দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শরণার্থী সংকট নিয়ে ইন্দোনেশিয়া, শ্যামদেশ ও মালয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামীকাল বৈঠকে বসছেন। ব্রহ্মদেশ আগেই চরম নির্লজ্জতার পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা বিষয়ক যেকোন আলোচনায় তাদের নারাজির কথা জানিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই বৈঠকে বাংলার কোন স্হানই নেই। অথচ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের প্রধান ভুক্তভোগী দেশ।
একটি ভূখণ্ড থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর যে অভিযান বর্মীরা নিয়েছে, তাকে কোনভাবেই সংঘবদ্ধ যুদ্ধাপরাধের চেয়ে কম বলে বিচার করা যাবেনা। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উচিত ছিলো আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি চালানো। বাংলাদেশ আসিয়ানে নেই, বার্মা আছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উচিত ছিলো আসিয়ানে জোরালোভাবে তোলা যে, তাদের এক সদস্য যুদ্ধাপরাধ করছে। নিজ দেশের নাগরিককে বাংলাদেশী বলে চালিয়ে প্রকারান্তরে আরাকানে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে। এই বিষয়টি বারবার তুলে ধরে একে চাঞ্চল্যকর বিষয়ে পরিণত করা উচিত ছিলো বাংলাদেশের।
আরাকান বিষয়ে আমাদের নীতি আগাগোড়াই ভুলে ভরা। আমাদের আরো অনেক আগেই সেখানে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদের পৃষ্ঠপোষণ করা জরুরী ছিলো। আর এই মানব পাচারও শুরু হয়েছে ২০১২ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যা সংঘটনের পর থেকেই। এর আগে মানব পাচারের বিষয়টি কোনভাবেই এতো তীব্র ছিলোনা। অতএব, শরণার্থী সংকটের মূলে রোহিঙ্গাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের প্রশ্নটি জড়িত। আর রোহিঙ্গাদের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ভুগছে বাংলাদেশ, এবং বাংলাদেশ সম্ভবত ভুগতেই থাকবে।
আজ রোহিঙ্গাদের যে পরিণতি, কাল তা বাঙ্গালীদের ক্ষেত্রেও পরিদৃষ্ট হবেনা, এমনটা কেউ বলতে পারেনা। বাংলার অনুকূলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণের দ্বিতীয় কোন উপায় নেই...!