somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরিচয় একটাই আমরা বাংলাদেশী

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৫ জানুয়ারির পর থেকে আবার দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বির্তক। এই দিন রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে " সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার " ও " স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি " নামে তথাকথিত দুইটি সংগঠনের সংঘর্ষের পর থেকে। নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের শেষ পাতার একটি গ্রাফিতিকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। যেই গ্রাফিতিতে দেখানো হয়েছে একটি গাছের পাচঁটি পাতায় লেখা মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী আর পাশেই লেখা ছিল পাতা ছেড়া নিষেধ। ২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের শেষ পাতা থেকে সেই গ্রাফিতিটি বাদ দেওয়া হয়। এই বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগনের একটি অংশ " সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার " ব্যানারে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে একই সময় একই স্হানে " স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি " নামের একটি সংগঠনের ব্যানের বিক্ষোভের ডক দিলে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েক জন হতাহত হয় যা সত্যি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

আমাদের দেশে আদিবাসী, উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এই নিয়ে বির্তক অনেক দিনের। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন তারা নিজেদের আদিবাসী পরিচয়ে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করে। তার পেছনে কিছু ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কারন আছে। সেই আলোচনায় পরে আসি তার আগে জেনে নেই আদিবাসী কারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আদিবাসীকে সংজ্ঞায়িত করেছে এই ভাবে "যে সম্প্রদায়গুলো ভৌগলিকভাবে স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান বা পূর্বপুরুষের অঞ্চলগুলির মধ্যে বসবাস করে বা সংযুক্ত থাকে ও যারা নিজেদেরকে একটি স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর অংশ হিসাবে চিহ্নিত করে, এই অঞ্চলে উপস্থিত গোষ্ঠীগুলো থেকে বংশোদ্ভূত "। আর বিশ্বব্যাংকের মতে " আদিবাসীরা হচ্ছে স্বতন্ত্র সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী যারা বসতিস্থল এবং সেখানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের পথ পরিক্রমায় নিবিড় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি করে "। তার মানে আদিবাসী হলো একটি অঞ্চলে সুপ্রাচীন কাল থেকে বসবাস করা জনগোষ্ঠী। আদিবাসী কোন অঞ্চলের মূল জনগোষ্ঠী ও হতে পারে আবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এমনকি উপজাতি ও হতে পারে। তবে বিভিন্ন ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের কারনে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী আজ ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীতে পরিনত হয়েছে।

আদিবাসী শব্দটি প্রথম ইউরোপীয়দের দ্বারা ব্যবহার করা হয়েছিল। আদিবাসী ইংরেজি indigena যা লাতিন শব্দ indigena থেকে আসা । লাতিন ভাষায় indigena এর অর্থ " ভূমি থেকে সৃষ্টি , স্থানীয় "। আক্ষরিক অর্থে আদিবাসী শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ভূমিপূত্র। অর্থাৎ, ভূমির আদি বাসিন্দা। এবার আসি আমাদের বাংলাদেশের ভুমির আদি বাসিন্দা কারা। প্রাগৈতিহাসিক সময়কাল থেকে শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিক বিবেচনায় তাম্রপ্রস্তর তথা ‘কালো-ও-লাল’ মৃৎপাত্র স্তরের যুগে বাংলাদেশ ও ভারতের ‘বাঙালি’ নামের যে জনগোষ্ঠী তাদের বিকাশের ইতিহাস দৃশ্যমান। নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে তারা হাজার বছর ধরেই তারা এই ভূখণ্ডে বসবাস করে আসছে। প্রাচীন বাংলার নগর ও জনপদ গৌড়, সমতট, হরিকেল, পুণ্ড্র, বরেন্দ্র, উত্তর রাঢ়, দক্ষিণ রাঢ়, তাম্রলিপ্তি, চন্দ্রদ্বীপ ও বাংলার কথা আমরা জানি। বাঙ্গালিদের প্রথম রাষ্ট্রবিপ্লবের ইতিহাস ছিল বরেন্দ্র বিদ্রোহ যা কৈবর্ত বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ১০৭০ সালে পাল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল কর্মচারী দিব্যের নেতৃত্বে শুরু হয় কৈবর্ত সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহের মাধ্যমে কৈবর্ত নেতারা তৎকালীন দ্বিতীয় মহীপালকে হটিয়ে অর্থাৎ হত্যা করে ১০৭৭ সালে বরেন্দ্রকে নিজেদের অধীনে আনতে সক্ষম হন। পরবর্তী ১০৮২ খ্রিষ্টাব্দে পাল রাজা রামপাল সামান্তরাজাদের সহযোগিতায় কৈবর্ত নেতা ভীমকে হারিয়ে বরেন্দ্রকে নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হন। প্রসঙ্গত কৈবর্তরা মূলত জেলে শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। পালদের বিরুদ্ধে কৈবর্তদের বিদ্রোহের কারন ছিল নিজ ভুমি থেকে দখলদার পালদের উচ্ছেদ। এতে প্রমানিত হয় বরেন্দ্র অঞ্চলের আদিবাসী ছিল বাংলার কৈবর্ত সম্প্রদায় অর্থাৎ বাঙ্গালীরা।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ পেরিয়ে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় বসতি নির্মাণ করেছে। বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে প্রাপ্ত লিপি প্রমাণে দেখা যায় ঐতিহাসিক যুগের প্রাচীনতম বসতিটি খুব সম্ভবত শুরু হয়েছিল মৌর্য আমলে। তবে তার আগেও এই অঞ্চলে সমৃদ্ধ মানব বসতির চিহ্ন পাওয়া যায় খোদ মহাস্থানগড় এবং তার পাশাপাশি নরসিংদির উয়ারী-বটেশ্বর থেকে। মৌর্য, শুঙ্গ, কুষাণ, গুপ্ত, পাল ও সেন আমলের পরিক্রমায় মধ্যযুগে প্রত্যাবর্তন করে বাংলা সংস্কৃতি। পাশাপাশি কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি, ফেনীর ছাগলনাইয়া ও পার্বত্য রাঙ্গামাটি থেকেও কিছু প্রাগৈতিহাসিক বাংলা সংস্কৃতির দেখা মিলেছে।

নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকার পাশাপাশি মধুপুরগড় ও বরেন্দ্র ভূমির লালমাটিতে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার বছর আগেও সমৃদ্ধ মানববসতির অস্তিত্ব ছিল। পাশাপাশি মহাস্থানগড়ে ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন দল কর্তৃক পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননে সাতটি স্তরে উন্মোচিত হয়েছে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক নিদর্শন। ধারাবাহিক এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্তরায়ণ প্রমাণ করে প্রাচীনতম সেই বসতির ধারাবাহিকতাই বাংলাদেশে এখনো চলমান। তাই এখানে আলাদা করে অন্য কারও আদিবাসীতার দাবি তোলা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণসিদ্ধ নয়।

বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯ সালে প্রকাশিত এক গেজেটে দেখা যায়, বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যান্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংখ্যা ৫০টি। তারা সবাই নিজেদের ''আদিবাসী'' হিসাবে দাবি করলেও ঐতিহাসিক ও বাস্তবতার নিরিখে বাংলাদেশের সরকার তাদের " আদিবাসী " হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বার এতদঞ্চলে আগমন কয়েকশ’ বছরের বেশী পূর্বে নয়। বিশেষ করে চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলার চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা এই তিন প্রধান সম্প্রদায়ের এতদঞ্চলে আগমনের নানা বিবরণ সুনির্দিষ্ট ভাবে ইতিহাসে বিধৃত আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যাগরিষ্ট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমাদের আগম তিন থেকে চারশত বছর আগে থাইল্যান্ড বা মিয়ানমারের কোন একটি অঞ্চলে গোত্রীয় সংঘাতের জের ধরে তারা জীবনরক্ষার্থে চট্টগ্রামের এসে বসতি স্থাপন করলে ও ব্রিটিশ শাসকরা লুসাই পাহাড়ের দখল নিতে চাকমাদের ব্যবহার করে। পরবর্তীতে তাদের বসতি স্থাপনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামে সুযোগ করে দেওয়া হয়।

