আদি বাংলার ইতিহাস
(প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৩৯
এ দেশের ফলের মধ্যে সর্বপ্রাচীন উল্লেখ পাওয়া যায় আলেকজাণ্ডারের (৩২৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে) সঙ্গে আগত লেখকদের বর্ণনায় আম্রফলের।
পরবর্তীকালের কোনো কোনো শিলালিপিতে আম, কাঁঠাল, সুপারী, নারিকেল প্রভৃতির উল্লেখ আছে।৭৫ ব্রহ্মবৈর্ত্তপুরাণে আম্র, নাগরঙ্গ, পমস, তাল, নারিকেল, জম্বু, নদরী যর্জ্জুর, গুবার্ক, আম্রতক, জম্বীর, কদলী, শ্রীফল, দাড়িম্ব প্রভৃতির উল্লেখ রয়েছে।৭৬ বৃহদ্ধর্ম্মপুরাণে পনস, আম্র, হরীতকী, পিপ্পলী, জীরক, নাগরঙ্গ, তিত্তিড়ী, কদলী, যাত্রীফল, ইক্ষু প্রভৃতির উল্লেখ পাওয়া যায়।৭৭ এখানে লক্ষ্য করার মতো যে, দেশে প্রচলিত অনেক অভিজাত ফলের নামেরও উলেখ নেই। হয়তো তখন এগুলি দেশে ছিল না অথবা জনপ্রিয় ছিল না। তবে আম ও কাঁঠাল যে দেশের প্রাচীনতম ফল এবং জনপ্রিয় ফল এ বিষয়ে সন্দেহ নেই; আমের আদি নিবাস বাংলাদেশে হলেও কাঁঠাল বহিরাগত। সদ্যুক্তিকর্ণামৃত গ্রন্থের একটি শ্লোকে আম্রফলের সুতীব্র সুগন্ধ নির্গত হওয়ার সুন্দর বর্ণনা রয়েছে: কোনো বৃক্ষ পুস্প-প্রস্ফুটনকালে সুগন্ধিযুক্ত হয়, কোনো পাদপ ফলোদ্গমে আমোদিত হয়, কোনো তরু ফল পক্ষ হলে সুরভিত হয়। কিন্তু একমাত্র আম্রবৃক্ষ হতে ফল পাকা পর্যন্ত সুগন্ধ নির্গত হয়।৭৮ প্রাচীনযুগের শেষ দিকে চীনের পরিব্রাজকদের লেখাতে বাংলাদেশের অনেক ফলের উলেখ পাওয়া যায়। মধ্যযুগের প্রথমদিকে বাংলাদেশ ভ্রমণকারী ইবনে বতুতুার লিখাতে বাংলাদেশের ফল-ফুলের অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়।
তিনি নারিকেল সম্পর্কে স্ববিস্তারে লিখেছেন:
“নারকেল গাছ সবচেয়ে অদ্ভুদ গাছগুলোর একটা এবং দেখতে ঠিক খেজুর গাছের মতো। নারকেলের খোলটা দেখতে অনেকটা মানুষের মাথার মতো, কেননা তাতে রয়েছে মানুষের চোখ ও মুখের মতো দাগ, আর শাঁস কাঁচা অবস্থায় ঘিলুর মতো। এতে আছে চুলের মতো ছোবড়া, তা দিয়ে এরা দড়ি তৈরি করে, আর এই দড়ি গজালের বদলে ব্যবহার করে নৌকাগুলিকে একসাথে বেঁধে রাখার কাজে। কাছি হিসেবেও এর ব্যবহার হয়। নারকেলের গুণাবলীর মধ্যে হলো তা দেহকে শক্তিশালী ও মেদযুক্ত করে, মুখে লালচে আভা এনে দেয়। কাঁচা অবস্থায় কাটলে যে পানীয় পাওয়া যায় তা সুস্বাদু, মিষ্টি ও বিশুদ্ধ। পান করার পর লোকে খোলার একটু অংশ কেটে নিয়ে চামচের মতো তৈরি করে তা দিয়ে খোলের ভিতরের শাঁস বের করে খায়। এর স্বাদ অনেকটা আধসিদ্ধ ডিমের মতো এবং তা পুষ্টিকর। এর আর একটা বৈশিষ্ট্য হলো, এ থেকে তেল, দুধ ও গুড় নিষ্কাশন করা যায়। গুড় তৈরি করা হয় এইভাবে- যে বৃন্তের ওপর ফলটা পড়ে তার একটা দু’আঙ্গুল লম্বা করে কেটে তাতে বেঁধে দেয় ছোট একটা কলসি। সেই কলসিতে ফোঁটা ফোঁটা রস পড়ে; সকালবেলায় যদি তা বাঁধা হয় তাহলে বিকেল বেলায় একজন চাকর দুটি কলসি নিয়ে গাছে ওঠে, একটা ভরা থাকে জলে;
