বাকশালী ব্লগার হওয়া সহজ কাজ নয়। বাকশালী হওয়ার জন্য অনেক সাধনা ও গুনাবলী অর্জন করতে হয়। যদি আপনি বাকশালী ব্লগার হতে চান তাহলে আপনার নিম্নোক্ত গুনা বলী থাকতে হবে।
১) আপনি নিজেকে গনতান্ত্রিক ভাবেন কিন্তু যখন আপনি দেখবেন আপনি কারো স্বাধীন মতামত কে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে চাচ্ছেন না।
২) যখন আপনি দেখবেন কোনো মতবাদ আপনার বিপক্ষে গেলেই তাকে যেভাবেই হোক দমন করতে হবে, এই মানসিকতা কজ করে।
৩) যখন কেউ ধর্ম নিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে কেউ যদি তার নিজ ধর্মচর্চা করতে চায় কিন্তু তখন আপনি তাদের মৌলবাদী মনে করেন।
৪) যখন আপনি দেখবেন আপনার বিরোধীদলকে দমন করে আপনি শান্তি পান। লাঠি পেটা বা লগি বৈঠা অস্ত্র হিসেবে আপনার খুব প্রিয়।
৫) আপনার আদর্শের ভিন্ন হলেই রাজাকার বলে গালি দেন বা দিতে চান।
৬) বিরোধী দলকে কোনো ভাবেই নৈতিক ভাবে এগিয়ে থাকতে দিবেন না কিন্তু নিজেই নৈতিকতা মানেন না।
৭) প্রচুর পরিমানে ওয়াদা করেন এবং দ্রুত তা ভংগ করে ফেলেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা অস্বীকার করতেও দ্বিধা করেন না।
৮) আইন শৃংখলা ও দ্রব্য মুল্যে আপনারা স্বর্ন যুগ পার করছেন বলে মনে করেন। কিন্তু পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি ঠিকই ওয়াকি বহাল।
৯) মুক্তি যুদ্ধকে আপনার ও আপনার দলের সম্পত্তি মনে করেন। এক মাত্র আপনার দলই দেশের জন্য আত্নত্যাগ করেছে আর কেউ হতে পারে না। এটা দৃর ভাবে বিস্বাস করা।
১০) পার্শ্ববর্তী ভারত কে আপনার পরম প্রিয় বন্ধু মনে হয়। এবং এই দেশের চাইতে শুভাকাংখী আর কেউই হতে পারে না বলে মনে করেন।
১১) বিরোধী দল সবাই রাজাকার এবং দেশ বিরোধী বলে মনে করেন। এবং সকল কিছুতেই বিরোধী দলের ষড়যত্র খুজে পান।
১২) জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে কোনো গ্রামের অধিবাসীরা মারা মারিতে জড়িয়ে পড়লে আপনি জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্র খুজে পান।
১৩) কারো নাম আপনার পছন্দ না হলে আপনি বাধ্যতা মুলক ভাবে তার নামে পরিবর্তন করে দেন। প্রয়োজনে শক্তি প্রদর্শনে দ্বিধা করেন না। যেমনঃ আপনি রহিম কে ডেকে বলবেন এই শালা তোর নাম আজকে থেকে কুদ্দুস। আগামী ৫ বছর তোর এই নাম থাকবে।
প্রিয় বন্ধুগন যদি আপনারা উপরোক্ত গুনের অধিকারী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চিত ভাবেই একজন বাকশালী ব্লগার। আপনাকে অভিনন্দন।