somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানবিক সাহায্যের আবেদন : আসুন এক ভাইয়ের জিবন বাচাই

২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন দরিদ্র গার্মেন্টস শ্রমিকের পক্ষে বারো লক্ষ টাকা যোগাড় করা অসম্ভব, অনন্ত জলিল সাহেবও সম্ভবত পারবেন না। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন এক গার্মেন্টস এর ডিএমডি।
গাজীপুরে সেই ফ্যাক্টরির এক শ্রমিকের কঠিন অসুখ ধরা পড়ল। চিকিৎসার ব্যায় লাগবে প্রায় বারো লক্ষ টাকা। ছয় হাজার টাকা বেতনের শ্রমিকের পক্ষে এই টাকা যোগাড় করা অসম্ভব। ফ্যাক্টরির মালিকের কাছে আবেদন জানানো হল কিছু সাহায্য করার জন্য, মালিক পক্ষ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষনা আসল। বাকী রইল সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা। সবাই যখন টাকা নিয়ে চিন্তিত তখন প্রতিষ্ঠানের ডিএমডি, যিনি একজন রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার, তিনি এগিয়ে এলেন। ঐ শ্রমিকের কলিগদের ডাকা হল।
ডিএমডি সাহেব বললেন “আমরা চাইলেই তার চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারি”
শ্রমিক “কীভাবে?”
ডিএমডি সাহেব “পকেট থেকে মাত্র ১০০ টাকা বের করলেই হবে!”
শ্রমিকরা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল “বুঝলাম না!”
ডিএমডি সাহেব বললেন “আমাদের ফ্যাক্টরিতে প্রায় ১২০০০ (বারো হাজার) শ্রমিক রয়েছে। প্রত্যেকে যদি ১০ টাকা করে দেয় তাহলে হয় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা আর প্রত্যেকে যদি ১০০ টাকা করে দেয় তাহলে হয় ১২ লক্ষ টাকা! তার মানে প্রত্যেক শ্রমিকের অল্প অল্প সাহায্যে একজন দূরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্থ শ্রমিকের চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে।
পরদিন থেকে ফ্যাক্টরির সকল শ্রমিকের কাছে ঘোষনা দেয়া হল “তোমাদের এক ভাই টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। প্রত্যেকে ১০০ টাকা করে দাও। চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।”
পরের দিনই বেশিরভাগ শ্রমিক ১০০ টাকা নিয়ে হাজির হল। অনেকে ২০০, অনেকে ৫০০ দিল। অফিসাররা কেউ ৫০০, কেউ ১০০০ কেউ বেশি দিল। এক সপ্তাহেই ১৩ লক্ষ টাকা উঠে গেল। ঐ ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়ে গেল গেল।
উপরের লেখাটি পড়ে অনেকে ঐ শ্রমিকদের বাহবা দিবেন, অনেকে আফসোস করবেন ঈশ! আমি কেন এরকম কারো উপকার করতে পারলাম না।

আপনাদের জন্যেও সুযোগ আছে।

কয়েকদিন আগে ফখরুল ইসলাম ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, "আমি যদি কারো জীবন বাঁচাতে আপনাদের কাছে ১০০ টাকা করে চাই তাহলে দিবেন?" আপনাদের অনেকেই সাড়া দিয়েছেন। অনেকে তাঁকে ইনবক্সে সাহায্যের কথা জানিয়েছেন।
এখন আসল ঘটনা খুলে বলি।
সামহোয়ারইন ব্লগের প্রখ্যাত ব্লগার বিবাহিত ব্যাচেলর ওরফে ‘রহমান হাবিব’। আপনারা যারা ওনার ফেইসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন তারা ভাল করেই জানেন যে উনি কিডনী রোগে আক্রান্ত। আম জনতার ভাষায়ই বলি- ওনার কিডনী বদলাতে হবে। এখন ডায়ালাইসিস করে কোন মতে টিকে আছেন। এভাবে আর কয়দিন টিকবেন আল্লাহই জানেন। দ্রুত অপারেশন না করলে বিপদ হয়ে যেতে পারে। অপারেশন এবং অপারেশন পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মোট ২৭ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। জায়গা জমি বেঁচে এই পর্যন্ত ১৭ লক্ষ টাকার যোগাড় হয়েছে। এই হিসাবে আরো ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু যাঁদের এমন অপারেশনের অভিজ্ঞতা আছে, তারা জানেন বাস্তবে বাজেটের চাইতে বেশি টাকা লাগে। সে জন্য আরো দুই লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হল। অর্থাৎ ওনার এখন ১২ লক্ষ টাকার কম আছে। এই টাকার ব্যবস্থা হলে উনি অপারেশন করবেন।
অনেকেই বিদেশ থাকেন। এই প্রবাসী লোকজনের জন্য দশ ডলার কিছুই না। যদি প্রবাসী ১০০০ (এক হাজার) ভাই দশ ডলার করে সাহায্য করেন তাহলে সাহায্যের পরিমান দাঁড়ায় ১০০০০ (দশ হাজার) ডলার যার পরিমান প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা!
অনেক ধনী ভাই বোন রয়েছেন যাদের এক বেলার নাস্তার পিছনে তিন চারশ টাকা চলে যায়। শখ করে বাইরে লাঞ্চ বা ডিনারের পিছনে হাজার খানেক টাকা চলে যায়। ওনারা যদি এই এক হাজার টাকা দান করেন তাহলে ভাল এমাউন্ট আসে। এরকম যদি ৫০০ লোকও এগিয়ে আসেন, তাহলে এমাউন্ট দাঁড়ায় ২৫০০০০ (আড়াই লক্ষ) টাকা।
আমার ধারনা এমন কেউ নেই, যিনি ১০০ টাকা করে দিতে পারবেন না। শুধু প্রত্যেকে যদি ১০০ টাকা করে দিতে পারেন তাহলে দশ লক্ষ টাকা যোগাড় করা খুব সহজেই সম্ভব! ১০০ টাকা দিয়ে আজকাল ফুটপাথের ছালা দিয়া রেস্টুরেন্টেও ঠিক মত খাওয়া যায় না। তেমন কিছু কেনা যায় না। এই টাকায় যদি আপনার এক ভাইয়ের চিকিৎসা হয় তাহলে নিশ্চয়ই আপনি খুশি হবেন।

ওনাকে সাহায্য পাঠাবার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংক দনিয়া, ঢাকার একটা একাউন্ট নম্বর দিলাম.
Habibullah A/c no: 1191525804।
তাছাড়া ডাচ বাংলা মোবাইল একাউন্ট নাম্বার ০১৬১২৮৫৮৫৪৩৯; এটা হাবিবুল্লাহ ভাইয়ের ছোট ভাইয়ের একাউন্ট।
আজ প্রায় সব এলাকায় ডাচ বাংলার বুথ আছে। এটিএম কার্ড থাকলে যেকোন মুহুর্তে টাকা পাঠানো সম্ভব। ডাচ বাংলার কার্ড নেই? ব্যাংকের ব্রাঞ্চ দূরে? তাহলে বিকাশ একাউন্টও আছে। দেশের এমন কোন গলি কিংবা গ্রাম নেই যেখানে বিকাশ এজেন্ট নেই। আপনারা ইচ্ছা করলে বিকাশেও টাকা দিতে পারেন।
এজেন্ট নম্বর 01910859201 মফিজ ভাই।
উনি রহমান হাবিব ভাইয়ের কাজিন।
আরেকটা বিকাশ নম্বর 01612858543 কেফায়েত।
উনি রহমান হাবিব ভাইয়ের ছোটভাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×