থেঁতলানো চোয়াল, ভেঙ্গে গেছে দাঁত, রক্তাক্ত অবয়ব—তবু ৪০ কিমি বাস চালিয়ে যাত্রীদের বাঁচালেন! এই সাহসী চালকই বাংলাদেশের নায়ক হওয়ার যোগ্য!
যখন জীবন বাঁচানোই হয়ে দাঁড়ায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, তখন কেউ কেউ সামনে এসে দাঁড়ান অদম্য সাহস আর দায়িত্ববোধ নিয়ে। ঠিক যেমন করলেন একুশে পরিবহনের চালক মো. সোহেল।
ঘটনাটি শুধু একটি ডাকাতি/ সহিংসতার গল্প নয়, এটি সাহস, কর্তব্যবোধ এবং আত্মত্যাগের এক অসাধারণ উদাহরণ। মাঝরাতে ৮–১০টি মোটরসাইকেলে একদল তরুণ যাত্রীবাহী বাসটি ধাওয়া করে। দুই দফায় চালককে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়—যাতে সোহেলের মাথা ও মুখে ৩১টি সেলাই লেগেছে, ভেঙে গেছে দাঁত, রক্তে ভিজে যায় শরীর। তবুও তিনি বাস থামাননি।
তিনি জানতেন, বাস থামালেই বিপদে পড়বে ৩৮ জন যাত্রী, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল। তিনি জানতেন, তাঁর প্রাণের থেকেও তখন বড় ছিল তাঁদের জীবন। সেই বোধ থেকেই নিজের ব্যথা, রক্ত, চোখের ঝাপসা সবকিছুকে উপেক্ষা করে ৪০ কিলোমিটার বাস চালিয়ে পৌঁছে দেন থানায়—যেখানে যাত্রীরা নিরাপদ আশ্রয় পায়।
এমন অকুতোভয় এবং আত্মোৎসর্গকারী চালক আমাদের মাঝে খুব কমই দেখা যায়।
আমরা চাই,
মো. সোহেল যেন সরকারিভাবে স্বীকৃতি ও সম্মাননা পান।
আমরা দাবি করি,
তাঁর চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বা মালিকপক্ষ বহন করুক।
আমরা প্রস্তাব করি,
এই ধরনের সাহসিকতার জন্য চালক সোহেলকে "বীর চালক" উপাধিতে ভূষিত করা হোক।
কারণ, যে মানুষ নিজের জীবনকে বিপন্ন করে ৩৮টি জীবন রক্ষা করে,
সে শুধু একজন চালক নয়—সে একজন বীর।
একজন প্রকৃত নায়ক।
কমেন্ট করুন, যদি আপনিও মনে করেন, সাহসিকতার এই গল্প সবার জানা উচিত এবং যদি চান মো. সোহেলকে দেয়া হোক জাতীয় স্বীকৃতি।
বিস্তারিত জানতে দেখুন- ইটের আঘাতে চালকের মাথা–মুখে ৩১ সেলাই মধ্যরাতে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া, ৪০ কিলোমিটার বাস চালিয়ে যাত্রীদের রক্ষা
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৩