একথা কিন্তু আবার সব টাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, এদেশে এমন টাকাও আছে যার মূল্য হিসেবে আপনাকে দিতে হবে এই ধরেন এর ১৪০০ গুন!!!
ভাবছেন এগুলো এন্টিক টাকা? আরে না। এগুলো এন্টিক টাকা নয়। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাপানো টাকা এগুলো। ওহ, এবার আমি ভুল বললাম, টাকা নয়, পয়সা এগুলো। এবং মোটামুটি নিশ্চিত আমি, এগুলো আপনার হাতে আসেনি এখনো, সম্ভবত আসবেও না। এগুলো বিশেষ কোন ঘটনার স্মরনে বিশেষ ভাবে তৈরি করা কয়েন। আসুন এরকম কয়েকটি কয়েনের বিবরন দেখে নেই-


১। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা হয় এটি।সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মুখচ্ছবি সম্বলিত এই কয়েনটির ফেস ভ্যালু ১ টাকা। এটি তৈরি করা হয়েছে ৩১.৪৭ গ্রাম রূপা দিয়ে তৈরি করা এই মুদ্রাটি বিক্রির জন্য নয়।


২। ২৫ তম অলিম্পিক গেমের স্মরনে ১৯৯২ সালে তৈরি করা এই মুদ্রাটিও ৩১.৪৭ গ্রাম রূপা দিয়ে তৈরি করা এবং এই মুদ্রাটিও বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়নি।


৩। যারা আগের দুইটির বিবরন পড়ে ভাবছিলেন যে কিনতে পারলে কেমন হতো- তাদের জন্য এটি। স্বাধীনতার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা রূপা দিয়ে তৈরি করা এ মুদ্রাটির ফেস ভ্যালু মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু এটা কিনতে আপনাকে দিতে হবে কত জানেন? ১২০০ টাকা মাত্র।


৪। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি করা রূপা দিয়ে তৈরি করা এ মুদ্রাটিরও ফেস ভ্যালু মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু এটা কিনতেও আপনাকে দিতে হবে ১২০০ টাকা মাত্র।




৫। যমুনা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে ২ টি মুদ্রা তৈরি করা হয়। যারা এখনো ২০ টাকার মুদ্রার কথা শুনেননি, তারা দেখে নিন এটি –। ২৫ গ্রাম রূপা দিয়ে তৈরি করা এই মুদ্রাটি কিনতে আপনাকে খরচ করতে হবে ১১৫০ টাকা মাত্র। আর একই উপলক্ষে প্রকাশ করা ১০ টাকার মুদ্রাটি কিনতে পারবেন ৯০০ টাকা খরচ করে।


৬। এসব রূপার টাকায় যাদের মন ভরেনি, তাদের জন্য রয়েছে ২২ ক্যারেট সোনায় তৈরি পরের মূদ্রাটি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত ১০ গ্রাম সোনায় তৈরি এ মুদ্রাটির ফেস ভ্যালু ২০ টাকা, কিন্তু ইহার বাহককে দিতে হবে ২৮০০০ টাকা মাত্র!!!!!!
কে বলেছে চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে __টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে?



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