বেশ কয়েকদিন ফেসবুকে ঢুকা হয়না শূণ্যের। আজ ঢুকতেই দেখল একগাদা নোটিফিকেশন। অনেকগুলো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আর ৪টি মেসেজ। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করাতে শূণ্য কোনও বাছবিচার করে না। চোখ বন্ধ করেই সবগুলো অ্যাকসেপ্ট করে দিল। প্রথম দুইটা মেসেজ হল গ্রুপ থেকে পাঠানো।কিছু পাবলিক আছে যাদের কোনও কাজ নাই গ্রুপ খুলে খুলে মানুষকে ফালতু মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করা ছাড়া। রাগে গজগজ করতে করতে না পড়েই মেসেজ দুটা ডিলিট করে দিল শূণ্য।পরের মেসেজটা একটা মেয়ের, নাম শারমীন। বাংলায় লেখা-
“শূণ্য উপত্যকা কেমন আছেন? আমি কি আপনার ফ্রেন্ড হতে পারি?”
শূণ্য রিপ্লাই দিল-
“হয়ে গেছেন।”
কতক্ষণ বার্নবাডিতে ঢুকে বাগান-টাগানে চুরি করে শূণ্য ঢুকে পরল ব্লগে। কয়েকদিন অনলাইনে না থাকায় অনুসারিত ব্লগে অনেকগুলো লেখা জমা পরে গেছে। ২৭ টা। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করল পড়া।
অনেকক্ষণ পর আবার ফেসবুকে চোখ বুলাল সে। আরও একটি নতুন মেসেজ ঐ মেয়েটার। সে লিখেছে-
“আচ্ছা, উপত্যকা শূণ্য কেন?”
হাসল শূণ্য। ব্লগে আসার পর থেকে অজস্রবার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে ওকে।বরাবরের মতই মজা করে সে লেখল-
“কেউ পাশে নাই তো তাই উপত্যকা শূণ্য।আচ্ছা আপনি কি ব্লগার? আপনাকে ঠিক চিনলাম না তো তাই।”
উত্তর আসল-
“না। আমি অবশ্য নিয়মিত ব্লগ পড়ি। বিশেষ করে আপনারটা। আপনি বেশ লেখেন।”
মেয়েদের প্রশংসা মানে স্পেশাল কিছু। ভিতরে ভিতরে গলে গেল শূণ্য। তবু লেখল-
আরে কি যে বলেন আমার চেয়ে কত ভাল ভাল ব্লগার পরে আছে সামুতে। সেই তুলনায় তো আমি কিছুই না।
মনে মনে অবশ্য শূণ্যর ধারনা আসলেই তার চেয়ে ভাল সামুতে আর কেউই লেখতে পারে না।
এরপর মাস খানেক ধরে প্রতিদিন এই মেয়ের সাথে চ্যাট করতে লাগল শূণ্য। অবশ্য ফেসবুক বা ব্লগের মেয়ে যাদের সাথে সে কোনোদিন কথা বলে নাই তাদের ব্যাপারে শূণ্য ব্যাপক সতর্ক। এই ব্যাপারে ব্লগার টানজিমা ওকে প্রথমেই সতর্ক করে দিয়েছিল। প্রথম যখন সে ব্লগে আসে তখন টানজিমা চ্যাটে ওকে বলেছিল,
“শূণ্য তুমি কি জান আমি তোমাকে অনেক পছন্দ করি?”
“জানি।”
“তাহলে শুন তোমাকে একটা কথা বলি ব্লগে বা ফেসবুকে যদি কোনও মেয়ে তোমার প্রতি বেশী আগ্রহ দেখায় তবে সতর্ক থাকবে।”
“কেন টানজি ভাই?”
“ছাইয়া চিন?”
“হুম চিনি।”
“ব্লগ আর ফেসবুকে বেশীরভাগই ছাইয়া।”
“তোমায় বলল কে?”
