somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামিলীগের নেতা-কর্মীদের কি অনুশোচনা নেই?

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া ছাত্রলীগের সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও গোলাম রাব্বানী তাদের ফেইসবুকের ওয়ালের স্ট্যাটাস আমার মত অনেকের ই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সিদ্দিকী নাজমুল আলম তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, " আত্মশুদ্ধি, আত্মসমালোচনা করা দরকার সবার আগে। ব্যক্তিগতভাবে আমি করছি প্রায় ১০ বছর ধরে । বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হলে বিবেকের আদালতে নিজেদেরকে শাস্তি দিয়ে তৃণমূলের কাছে আমরা যারা জাতীয় রাজনীতি করি প্রায় সবাইকে ক্ষমা চাইতে হবে । আদর্শ আর ক্ষমতা এক জিনিস না " আর গোলাম রাব্বানী তার স্ট্যাটাসে সিদ্দিকী নাজমুল আলমে মত ই লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, " আওয়ামিলীগকে এটা নিশ্চিতভাবেই উপলব্ধি করতে হবে, উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও ভালো কাজের পাশাপাশি দীর্ঘদিন সরকারি ক্ষমতার বলয়ে থেকে তাদের শরীরে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ হ্রাস, জন ও কর্মীবিচ্ছিন্নতার বিষফোঁড়া ও ক্ষত দৃশ্যমান। আওয়ামিলীগকে এককালে মন থেকে ভালোবেসে সমর্থন করা মানুষও তাই সংক্রমণ শঙ্কায় কাছে ঘেঁষতে ক্ষাণিক নিরুৎসাহিত ও দ্বিধান্বিত"। গোলাম রাব্বানী আরো লিখেছেন, "এই মানুষগুলোই যখন দেখবে, আওয়ামিলীগ আত্মোপলব্ধি করে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে শরীরের সেই বিষফোঁড়া আর ক্ষতগুলো একে একে চিহ্নিত করে প্রতিনিয়ত ড্রেসিং করছে, কার্যকর মেডসিন প্রয়োগ করছে, নিয়মিত যত্ন নিচ্ছে এবং ধীরে ধীরে ক্ষত সেরে উঠছে তখন তারাই ফের সাহস করে উৎসাহ, ভালোবাসা ও আন্তরিকতা নিয়ে আবার কাছে আসবে, পাশে থাকবে এবং প্রতিনিয়ত পাল্লা ভারী হবে। " সাবেক এই দুই ছাত্র নেতা মত দেশের সকল মানুষের মনে করে আওয়ামিলীগের নেতাদের ভিতর আত্মশুদ্ধির বড়ই অভাব। তারা নিজের ভুল বা অপরাধে কোন অনুশোচনা করে না বা করছে না তাদের ভিতরে কোন অপরাধ বোধ আছে বলেও মনে হয় না।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের মাটিতে এক বিরাট পরিবর্তন হয়ছে ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর আর কোন আন্দোলন সংগ্রামে এত সাধারন মানুষের জীবন দিতে হয় নাই যা গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দিয়েছে। এই ২০ দিনের আন্দোলনে প্রায় দুই হাজারের মত সাধারন মানুষ জীবন দিয়েছেন সেই সাথে প্রায় বিশ হাজারের মত সাধারন মানুষ আহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই চিরতরে পঙ্গুত্ব বরন করেছেন। যারাই এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন বা আহত হয়েছেন তারা সকলেই আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে আক্রান্ত। হউক সেটা তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বা আওয়ামিলীগ বা তার অঙ্গ সংগঠন কিংবা কোন সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গুলিতে। তবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামিলীগ ও এর প্রধান হিসেবে শেখ হাসির দেশের এত সাধারন মানুষের জীবন দান ও পঙ্গুত্ব বরনের জন্য কোন ধরনের অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই। বরং তাদের ভিতর এক ধরনের আক্রমনাত্মক ও প্রতিহিংসার মনোভাব এখন বিদ্যমান। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি ফোনালাপে ই প্রমান মিলে। কখনো তিনি তার নেতা কর্মীদের মানুষের বাড়ী- ঘড়ে আগুন দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন আবার কখনো তালিকা করে হত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নেওয়া জন্য বলছেন। সর্বশেষ দেশে গৃহযুদ্ধ লাগানোর কথা ও শুনলাম শেখ হাসিনার দুর্নীতি ও সুবিধাপুষ্ট ডেনমার্ক আওয়ামিলীগের নেতাদের সাথে ফোনালাপে। এর আগে শেখ হাসিনার ট্রাম্পকার্ড ছিল নবনির্বাচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি। যদি ও একে একে তার সব ষড়যন্ত্র ই ফাঁস হয়ে জাতির সমানে তার আরো ভয়ংকর চেহারাটা ফুটে উঠেছে। শেখ হাসিনার যেই ভয়ংকর মানসিকতার কথা আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা মতিউর রহমান রেন্টুর " আমার ফাঁসি চাই " গ্রন্থে পরেছি বিগত সময়ের ও শেখ হাসিনার ফোনালাপের কথোপকথনের সাথে প কর্মকান্ডে সম্পুর্ন ভাবেই মিলে যায়।

গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র- জনতার আন্দোলন দমনে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সরকার যেভাবে অবৈধ শক্তি প্রয়োগ করে প্রাণহানি ও হতাহত করা হয়েছে তার জন্য শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন শোক বা দুঃখ তো প্রকাশই বরং আরো নানা ধরনের হুংকার শুনতে হচ্ছে তাদের মুখ থেকে যা আমি আগেই বলেছি। এমন কি গত জুলাই- আগষ্টের ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থাকে বিদেশী শক্তির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দেওয়ার চেস্টা করছেন ওসামা বিন লাদেনের মত আত্মগোপনে থাকা আওয়ামিলীগের অনেক শীর্ষ নেতা। সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে ও তেমনি উল্লেখ করা হয়।

২৩শে জুন ১৯৪৯ সালে আওয়ামিলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে বহুবার নানান প্রশ্নের মধ্যদিয়ে অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছে। এর মধ্যে ১৯৫৪-এর নির্বাচন, ১৯৬৬-এর ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের এই দলটির অবদান অনস্বীকার্য। তবে ১৯৭৫ সালের ২৪শে জানুয়ারি খোদ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান নিজ হাতেই এই আওয়ামিলীগের সলিলসমাধি করে বাংলাদেশ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে এই বাকশাল প্রতিষ্ঠার ই ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার অন্যতম কারন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান হত্যার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তৎকালীন বাকশালের সাথে সম্পৃক্ততায় চরম বেকায়দায় পরেছিল তৎকালীন বাকশালী নেতারা। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থালায় হয়তো তেমন কঠিন রাজনৈতিক পরিস্হিতি উপলব্ধি করতে পারেন নাই শুধু ঘনিষ্ঠজন হারানোর বেদনা ছাড়া। শেখ মজিবর রহমান যেহেতু প্রায় সপরিবারে খুন হয়েছিলেন তাই বাংলাদেশের সাদাসিধা সাধারন মানুষ এরপর ও আওয়ামিলীগ এবং শেখ মজিবরের পরিবারের সদস্যদের এক ধরনের সহানুভূতির চোখেই দেখেছেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালে জনগনের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামিলীগ আর শেখ হাসিনা হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এর পর ই তিনি অতীতের অনেক কিছুই ভুলতে বসেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় অনুষ্ঠিত কৌশলী নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয়ের পর শেখ হাসিনা অতীতের সব কিছু সম্পুর্ন ভাবে ভুলে গিয়ে আস্তে আস্তে হিটলার আর মুসোলিনি পথ অনুসরণ করে পরিনতি হন এক ভয়ংকর স্বৈরশাসকে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই প্রথম যে কাজটি সুপরিকল্পিত ভাবে সম্পন্ন করেন তা হলো তৎকালীন পিলখানায় তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অনেকটাই মনোবল শূন্য করার চেষ্টা করেন। এর পর শেখ হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট কিছু বির্তকিত সেনা কর্মকর্তার দ্বারা গুম খুনের মত অপকর্ম করিয়ে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে অনেকটা বির্তকের মধ্যে আনা হয়। সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের সাধারন মানুষের আস্হার অনেকটাই ভাটা পরে। অবশ্য ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর পর আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি জনগনের আস্তার ঘাটতি অনেকটাই কমতে থাকে। আমাদের সেনাবাহিনী আবার নতুন করে বাংলাদেশের সাধারন মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিতে ইতোমধ্যে শুরু করেছে। তবে অনেকেরই প্রশ্ন এত হাজার হাজার মানুষ খুনের পর শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে কেন আমাদের সেনাবাহিনী দেশ ত্যাগে সহায়তা করলো? আর যেই ৬২৬ জন বিভিন্ন পেশার মানুষ শেখ হাসিনা পালানোর পর বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিল তারা কারা এখনই বা তারা কোথায় আছেন? ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সংবিধান সংশোধন সহ এহেন কোন অপকর্ম নাই যে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা গত পনেব বছর করেন নাই। শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামিলীগ এখনো বৈশিষ্ট্যগত ভাবে ভাল হয় নাই ভবিষ্যতে ও যে ভাল হবে সঠিক পথে আসবে তার তেমন কোন সম্ভবনা ও বর্তমানে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং শেখ হাসিনা ও তার সুবিধা ভোগী দোসররা ক্ষমতা হারানোর শোকে আরো বেপরোয়া হয়ে পরেছেন। শেখ হাসিনার ভিতর প্রতিহিংসা ও স্বৈরাচারী মনোভাব এখন আরো জোরালো। তার এই মনোভাবকে উৎসাহের সাথে সমর্থন করে যাচ্ছে তার ই বিবেক বর্জিত হিংস্র মনোভাবাপন্ন নেতা কর্মীরা। কোন বিবেকবান সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনোই একজন মানুষ হত্যাকারীকে সমর্থন করা তো দুরে কথা তার নাম টা পর্যন্ত ভাল ভাবে শোনার ইচ্ছা পোষণ করার কথা নয়। তার পর ও এক শ্রেণীর মানুষ রুপীরা তা করছে।

