অনেকে বলেন ধর্ম নাকি ব্যক্তিগত। রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের নাকি কোন সম্পর্ক নেই। ধর্ম যদি একান্ত ব্যক্তিগত হয়ে থাকে তবে আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মহীন বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র কেন বিভিন্ন তথ্য-বিবরণীতে ব্যক্তির ধর্ম সম্পর্কে জানতে চায়? একটি ধর্মনিরপেক্ষ বা রাষ্ট্রধর্মহীন রাষ্ট্রের কতোটুকু অধিকার আছে একজন ব্যক্তির ধর্ম সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ার ও প্রকাশ করার?
আমার আরও প্রশ্ন জাগে, ধর্মহীন বা ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি বিভিন্ন তথ্য-বিবরণীতে ধর্মের স্থলে কি লেখেন? তারা কি ওখানে নিজেকে নাস্তিক বা ধর্মনিরপেক্ষ বলে পরিচয় দেন? নাকি পৈত্রিক-সূত্রে পাওয়া ধর্ম পরিচয় স্বহস্তে উল্লেখ করেন? বরাবর দ্বিতীয়টি দেখে এসেছি। তাই আমার সম্পূরক প্রশ্ন, তারা কিভাবে পারেন নিজেদের আসল পরিচয়কে জলাঞ্জলি দিতে?
আমার আরও অবাক লাগে একজন ধর্মহীন ব্যক্তি কেন তার শেষকৃত্য ধর্মহীনভাবে করার নির্দেশ দিয়ে যান না? তারা কি এটা ভেবে দুঃখ পান না যে সারা জীবনের লালিত আদর্শের পরিপন্থায় তাদের অন্তিম শয়ন হবে? এ যেন নির্মম পরিহাস, সারা জীবন কেউ কোন একটি ধর্ম অনুসরণ করলো কিন্তু তার শেষ বিদায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভিন্ন আরেকটি ধর্ম অনুসারে! ধর্মহীনতাও কিন্তু একজাতীয় ধর্ম।
আবার রাষ্ট্রের ধর্ম প্রসঙ্গে ফিরে আসি। রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ বা ধর্মহীন হলে কি কি লাভ হয় যা রাষ্ট্র ধর্মযুক্ত হলে হয় না? রাষ্ট্র ধর্মযুক্ত হলে কি কি ক্ষতি হয় যা রাষ্ট্র ধর্মমুক্ত হলে হয় না? ধর্মমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা কি আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থা? রাষ্ট্রধর্ম থাকলে কি কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা আদর্শ হতে পারে না?
কেউ কেউ বলেন তার ধর্ম নাকি মানবধর্ম বা মানবতা। তবে কি তিনি বলতে চান বিশ্বের তাবৎ ধর্ম মানবতাহীন দানবধর্ম?
_______
☛ ধর্ম নিয়ে কিছু অধার্মিক কথা- ২