জমে ওঠা রস আর একটা কলসিতে ঢেলে, বৃন্তটা জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে সামান্য একটু কেটে দেয়। তারপর তাতে বেঁধে দেয় আর একটা কলসি। একই কাজের পুনরাবৃত্তি হয় পরদিন সকালে- যতক্ষণ না পর্যাপ্ত পরিমাণে রস সংগৃহীত হয়। তারপর তা জ্বাল দিতে থাকা হয় ঘন না হওয়া পর্যন্ত। এতে তৈরি হয় চমৎকার গুড়। সেই গুড় কেনে ভারত, ইয়েমেন ও চীনের বণিকরা। তারপর দেশে নিয়ে গিয়ে তারা তা থেকে তৈরি করে মিঠাই। দুধ তৈরি করা হয় নারকেলের শাঁস জলে মিশিয়ে। এর রং ও স্বাদ ঠিক দুধের মতো হয় এবং খাওয়া হয় খাবারের সঙ্গে। তেল তৈরির জন্যে, ঝুনো নারকেলের শাঁস শক্ত খোলা থেকে ছাড়িয়ে রোদে শুকিয়ে বড় কড়াই-তে জাল দিয়ে তেল বের করা হয়। এই তেল দিয়ে প্রদীপ জ্বালানো আর লুচি ভাজা হয়, আর মেয়েরা তাদের চুলে মাখে”।৭৯
দেশে প্রতিনিধিত্বশীল ৩৯টি ফলবান বৃক্ষের মধ্যে আবাসস্থল নির্ণয় করা হয়েছে ৩০টি বৃক্ষের। তার মধ্যে ২৫টি অতিথি বৃক্ষ এবং দেশীয়ভাবে উদ্ভব হয়েছে মাত্র ৫টি এবং বাকি ২১টি বৃক্ষ অতিথি হিসেবে এদেশে স্থায়ী আসন লাভ করেছে। যে সব বৃক্ষের আদি নিবাস জানা গেছে, তাদের মধ্যে ফলবান বৃক্ষের ১৭ শতাংশ, দারু বৃক্ষের ২২ শতাংশ এবং ফুল গাছের ২৩ শতাংশ দেশজ অর্থাৎ এদেশের মাটি থেকে উদ্ভব হয়েছে। ভেষজ, বাঁশ, বেত, বীরুৎ, লতা, গুল্ম, ছোট বৃক্ষ, ঘাস, যে সব বৃক্ষের আদি নিবাস জানা গেছে, তাদের মধ্যে ফলবান বৃক্ষের ১৭ শতাংশ, দারু বৃক্ষের ২২ শতাংশ এবং ফুল গাছের ২৩ শতাংশ দেশজ অর্থাৎ এদেশের মাটি থেকে উদ্ভব হয়েছে। ভেষজ, বাঁশ, বেত, বীরুৎ, লতা, গুল্ম, ছোট বৃক্ষ, ঘাস, নলখাগড়া প্রভৃতির এবং বহু দারু বৃক্ষ, ফুল-ফলের আদি নিবাস জানা যায়নি। তবে বৃহত্তর সংখ্যাই যে বহিরাগত এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে, সন্দেহ নেই, বাংলার মাটি সবুজে আচ্ছাদিত ছিল, কিন্তু বনানীতে বর্তমানের মতো এত বৈচিত্র্য ছিল না। বৃহৎ এবং উঁচু বৃক্ষ, যেমন, বট, অশ্বত্থ, রেইনট্রী, ইউক্যালিপটাস, প্রভৃতি এদেশে ছিল না, তেমনি ছিল না পানিতে ভাসমান উদ্ভিদ, যেমন কচুরিপানা, ছোট কচুরি ইত্যাদি। অনেক বাহারী রঙের ফুলগাছই এদেশে ছিল না, আবার আফ্রিকার মতো এত ঘন জঙ্গলেও আবৃত ছিল না এদেশ। নানা ভেষজ, লতা-গুল্ম, বাঁশ-বেত, ছোট-বৃক্ষ, নলখাগড়া, ঘাস প্রভৃতি প্রচুর জন্মাত বলে মনে হয়। আদিতে মানুষের চেয়ে জীববৈচিত্র্যের জন্যই এই দেশটি ছিল একটি আদর্শ আবাসস্থল। শুরুতে অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকূল পরিবেশে মানুষ এদেশে আবাসস্থল গড়ে তুলেছে। বৈচিত্র্য ছিল পশু-পাখী ও মৎস্যভাণ্ডারে। আর্দ্র-উষ্ণ জলবায়ু, প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং গভীর পলিমাটি কৃষি উৎপাদন সহজ করেছিল। চিরসবুজ বনভূমি এবং ঋতু বৈচিত্রে রঙের খেলা, নদী-নালায় সভ্যতার ভাঙ্গা-গড়া অধিবাসীদের স্বপ্ন দেখতে অভ্যস্ত করেছিল। তাতে বুঝা যায় যে, অতি অল্পসংখ্যক বৃক্ষই দেশীয়ভাবে উদ্ভব হয়েছে, বৃহত্তর অংশই বহিরাগত। বহিরাগত বৃক্ষ, অনুমান করা যায়, গত ৫০০০ বৎসরের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। ইতিপূর্বে দেশে জলজ উদ্ভিদের প্রাধান্য ছিল এবং নরম কাণ্ডের উদ্ভিদই ছিল বেশি। অনুকূল আবহাওয়ার জন্যই দেশে আজ উদ্ভিদবৈচিত্র্যের এমন সমারোহ। অন্যদিকে, অনেক প্রজাতির বৃক্ষ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। International Union for conservation of nature and natural resources Gi Red list 1990 অনুসারে ইদানীং বাংলাদেশ থেকে লুপ্ত হয়ে গেছে ৩৩টি প্রজাতির বৃক্ষ। আরো কয়েকটি