একলা রুমে মাথায় হিলিয়াম তৈরি হতে থাকলে এই একটা সমস্যা- নিজেকে আর আটকানো যায় না... উড়ে যেতে হয়।
মাঝে মাঝে খড়কুটা ধরে নিজেকে আটকে রাখি- মাথার উপর চাপিয়ে দেই বাস্তবের বোঝা- যাতে উড়ে না যাই। কিন্তু আজকে সেটাও ইচ্ছে করছে না- এতটাই ক্লান্ত আজকে...
ছেড়ে দিলাম... সবকিছু ছেড়ে দিলাম। দু হাত ছড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম গিব্রীলের জন্য। আসো গিব্রীল- নতুন কিছু নিয়ে আসো আজো- আমাকে আলোকিত কর- একদমমম... চুদে দাও।
গায়ের উপর থেকে কম্বলটা পরে গেলও মাটিতে। ঘুরতে থাকা ফ্যানের ব্লেডটা ছুটে গেল ডান চোখের ঠিক মাঝখানটা দিয়ে। হাহা- হিলিয়াম... সবই হিলিয়াম।
সিলিং ভেঙ্গে যখন উপরে এলাম- আকাশে তখন মিশমিশে আঁধার। অমি চাঁদটাকে খুঁজতে থাকলাম- একটু আগেও কথা হল- এখানেই তো থাকার কথা।
নেই।
কেউ নেই। নেই চাঁদ, নেই গিব্রীল।
একটু মেঘ থাকলেও হত। বীণার সূর শুনতে শুনতে মেঘের উপর লাফাতে বেশ লাগে আমার। তবে দিনের বেলা ব্যাপারটা বেশী মজার হয়। অনেকের সাথে দেখা হয়-কথা হয়। ভালো লাগে।
কিন্তু অন্ধকারে তো মেঘ বুঝা যায় না
অমি তাকিয়ে অছি- বুভুক্ষের মত তাকিয়ে অছি। আর ঠাণ্ডা বাতাসে আঙ্গুল কেটে উড়ছি- ঠাণ্ডা লাগছে। গিব্রীল না এলে, চাঁদ লুকিয়ে থাকলে, মেঘ না থাকলে কি করব উড়ে?
অমি নিচে নামতে চাইলাম- পারছি না। আশপাশে কিছু নেই- আমার নড়ার সব শক্তিও হুট করে নিঃশেষ হয়ে গেল ।
ভয় লাগছে... অশুভ লাগছে হুট করে।
এমন সময় আকাশের এক কোনায় আলোকচ্ছটা দেখলাম - একগুচ্ছ সুতার মত ছটা। ওটা কি চাঁদ ? নাকি মেঘ? নাকি গিব্রীল ? নাকি লুসিফার? সেও তো আলো হয়েই আসে মাঝে মাঝে...
অমি তন্ময় হয়ে অছি- অমি ভীতও হয়ে আছি - একই সাথে। জানি না কে আসছে। কিন্তু সে আসছে। সে আমাকে ছুঁয়ে দেবে, আমাকে বদলে দেবে- খুব সামান্য হলেও...অমি আর আগের মত থাকবো না।
অমি এগিয়ে যাচ্ছি উপরের দিকে- ধীরে ধীরে আলোকিত হচ্ছে আকাশের কোণা... গুটিসুটি মেরে এগিয়ে আসছে আমার দিকে।
সেদিনের তিমিটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কেন জানি ।
ওর হাত ধরে গুন গুন করে গাইতে ইচ্ছে করছে-
Something in the way....
hm hm.... hm hm...
Something in the way....
hm hm.... hm hm...
Something in the way....
hm hm.... hm hm...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১০