“আরে কি আজব! কে বলবে? আমার নিজেরই তো ৫টা ছাইয়া নিক আছে।”
অবশ্য এত সতর্ক থেকেও কোনও লাভ হচ্ছে না। শূণ্য ঠের পাচ্ছে শারমীনের সাথে চ্যাট না হলে ওর খারাপ লাগে।এরমধ্যে শূণ্যের নিক থেকে শারমীন দুইটা কবিতাও পোস্ট করে ফেলেছে সামুতে। যদিও মেয়েটার অনেক সমস্যা আছে। যেমন সে কোনও ছবি দেখাচ্ছে না ওকে আবার বলে তার নাকি কোনও মোবাইল নাই। অবশ্য দুইদিন ভয়েস চ্যাট হয়েছিল ওদের। তাছাড়া ওর কথাবার্তাও কেমন যেন খাপছাড়া। তবু শূণ্য ঠের পেল মেয়েটাকে সম্ভবত ভালবাসতে শুরু করছে সে।
কিন্তু কিভাবে আমিষ বিবিকে(শারমীন কে সে আমিষ ডাকে। প্রথম ডাকত মাংস ও মাছ) সে একথা বলবে তা ঠিক বুঝতে পারছে না। শূণ্য ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য ব্লগার জুনকে ফোন করল।
ফোন রিসিভ করেই চেঁচিয়ে উঠল জুন। “আজকে সূর্য কোনদিক থেকে উঠছেরে শূণ্য?”
হাসল শূণ্য। "কেন আপা?”
“তোকে ফোন করেও খোজে পাওয়া যায় না আর তুই কিনা নিজেই ফোন করছিস আমায়। ঘটনা কি?”
“আপা একটা সমস্যায় পরেছি।”
“কি হয়েছে বল? ব্লগে কারো সাথে ঝামেলা লেগেছে?”
“আপা আমি একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেছি। এখন কিভাবে তাকে বলব তা বুঝতে পারছি না।”
“শূণ্য মেয়েটা কেরে? ব্লগার?”
“ঠিক ব্লগার না।তবে..”
“আমার সাথে লুকচ্ছিস? আমি ঠিক ধরতে পারছি এটা ব্লগার ইসরা। তাই না?”
“আপা তোমার মাথায় ঘিলু নাই? আমার বয়স হল ২৫ আর তুমি কিনা আমার চেয়ে ১১ বছরের বুড়ো বিবাহিতা এক মহিলাকে আমার সাথে জুটিয়ে দিলে!”
“ও: তাই তো! তাই তো! আমি বুঝতে পারছি এটা ব্লগার সুরন্জনা।কি ঠিক না?”
“আপা ঘুমের পিল কি একটা বেশী খেয়ে ফেলছ আজ?”
রেগে গেল জুন। “এই তুই এসব কি বলছিস? আমি ঘুমের পিল খাব কোন দু:খে? বিছনায় শুলে আমার এমনিতেই ঘুম চলে আসে।”
“আপা তোমাকে ফোন করাটাই আমার ভুল হয়েছে। রাখছি মাপ চাই।”
“এই শূণ্য এই শুন....”
“কি বল।"
"মেয়েটার নাম বলে যা।”
“নাম শুনতে চাও?”
“হুম।”
“নাম হল ব্লগার মাহজাবীন জুন। পরকীয়া আর বয়স একটু বেশী তাতে কি? ইউরোপ আমেরিকায় এমন প্রেম অহরহ হচ্ছে।”বলেই ফোন কেটে দিল সে। শূণ্য জানে জুনের অবস্থা আজকে খারাপ হবে। জুন আপা এমনি।মাথা গরম মহিলা।
যা ভেবেছিল তাই। ও ফোন কাটতেই বেশ কয়েকবার ফোন দিল জুন।ও রিসিভ না করাতে মেসেজ পাঠাল সে-
Sunoh toi asob ki bolcis? Tor dulabai amn kata sunle r amake blog a aste dibe na.amnitey se amai sondeo kore. Ami akn ki korbo?
