা হয়েছিল। স্যামুয়েল প্রমাণ করেছেন যে সিদ্ধান্তটি মোটেও ভুল ছিল না, অর্জন করেছেন বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর অস্কার নমিনেশন।


পাল্প ফিকশন প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৯৯৪ সালের মে মাসে ফ্রান্সের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। উৎসবের সেরা পুরষ্কার Palme D'or (Golden Palm) জেতার পর বছর জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় মুভিটি। টারান্টিনোও ক্রমাগত মুভিটির প্রমোশন করতে থাকেন। যে মুভিটি নির্মাণে মাত্র ৮.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছিল সেই মুভিটির মার্কেটিংয়ে খরচ করা হয় ১০ মিলিয়ন ডলার! ১৯৯৪ সালের ১৪ অক্টোবর আমেরিকায় বাণিজ্যিক মুক্তির পর P.F. বিশ্বব্যাপী ২১৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার আয় করে। যদিও মুক্তির পরপরই বক্স অফিসের শীর্ষস্থান দখল করা মুভিটি অপেক্ষাকৃত কমসংখ্যক ১১০০টি থিয়েটারে প্রদর্শিত হয়েছিল। পাল্প ফিকশন ছিল ১৯৯৪ সালে সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী মুভিগুলোর মধ্যে ১০ম স্থানীয়। যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টরের ইমেজ নিয়ে যাত্রা শুরু করা টারান্টিনো ও সাহসী প্রযোজক Lawrence Bender-র জন্য বিশাল অর্জন। কিন্তু এ কথা মনে রাখতে হবে, মুভিটি আর্থিক সাফল্য না পেলেও ঠিকই কালজয়ী হয়ে থাকতো। কারণ অর্থ মুভির বরপুত্র, মানদণ্ড নয়।


মুভি জগতের অন্যতম গডফাদার পাল্প ফিকশনের অরৈখিক (নন-লিনিয়ার) গল্প বলার স্টাইল ও সাফল্য পরবর্তীতে প্রভাবিত করেছে অসংখ্য মুভিকে। উল্লেখযোগ্য, The Usual Suspects (1995), Zero Effect (1998), Snatch (2000), Memento (2000), Amores Perros (2000), Sin City (2005)।


পাল্প ফিকশন দর্শকদের উপর আস্থা রাখে, দর্শকদেরকে বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়। চলচ্চিত্র বিশারদ গাস্তঁ রোবের্জ বলেছেন, চলচ্চিত্র হল চিত্রনির্মাণের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিকল্পনা রচনা ও সেই পরিকল্পনার রূপায়ন। এই সংজ্ঞা অনুসারে পাল্প ফিকশন একটি সার্থক চলচ্চিত্র। খুব কম মুভি দেখে আমি ভীষণ পরিতৃপ্ত হয়েছি, পাল্প ফিকশন সেই দুর্লভ মুভিগুলোর একটি।

রেটিং: ★★★★★ (৫/৫)
রেটিং ভাষা: মাস্টারপিস/ক্লাসিক/মাস্ট সি

______________
পাঠকদের সুবিধার্থে এক নজরে নির্বাচিত মুভি/মিউজিক রিভিউ:

★মুভি রিভিউ★ কুয়েন্টিন টারান্টিনোর পাল্প ফিকশন - সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুভির একটি!
★মুভি রিভিউ★ The A-Team: মস্তিষ্ক-বিহীন ফরমালিনযুক্ত অ্যাকশন মুভি
★মুভি রিভিউ★ জনপ্রিয় হলিউড জুটি Bogart ও Bacal -এর রহস্য থ্রিলার Dark Passage!

সেক্স অ্যান্ড দি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার - সাইফ সামির - এর **মুভি রিভিউ**
**মুভি রিভিউ** দি ডার্ক নাইট: দি ডার্ক মুভি
**মুভি রিভিউ** অ্যাপোক্যালিপ্টো: দি প্যাশন অফ দি মায়া
**মুভি রিভিউ** দেবদাস থেকে দেব. ডি

মনপুরা: একশ শব্দের মুভি রিভিউ©
Grace: দুধের নয়, রক্তের বাচ্চা! (একশ শব্দের মুভি রিভিউ©)
তাশান: নিষ্প্রাণ জাঁকজমক (একশ শব্দের মুভি রিভিউ©)

**হরর মুভি রিভিউ** The Uninvited
**ডাবল মুভি রিভিউ** আয়রন ম্যান টু ও রবিন হুড

মিউজিক রিভিউ: এ. আর. রহমানের Blue
মিউজিক রিভিউ: রাজেশ রোশানের কাইটস
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:৪৩
৪৫টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×