প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। বন্যপ্রাণী যেসব প্রাণী বাস করে এবং মানুষের সহায়তা ছাড়া নিজস্ব পদ্ধতিতে আশ্রয়, খাদ্যসংগ্রহ, বংশবৃদ্ধি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে তাদেরকে আমরা বন্যপ্রাণী বলে চিহ্নিত করি। বন্যপ্রাণী শুধু বনেই বাস করে এমন নয়। লোকালয়েও কোনো কোনো বন্যপ্রাণী বাস করে। মৎস্য ব্যতীত বন্যপ্রাণীকে আমরা তিন শ্রেণীতে পাই। যথা- স্তন্যপায়ী, উভচর ও পাখি। এখানে আমরা এই তিন শ্রেণীর আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। অতি প্রাচীনকালে বাংলাদেশের নবীন পলিমাটি নলখাগড়ার মতো জলজ উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম, প্রাচীন দোআঁশ ও লালমাটি ঝোঁপ-ঝাড় ও বৃহৎ বৃক্ষের সমাবেশ এবং বিশেষ করে উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়া তৃণভোজী ও মাংসাশী উভয় বন্যপ্রাণীকুলের জন্য অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশ ছিল। এদেশ প্রচুর বন্যাপ্রাণীর বিচরণক্ষেত্র ছিল এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ সন্দেহ করেন না। আজ থেকে ৫ হাজার বৎসর পূর্বে, অনুমান করা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা লক্ষাধিকের মতো ছিল। (যীশুখ্রিষ্টের জন্মের ২০ হাজার বৎসর পূর্বে পৃথিবীর লোকসংখ্যা ১ লক্ষের অধিক ছিল না এবং যীশুখ্রিষ্টের মৃত্যুর সময় পৃথিবীর লোকসংখ্যা অনুমান করা হয় ৪০ কোটি) দেশের এই সীমিত লোকসংখ্যা আরো ১০০০ বৎসর পর্যন্ত দেশের বন্যপ্রাণীর জন্য আদৌ তেমন বিপদজনক বলে গণ্য হতো না। অন্যদিকে প্রাণীকুলের অবস্থান দেশের মানুষের স্বাধীনভাবে বিচরণ ও কর্মকাণ্ডের জন্য শঙ্কাজনক ছিল। প্রাচীনকালে বাংলাদেশে কি কি বন্যপ্রাণী ছিল তা নির্ণয় করার চেয়ে কি কি প্রাণী ছিল না তা হয়তো বলা সহজতর হবে পৃথিবীর বিশেষ অবস্থানের, যেমন মেরু প্রদেশ, মরুভূমি, গভীর সমুদ্রের প্রাণীকুল ছাড়া বোধ হয় অন্য সব প্রাণীই বাংলাদেশে ছিল। কোনো কোনো প্রাণী হয়তো প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত বৈরিতার জন্য লুপ্ত হয়ে গেছে। এমনকি আধুনিককালেও যেসব বন্যপ্রাণী মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল তার মধ্যে অনেক প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং আরো অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হবার পথে। মোঃ আলী রেজা খান তাঁর বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী বইয়ের তৃতীয় খণ্ডে নরম্যান মায়ার্স-এর একটি বক্তব্য তুলে ধরেছেন এভাবেঃ- ”দুনিয়াতে আনুমানিক যে ১০ থেকে ২৫ কোটি জীবনের আবির্ভাব ঘটেছে, গেল ৩৫০ কোটি বছরে তার কেবল ২ থেকে ১০ ভাগ অর্থাৎ ৫ লক্ষ থেকে এক কোটি জীবন বেঁচে আছে। নরমানের দেয়া তথ্য থেকে আরো জানা যায়, পাইয়োস্টোসিন যুগে ৫০ লক্ষ বছর আগে, আজ যে পাখির ৮,৭০০ প্রজাতি আছে তার সংখ্যা প্রায় ১১,৫০০ ছিল।