জুন কে নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। উনি এমনিতেই একটু পর সব ভুলে যাবেন। শূণ্য ব্যাপারটা নিয়ে হামার সাথে কথা বলবে ভাবল। চ্যাটে নক করতেই হামা বলল, “শূণ্য কি খবর? কেমন আছ তুমি?”
“ভাল না হামা ভাই। মনের অবস্থা খারাপ।”
“কেন মনের আবার কি হল?”
“হামা ভাই আমি এক মেয়ের প্রেমে পরে গেছি। এখন ওর সাথে কথা না বললে ওকে নিয়ে রাত না জাগলে আমি অস্থির হয়ে যাই। কিন্তু মেয়েটাকে কিভাবে বলব তা বুঝতে পারছি না। হেল্প করো।”
কতক্ষণ চুপচাপ। তারপর হামা লেখল, “শূণ্য আমি খুব হতাশ। তোমার মত একটা ছেলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এজন্য। তোমার মধ্যে প্রতিভা ছিল। সবচেয়ে বড় কথা হল সাহিত্যিক হওয়ার প্রথম শর্ত প্রচুর বই পড়া সেটাও তোমার মধ্যে ছিল। আর সেই তুমি কিনা ফালতু মেয়েদের পিছনে ছুটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছ। শেইম! শুন এসব মেয়ে টেয়ে বাদ দাও। অনেকদিন হল গল্প লেখছ না। যাও ভাল করে একটা গল্প লেখ। এখন ভাগ! আমার মেজাজটাই তুমি গরম করে দিয়েছ।আমি যাই গান শুনে আসি।”
“ঠিক আছে হামা ভাই।”
চ্যাট বন্ধ করে শূণ্য ভাবল হামা ভাই যে কি বলে! প্রেম ছাড়া জীবনে সবই মিছে! আমি শারমীনকে বলবই বলব। আজই বলব। কারো হেল্প দরকার নাই আমার।
শারমীন কতক্ষণ চুপ করে লেখল, “তুমি আমাকে না দেখেই ভালবেসে ফেললে?”
“দেখ আমি একজন সাহিত্যিক। আর একজন শিল্পী কখনই বাহ্যিক রূপ দেখে না। সে দেখে মানুষের মন। তোমার মনটা অনেক ভাল। নদীর পানির মত স্বচ্ছ।”
“বল কি? নদীর পানি তো ঘোলাটে হয়। আমার মন কি নদীর মত।”
“তোমার সাথে আমি কথাই পারব না। সোজাসুজি বলি তুমি যেমনই হও না কেন আমি তোমায় ভালবাসি।”
“কিন্তু তোমাকে না দেখে আমি কোনও মতামত দিতে পারছি না।”
“ঠিক আছে ছবি দেখ। আমি এখুনি পাঠাচ্ছি।”
“ছবি না তুমি সরাসরি আস।”
“কবে?”
“বুধবার বিকালে চলে আস।”
“কোথায়?”
“বসুন্ধরায় আস।ঢাকাইয়ার সামনে বসব আমি।”
“ওকে।”
৪টায় দেখা করার কথা। শূণ্য আবার সবসময় খু্ব সতর্ক তাই বিকাল তিনটায় এসে গেল সে। ৪টার দিকে ঢাকাইয়ার সামনে সে এসে দেখে একটা বেটে ছেলে বসে আছে সাথে একটা মেয়ে। সে বসবে না বসবে না করে ওদের সামনেই বসল। ভাল করে ছেলেটার দিকে থাকিয়ে অবাক হল শূণ্য। “এক্সকিউজ মি! আপনি কি ব্লগার পাকা?”
ছেলেটা নড়েচড়ে বসল। “হ্যাঁ। আপনি চিনেন আমাকে? অবশ্য না চিনার কি আছে আমিই সেই বিখ্যাত মশা ছড়াকার!”