এই প্রসঙ্গে জাতীয় নেতা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের পুত্র সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ তার ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, " একটি পরিবার ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে, শত শত মানুষেকে অন্ধ করে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে, দুর্নীতি করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে আওয়ামিলীগ সংগঠনকে ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতা কর্মীদেরকের উস্কিয়ে দিচ্ছে যাতে তারা আবার বাংলাদেশকে শোষণ করতে পারে। তারা বিদেশে বসে পাচার করা টাকার পাহাড়ে বসে খেলা দেখছেন। " তার মানে স্পষ্ট এখন যারা বাংলাদেশে থেকে শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলার চেস্টা করছেন পক্ষান্তরে তারা কোন কিছু না বুঝে সমান্য স্বার্থের মোহে লাফাচ্ছেন। তারা কিন্তু তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মোটেও ওয়াকিবহাল নয়।

আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা অনেকরই আবার মন্তব্য শেখ হাসিনা আওয়ামিলীগকে রাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় ভাবে যে ক্ষতি করছে তা পূরণ করা খুবই কষ্টসাধ্য। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের পরের ঘটনা টেনে তাদের মন্তব্য তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য খুন হওয়ার ফলে দেশের সাধারন মানুষের শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামিলীগের প্রতি এক ধরনের সহানুভূতি ছিল। তার ই ফলশ্রুতিতে ১৯৯৬ সালে গনঅভ্যুত্থানে জনগণের সমর্থন পেয়েছিল এর পর সাধারন নির্বাচনে ও আওয়ামিলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসতে সক্ষম হয়। তবে জুলাই- আগস্টের ছাত্র-জনতার গনঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার হাত যে হাজার হাজার সাধারন মানুষের রক্তে রাঙিয়েছে এই ক্ষত দেশের সাধারন মানুষ ও সহসায় ভুলবে না আর দল হিসেবে আওয়ামিলীগ ও এই ক্ষতি সহসায় পুরন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আওয়ামিলীগের বর্তমানে কতজন বিবেকবান নেতা কর্মী আছেন বা কত জন সম্পৃক্ত ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন আসে।

দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষের মতামত এখন আওয়ামিলীগের রাজনীতি অন্তত একটি সময়িক সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করার পক্ষে। সেই সাময়িক সময়টা অন্তত আগামী তিনটি সাধারণ নির্বাচন। যেই সময় কাল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার, গনতন্ত্র সহ সকল মৌলিক অধিকার হরন করেছে শেখ হাসিনা ও তার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ। আর যদি বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামিলীগকে রাজনীতির সুযোগ পেতে হয় তা হলে অবশ্যই গত পনের বছরে আওয়ামিলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যেই সকল নেতা-কর্মী যত অপকর্ম করছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনার সহযোগিতা ও সমর্থন করে জাতীর কাছে গত পনের বছরের সকল অপকর্মের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে নতুনদের নিয়ে রাজনীতিতে আসলে হয়তো জাতি তাদের ক্ষমা করে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিতে পারে। তা না হলে বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামিলীগের রাজনীতি এদেশের সাধারন মানুষ সম্পুর্ন ভাবে প্রত্যাখান করে তাদের প্রতিহত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইলো আইলো আইলোরে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮


ভোরের আলোয় রঙিন হওয়ার দিন
পহেলা বৈশাখ এসেছে বাংলার দোরগোড়ায়—রাঙা চেলি কাপড়ে মোড়া এক সকাল, যার হাত ধরে ফিরে আসে প্রাণের ছন্দ। আকাশে লাল সূর্যের আভা, হাওয়ায় মিষ্টি কাঁচা আমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতাঃ ঈশান কোনে ঝড়

লিখেছেন ইসিয়াক, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৪


মেঘ গুড়গুড় মেঘ গুড়গুড়

ঈশান কোনে ঝড়।

বাতাস তোড়ে ঘূর্ণিপাকে

ধুলো মাটি খড়।

পাখপাখালি ব্যস্ত চোখে

খুঁজছে আশ্রয়।

বিপদাপন্নর চোখে মুখে

অজানা শঙ্কার ভয়।

কড়কড়াকড় বাজ পড়ছে

আলোর ঝিলিকে।

প্রলয় কান্ড ঘটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৪৩২ বয়স!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪



বাংলা নববর্ষ নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস -
উন্মাদনা বিশেষত যারা একদিনের জন্য নিখাঁদ বাঙালি হয়ে 'মাথায় মাল' তুলে রীতিমতো উত্তেজনায় তড়পাতে থাকেন তাকে খাস বাংলায় বলে ভণ্ডামি!

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×