আজ থেকে ৫০,০০০ বছর আগে মানুষ যখন ‘শিকার-সংগ্রহ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবন ধারণ করত তখন থেকেই সে অতিমাত্রায় শিকার এবং পরিবেশের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিশেষ করে বনভূমিতে আগুন লাগিয়ে বহু জীবের ধ্বংস ডেকে আনতে সাহায্য করে। তবে এ প্রক্রিয়াটিও প্রাণীকুল ধ্বংসের একটি মন্থর পদ্ধতি ছিল। কিন্তু ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে কারিগরি বুদ্ধিমত্তার বিকাশ, বিশেষ করে গোলাবারুদ ও আগ্নয়োস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে মোটে হাতে গোনা কয়েকশ’ বছরের মধ্যে প্রাণী মানুষ প্রজাতির ধ্বংস ডেকে আনতে শুরু করল। মানুষ কিভাবে পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনছে তা বুঝাতে গিয়ে নরমান একটি সুন্দর উপমা দাঁড় করিয়েছেন। ধরা যাক পৃথিবীর জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত মোট সময় এক বছরের মতো। তা হলে জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি (অর্থাৎ প্রথম ২৫০ কোটি বছর) সময় জীব সৃষ্টির অনুকূল ছিল না। সাগর প্রাণী ও উদ্ভিদের ব্যাপকতা লাভ করেনি অক্টোবরের শেষ পর্যন্তও (মানে আজ থেকে ১৫০ কোটি বছর আগ পর্যন্ত); আর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ডাইনোসর এবং অন্য সরীসৃপরা দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করল (সেটা মেসোজয়িক আমলে); বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে সক্ষম ও লোমশ স্তন্য পায়ীদের ব্যাপক বিস্তার শুরু হলো বড়দিন মানে এই ২৫শে ডিসেম্বরের দিকে।
ঠিক নববর্ষের প্রাক্কালে এবং ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যরাত শেষ হয়ে ১ জানুয়ারি শুরু হবার পাঁচ মিনিট আগে মানুষ আবির্ভূত হলো। সেই সামান্য সময় থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ প্রাকৃতিক জীবের যে ধ্বংস ডেকে এনেছে বাকি ৩৬৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিটেও নৈসর্গিক কারণ তা পারেনি।
বিগত ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯০০ খ্রি. পর্যন্ত প্রতি চার বছরে একটি করে স্তন্যপায়ী ও পাখির প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে এ হার দাঁড়িয়েছে প্রতি বছরে একটি করে। কিন্তু এ দুই শ্রেণীর প্রাণী সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান অত্যন্ত পরিষ্কার- তাই বুঝা সম্ভব হচ্ছে। সরীসৃপ থেকে শুরু করে এককোষী প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজাতি লোপ পাচ্ছে বা দ্রুত বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। নরমান ধরে নিয়েছেন এখন প্রতিদিন একটি করে প্রাণীর প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটেছে। শতাব্দীর শেষের দিকে এই হার নাকি হবে দিনের পরিবর্তে প্রতি ঘণ্টায়।
৭৫ Inscription of India, vol- 3
৭৬ ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড, সপ্তদশ অধ্যায়।
৭৭ ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ জন্মখণ্ড, সপ্তদশ অধ্যায়।
৭৮ সদ্যুক্তিকর্ণমৃত- ৪/৫৩/৫।
৭৯ ইবনে বতুতা উদ্ধৃত করেছেন ভারত ইতিহাস চর্চার ভূমিকা (অনুবাদ)- দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বি: পৃষ্ঠা- ২৭৬-৭৭
আগামী পর্বেঃ বাংলাদেশের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী
আদি বাংলার ইতিহাস (প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে ১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) পর্ব ৩৮