“জী,আমি ব্লগার শূণ্য উপত্যকা।”
পাকা বলতে গেলে ঝাঁপিয়ে পড়ল ওর উপর। “আরে তুই তাহলে শূণ্য! সারাদিন কি জিমে থাকিস নাকি?”
মুচকি হাসতে লাগল শূণ্য। “কেন বল তো?”
“বডি তো বানাইছস একখান।”
হেসে ফেলল শূণ্য। “প্রতিদিন ঘন্টাখানেক সময় কাটাই অবশ্য।”
“আচ্ছা এখানে কি জন্য এসেছিস? এমনি? নাকি কেউ দেখা করতে আসবে?”
“আমার এক কাজিন আসবে।”
“তাই? আবার প্রেমিকা নাতো।”
“আরে দুর কি যে বল! প্রেম করার সময় কই?”
শূণ্য ফিসফিস করে বলল “পাকা ভাই তোমার সাথের এই ডানাকাটা পরীটা কে?”
হঠাৎ চোখেমুখে চাপা হাসির ঝিলিক খেলে গেল পাকার।বলল “ও আমার কাজিন।”
“পরিচয় করিয়ে দিবে না?”
“তুই নিজে পরিচিত হয়ে নে না। নাকি লজ্জা পাচ্ছিস?”
মেয়েদের অবশ্য সবসময়ই লজ্জা পায় শূণ্য। চেয়ার টেনে আড়ষ্ট হয়ে বসল সে।মেয়েটার দিকে না থাকিয়েই সে বুঝতে পারল মেয়েটা হাসছে ওর দিকে থাকিয়ে।থাকাতেই বলল “শূণ্য কি খবর?”
চমকে উঠল শূণ্য। “আপনি? মানে...”
ওকে থামিয়ে মেয়েটা বলল “আমিই শারমীন।” বলেই হাসতে লাগল আবার।
হকচকিয়ে গেল শূণ্য। বোকার মত একবার পাকার দিকে আর একবার শারমীন এর দিকে থাকাতে লাগল সে।
নীরবতা ভাঙল শারমীন। “পাকা ভাইয়া তোমার ফ্রেন্ডকে বলেছিলাম ওকে দেখে বলব ওর সাথে প্রেম করব কিনা। বলে দাও আমার ওকে আমার পছন্দ হয় নি। কাইল্যা পোলা। কাইল্যা ছেলেদের আমি বিয়ে করবনা। আমার ধারনা আমার ছেলেমেয়ের গায়ের রং হবে ওদের বাবার মত। বাচ্চাগুলো কালো হোক তা আমি চাইনা।” বলেই হি হি করে হাসতে লাগল সে।
রাগে আগুন হয়ে গেল শূণ্য। চেঁচাতে লাগল সে “পাকা ভাই এইসব কি? আমার সাথে এই ফাজলামি করার মানে কি?”
পাকা বিব্রত হয়ে বলল “শূণ্য প্লিজ সিন ক্রিয়েট করিস না।সবাই এদিকে থাকিয়ে আছে। বস আমি তোকে বলছি সব।”
“কিসের বসাবসি!” বলে বের হয়ে আসল সে। পথে ঠের পেল অজস্রবার রিং হচ্ছে মোবাইলে।
বাসায় এসে মেজাজ ঠাণ্ডা হলে পাকাকে ফোন করল সে। “পাকা ভাই এমন করলা কেন বল তো?”