ম্রো পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রাচীন জাতি এবং বান্দরবান জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। ম্রোদের আদি নিবাস মায়নামারের আরাকান রাজ্য। আনুমানিক ১৪৩০ খ্রিঃ অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৫৯২ বছর আগে ম্রোরা বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম, থানছি ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে। মারমা সম্প্রদায়ের ইতিহাসও প্রায় একই রকম। কয়েক বছর আগে বান্দরবনের সাবেক মং রাজা অংশে প্রু চৌধুরী এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন-‘আমরা এই অঞ্চলে আদিবাসী নই’। বান্দরবন এলাকায় মারমা বসতি ২০০ বছরেরও পুরনো। মং রাজাদের বংশলতিকা এবং ইতিহাস ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ থাকায় এ বিষয়ে সংশয়ের কিছু নেই। আর ত্রিপুরাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে আগমন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজার রাজরোধ থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে তবে সেটা ও বেশি দিনের নয়। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের বাকী ৮টি ক্ষুদ্র জাতি একই।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গারো, হাজং, সাঁওতাল,রাখাইন, ওরাঁও, রাজবংশী, মনিপুরী, খসিয়া, মুন্ডা, তঞ্চঙ্গা, চাঁক,লুসাই, কোচ,ডালু, খুমি, খিয়াং, পাংখোয়া প্রভৃতি বিভিন্ন জনগোষ্ঠী রয়েছে। এদের অধিকাংশেরই বৃহত্তর অংশ রয়েছে প্রতিবেশী ভারতে। ক্ষুদ্রতর একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে এসেছে। তারাও দীর্ঘকাল ধরে এদেশে বসবাস করছে বিধায় সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। আর একজন নাগরিক হিসেবে সমঅধিকার ও সমসুযোগ তাদের অবশ্যপ্রাপ্য। এবং সেই সুযোগ ও তারা ভোগ করছেন। তবে তারা কেউই বাংলাদেশের আদি বাসিন্দা অরী " আদিবাসী " নয়।

আমি আগেই বলেছি আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের " আদিবাসী " বলে পরিচিত করতে ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ আছে এটা স্পষ্ট। সমাজে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করা নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। তবে সেই কাজ করতে গিয়ে দেশের বৃহত্তর জনসমষ্টির সাথে তাদের দূরত্ব বাড়িয়ে দেওয়া, কিংবা বৈরী অবস্থান তৈরী করা মোটেও বাঞ্ছনীয় বা কল্যানকর নয়। পশ্চিমা বিশ্বের কিছু কিছু ধর্মীয় সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর কল্যানের নাম করে তাদের মুলধারার জনগনের সাথে সম্পৃক্ততার কথা বলে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পক্ষান্তরে তাদের মূল লক্ষ্য হলো পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের উন্নয়নের নামে তাদের ধর্মান্তরিত করা। এতে তারা স্বার্থক ও হয়েছে। আমাদের দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ ই আজ তাদের পূর্ব পুরুষের ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহন করে নিজেদের কৃষ্টি সংস্কৃতি প্রায় ভুলতে বসেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের বেলাই নয় পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের ই একই অবস্হা। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সব ক্ষুদ্র জাতি-উপজাতি আজ খ্রীষ্ট ধর্মের বলয়ে।একটি শ্রেনী তাদের নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য উস্কে দিচ্ছ আমাদের পর্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের। এতে জন্ম নিয়েছে বিভিন্ন উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। যারা আজ তৎপর নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে। এমন ক্ষমতার ও প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করতে দ্বিধা করছে না। আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র গুলি ও তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের সম্প্রতিতে ফাটল ধরাচ্ছে। তাদের মদদেই আমাদের পার্বত্য অঞ্চল আজো অশান্ত। সকল তর্ক বির্তকের উর্ধ্বে এসে এটাই সত্য আমরা সবাই বাংলাদেশী। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ জাতিগত বহুত্ববাদ এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার প্রেক্ষাপটে প্রতিষ্ঠিত। তাই এই বাংলাদেশে কেউই আদিবাসী বা সেটেলার নয় আমাদের একটা ই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।




২০৯ বার পঠিত
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইলো আইলো আইলোরে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮


ভোরের আলোয় রঙিন হওয়ার দিন
পহেলা বৈশাখ এসেছে বাংলার দোরগোড়ায়—রাঙা চেলি কাপড়ে মোড়া এক সকাল, যার হাত ধরে ফিরে আসে প্রাণের ছন্দ। আকাশে লাল সূর্যের আভা, হাওয়ায় মিষ্টি কাঁচা আমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ ঈশান কোনে ঝড়

লিখেছেন ইসিয়াক, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৪


মেঘ গুড়গুড় মেঘ গুড়গুড়

ঈশান কোনে ঝড়।

বাতাস তোড়ে ঘূর্ণিপাকে

ধুলো মাটি খড়।

পাখপাখালি ব্যস্ত চোখে

খুঁজছে আশ্রয়।

বিপদাপন্নর চোখে মুখে

অজানা শঙ্কার ভয়।

কড়কড়াকড় বাজ পড়ছে

আলোর ঝিলিকে।

প্রলয় কান্ড ঘটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৪৩২ বয়স!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪



বাংলা নববর্ষ নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস -
উন্মাদনা বিশেষত যারা একদিনের জন্য নিখাঁদ বাঙালি হয়ে 'মাথায় মাল' তুলে রীতিমতো উত্তেজনায় তড়পাতে থাকেন তাকে খাস বাংলায় বলে ভণ্ডামি!

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×