somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ ইরান : পক্ষান্তরে পশ্চিমাদের সেবা দাস

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েক বছর আগের কথা, যখন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ মুসলিম জাহানে দস্তুরমতো নায়কোচিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরাইলকে উৎক্ষাত করে অস্ট্রিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় চারটি প্রদেশে স্হানান্তরের প্রস্তাব করে চারিদিকে হলুস্হুল ফেলে দিয়েছেন, তখন আমার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আমাকে বলেছিলেন, শিয়া ধর্মীয় নেতৃত্ব শাসিত ইরানের সাথে আসলে পশ্চিমের একটা পরোক্ষ বোঝাপড়া আছে। পশ্চিম চায় ইরান যেন ইসরাইল ও মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নি আরব রাষ্ট্রগুলোর লাগাম হিসেবে কাজ করে।
তখন খোমেনী, আলী রেজাই, বা আহমাদিনেজাদরা আমার কাছে অথর্ব আরবদের চেয়ে ঢের উত্তম। তাই সেই আত্মীয়ের কথাটা উড়িয়ে দিয়েছিলাম সেবার। কিছুক্ষণ আগে জেনেভায় অবস্হানরত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরীকে হোটেলের সুইমিং পুলের ধারে আন্তরিক পরিবেশে গুফতগু করার ছবিখানা দেখে আমার সেই ব্যক্তির কথাগুলো মনে পড়লো। সত্যিই, এখন ইরানকে আর আমেরিকার শত্রু বলে মনে হচ্ছে না! ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের ৩৫ বছর পর এসে ইরানকে অনেক পরিবর্তিত বলেই মনে হচ্ছে।
হয়তো, ১৯৭৯ সালে মার্কিন সেবাদাস শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভীর পতনের পেছনে কারণ ছিলো ঘুনে ধরা রাজতান্ত্রিক প্রশাসনের বদলে এমন একটি প্রশাসন ইরানে বসানো যাদের জনভিত্তি থাকার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সুন্নি-শিয়া প্রশ্নে বিভক্তি ও ইসরাইলের অতি বাড়বাড়ন্তে মাঝমাঝে কিছু রাশ টানার সক্ষমতা থাকবে।
ইরানের সমরশক্তিকেও আমার কাছে যুযু বলেই মনে হয়। ইরানী বাহিনী শক্তিশালী, তবে সেটা আমেরিকা বা ইসরাইলের প্রতি হুমকি সৃষ্টির মতো যথেষ্ট নয়। অস্ত্রবলের দিক থেকে ইরানের চেয়ে পাকিস্তানী সমরশক্তি ঢের সুদৃঢ়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ইরানী বিমানবাহিনী এখনো এফ-১৪ টমক্যাট জঙ্গিবিমান চালায়, যেগুলো শাহের আমলে ১৯৭৪ সাল থেকে রাজকীয় ইরানী বিমানবাহিনীকে সরবরাহ করা হয়। এগুলোকে সংস্কার করে এখন টমক্যাটের বদলে পার্সিয়ান ক্যাট বলে ডাকা হয়। তবে ইরানের কিছু মিগ-২৯ আছে, যেগুলো দারুণ জিনিস হলেও আমেরিকা বা ইসরাইলের জন্য ভীতির কারণ নয় অবশ্যই। পরমাণু বোমাও দৃশ্যত হতে হতে থেমে গেছে।
সর্বোপরি, এখন মেসোপটেমিয়া ও শামের রণাঙ্গনে ওয়াশিংটন, তেল আবিব আর তেহরানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পরিদৃশ্যমান অস্বাভাবিক সাযুজ্যতেও আমাদের ভাবনার খোরাক আছে বলে আমার এখন মনে হচ্ছে...!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

১. ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: আইসেন উনি ইরানের দালালি করতে

২. ৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১৭

ভোরের সূর্য বলেছেন: আমি আপনার লেখার শিরোনামের সাথে একমত হতে পারছিনা কেননা ইরান এবং পশ্চিমা তথা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে খসরা চুক্তি হয়েছে তাতে দেখা যায় যে ১০বছর পর ইরানই লাভবান হবে কেননা আলটিমেটলি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু বিস্তার কে পরোক্ষভাবে মেনে নিয়েছে। এবং সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করতে পারেনি।এই ১০ বছর ইরান তাদের পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ সীমিত রাখবে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে মনিটরিং করতে দেবে এবং ১০ বছর পার হলে ইরান নিজেদের মত করে পারমানু বা নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টরের পরিধি বাড়াতে পারবে। আপাত দৃষ্টিতে ইরান একটু পিছিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত তারাই সফল হবে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে।

ইরান পশ্চিমাদের সেবা দাস হলে অনেক আগেই পরমাণু অস্ত্র বিস্তার থেকে পিছিয়ে আসতো এবং তাদেরকে অর্থনৈতিক অবরোধের সম্মুখিন হতে হত না। এত অবরোধের পরেও ইরান টিকে আছে তার বড় কারন হচ্ছে তারা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী এবং তাদের শাসন ব্যবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের যেকোন দেশের তুলনায় অনেক অনেক বেশী শক্তিশালী এবং স্টেবল।আর এ কারনেই সামনে হতে যাওয়া চুক্তির তীব্র বিরোধীতা করেছে ইজরায়েল। আর যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা বিশ্ব সাধারনত মধ্যপ্রাচের শিয়া মতাদর্শের দেশগুলোর উপর বেশী সহানুভূতিশীল যেমন সউদিআরব।

বর্তমানে কোন দেশের মিলিটারি স্ট্রেংথ শুধু অস্ত্রের উপর নির্ভর করেনা বরং মানব সম্পদ, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা,যুদ্ধ চালিয়ে যাবার মত রসদ,সাপ্লাই চেইন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। উদাহরন হিসেবে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার পাওয়ার হলে কিভাবে তাদের শাসন ব্যবস্থা কিংবা অর্থনৈতিক কাঠামো ভঙ্গুর। আবার উদাহরন হিসেবে লিবিয়া কিংবা ইরাক সম্পদশালী হবার পরেও আজকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারার কারন ভঙ্গুর শাসন ব্যবস্থা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হোজ্জা রকস্

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১৪

একদিন মোল্লা নাসিরুদ্দিন নিজের পোষা গাধাটিকে বাড়ির ছাদে নিয়ে গেলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল, গাধা আর নিচে নামতে রাজি নয়। মোল্লা বহু চেষ্টা করলেন, পীড়াপীড়ি করলেন, কিন্তু গাধা অনড়।

অগত্যা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যারা সৌদি আরবের সাথে ঈদ করেছে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে দগ্ধ করবেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৪:৪৬



সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতে মুসলিমরা কি আসলেই নির্যাতিত?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৪৩

গুজব রটানো কত সহজ দেখেন! ফেসবুক থেকে নেয়া একসাথে সংযুক্ত এই ৩টি ভিডিও দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে কীভাবে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যা, তা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসলেই কি নির্বাচন হবে?

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:২৩

আপনারা যদি নির্বাচনের পর সংস্কার সত্যি করতে পারবেন তাহলে ৫৩ বছর পারেননি কেনো?

- উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান

এই যে কয়েকদিনের মধ্যে এই কথাগুলো উঠছে এর মানে হলো আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না ভাই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

লিখেছেন নতুন নকিব, ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪

শেখ হাসিনার মডেল মসজিদ প্রকল্প: ভণ্ডামির আরেক নমুনা

রংপুর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে তৈরী মডেল মসজিদের ছবিটি উইকি থেকে নেওয়া।

বাংলাদেশে ইসলামের নামে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও বাস্তবে তার অনেকগুলোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×