“শূণ্য আমার আসলে ইচ্ছা ছিল তোর সাথে ভার্চুয়ালি ফাজলামো করার। শারমীনকে বললাম সেও রাজী হল। বাস্তবে দেখা করা বা ফাজলামো করার আমার কোনও ইচ্ছাই ছিল না। আর সে যে এখনও তোর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে তাও আমি জানতাম না। বিশ্বাস কর আমায়। আমি ওর জোরাজুরিতে তোর সাথে মিট করার জন্য এসেছিলাম।
এমন হবে জানলে বিশ্বাস কর আমি এই ফাজলামোটা করতাম না।”
রাগে ফোসফোস করতে লাগল শূণ্য।“গুড! ভেরী গুড! আচ্ছা শারমীন আসলে কে বল তো।”
“সে আমার চাচতো বোন।”
“ওর মোবাইল নাম্বারটা দাও।”
“কেন তোর কাছে নেই?”
“না। আমি কারো মোবাইল নাম্বার রাখি না। ফোনে কথা বললে আমার বিরক্তি লাগে তাই আমি কারো নাম্বার রাখি না।”
ঠাণ্ডা মাথায় কিছু গালি দেবার জন্যই শারমীনকে ফোন দিল শূণ্য। ওকে চমকে দিয়ে ওপাশ থেকে ভেসে এলো “শূণ্য রাগ কমেছে?”
অবাক হল সে। “আমার নাম্বার তোমার কাছে ছিল নাকি?”
“না ছিল না। কিন্তু ফোনটা রিসিভ করার সময় কেন জানি মনে হল তোমার ফোন। ভালবাসি তো তাই বুঝতে পারছি মনে হয়।” হাসতে লাগল শারমীন।
রাগে পিত্তি জ্বলার উপায় শূণ্যের। “শুন আমি তোমাকে একটা কথা বলতে চাই....”
ওকে থামিয়ে দিয়ে শারমীন বলল “আমি তোমার কোনও কথা শুনতে চাই না। আচ্ছা তারাশংকর এর কবি তো পড়া আছে তোমার, তাই না?”
“আমি তোমার সাথে সাহিত্য ***ইতে আসি নাই।শুন...”
হাসতে লাগল শারমীন। “রাগ তাহলে কমে নাই। আচ্ছা শুন তোমার সাথে দেখা হবার পর থেকে আমার মাথায়, কালো যদি মন্দ হয় তবে কেশ পাকিলে কাঁদ কেন? এই লাইনটা ঘুরতেছে। আর আমার মনের মধ্যে কাইলা একটা ছেলে দৌড়তেছে।” হিহিহি।
“খুব ভাল! তো আমাকে এসব বলে লাভ কি? তুমি জান তুমি একটা....”
“দাড়াও! দাড়াও! আমি কি তা পরে শুনি আগে শুন তুমি কি! তুমি শুধু গাধাই নও ভীতুও।”
“কি বললে?” খেপে অগ্নিশর্মা হল শূণ্য।
“নয়ত কি? পাকা ভাইয়ার সামনে আমার হাতটা ধরে বলতে পারলে না আমিষ বিবি আমি তোমাকে ভালবাসি!”
“শুন আমার সাথে ফান করছ ঠিক আছে কিন্তু আমাকে অপমান তুমি করতে পার না। আমি ফোন রাখছি বদ মেয়ে।”
জোরে হাসতে লাগল শারমীন। বলল “ফোন রাখতে চাইলে রাখ কিন্তু একটা কথা শুন।”
“কি?”
“আমি কাল বিকালে রবীন্দ্র সরোবরে তোমার জন্য বসে থাকব। তুমি এসে আমার হাত ধরবে। আসবে তো?”
“না। আমি আসব না। আমি এত বোকা না।”
“শূণ্য! আমি জানি তুমি আসবে। যদি না আস তবে দরকার পরলে আমি সারারাত তোমার অপেক্ষায় বসে থাকব ওখানে।”
বিঃদ্রঃ-যে কথাটি না বললেও চলত তা হল এই গল্পের প্রতিটি চরিত্রই বাস্তব তবে যে কথাটি না বললেই নয় তা হল এই গল্পের কাহিনী পুরোপুরি কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে কোনও মিল-মহব্বত নাই।সমস্ত কথোপকথন কাল্পনিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫০