
নিউজিল্যান্ডের সাথে টেস্ট ম্যাচে লড়াই করে পরাজিত বাংলাদেশ দল। পরাজিতই তো, জয়ী তো আর নয়।
শ্রীলংকার কাছে ফুটবল দলের পরাজয়।
খেলা বাদ দেই।
মুখের ছিপি খুলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। জিহবাটা যে উনার শত্রু এটা ভুলেই বসেছেন তিনি।
জনগনের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই বিরোধী দলীয় নেত্রীর। গৎবাঁধা ভাষায় সরকারের সমালোচনা চলছে। ফরম্যাট তৈরি আছে। সে ফরম্যাটে বিবৃতি চলছে।
স্বাধীনতাবিরোধী চক্র আছে সবচাইতে নিশ্চিন্তে। ওদের টিকি আগেও কেউ ছুঁতে পারেনি, আজও পারবে না। স্বয়ং ঈশ্বরের বিচারের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কিছু করার আছে বলে মনে হয়না।
রাজনীতিও বাদ দেই। দিনের বেশ কিছুটা সময় যেখানে কাটাতাম, সেই ব্লগের কথা বলি।
কপিপেস্ট লেখায় ব্লগ ভরে উঠছে, রাজনৈতিক প্রচারনার সবচেয়ে ভাল প্লাটফর্ম হয়ে উঠছে সামু। প্রতিদিন কতগুলো ব্লগ প্রকাশিত হয় অন্য নিবন্ধের কপিপেস্ট নিয়ে - এ পরিসংখ্যান কি কর্তৃপক্ষের জানা আছে? প্রতিদিন একি তেনা প্যাচানো দেখতে আর ভাল লাগে না। ব্লগে কি একটা আইন করা যায় যে এরকম কাটপেস্ট লেখা প্রকাশিত হবার আগে বিগত তিন দিনের সমস্ত লেখা পড়ে নিশ্চিত হতে হবে যে তা অন্য কেউ প্রকাশ করেনি?
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সামুর প্রাণের প্রদীপটা বেশ নিভু নিভু হয়ে যাচ্ছে। এখনি পদক্ষেপ না নিলে হয়ত অনেক দেরী হয়ে যাবে।
ব্লগের কথাও বাদ দেই। নিজ জীবনে ফিরে আসি।
হাল ছাড়া জিনিসটা আমার মধ্যে ছিল না, আশা করি, এখনো নেই। কিন্তু মৃদু পায়ে আমি কার আগমনী শুনতে পাচ্ছি প্রতিদিন? প্রত্যেকটা বার আমি নিজেকে বলি, সামনের দিনটা আরো ভাল যাবে, সবসময় খারাপ যেতে পারে না, সম্ভাবনার সূত্র সে দিকটা নাকচ করে দেয়। এ বিশ্বাসটা যদি বিলীন হয়ে যায়, আমি জানি, সেদিন আমার কোন সহায় থাকবে না।