আমার নেট থেকে কোরবানীর গরু ছাগল সংগ্রহ অনেক বেশি ছিল। এক পর্বে সমাপ্ত করা যায় না। কাজে কাজেই ২য় পর্ব (ছবির ৩য় পর্ব) করতে হল। যদিও এখন আর গরু/ছাগল গুলোর কোন খবর আমরা জানি না! চলুন দেরী কি! আর দেরী করা চলে না।
সামুর জনপ্রিয় একটিভ ব্লগার সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের গরু দিয়ে শুরু করা যাক। গরু নিয়ে তিনি বেশ রসালো কাহিনী ফেঁদে এই ফাঁকা সামুতেও অনেক বেশী হিট ও কমেন্ট নিয়ে নিয়েছেন। সামুতে যেখানে এক শত হিট পেতে দিনের পর দিন চলে যায়, সেখানে কম সময়ে ভাল হিট কামিয়েছেন। তবে তিনি ভাল বুঝেন, অন্যের লেখা না পড়লে, অন্যরা আমার লেখা পড়বে কেন!
আমার বন্ধু সোহেল কাদের। মেরিকায় থাকে। মেরিকা তথা উন্নত বিশ্বে কোরবানী করতে হয় খামারে গিয়ে। যথারীতি আমার বন্ধু সোহেল কাদের খামারে গিয়ে কোরবানী করেছে তবে ছাগলের দাত দেখে নিতে ভুলে নাই! দুষ্ট ছেলে, বিবাহের পরেও দুষ্টামি করে যাচ্ছে! ছাগলের দাত দেখানোর দুষ্টামিতে মনে হচ্ছে, আমাগো সোহেল, আগের মতই আছে!
ভাতিজা তানিম হাই এর গরু! আমাদের লেখার গুরু উত্তরদার ছেলে তিনি। নেটে তার গরু/ছাগলের ছবি দেখলাম আবার পরে নেটে দেখলাম, কোরবানীর পশুর প্রতি দরদ নিয়ে স্ট্যাটাস লেখা! বুঝা যায় কোন পথে যাবেন সিদ্বান্ত এখনো নিতে পারছেন না! বাংলাদেশের অনেক মানুষই কোন পথে যাবে এখনো ঠিক করতে পারে নাই!
তারছেড়া তামিম, সারাদিন নেটে! গরুর পাশাপাশি ছাগল কোরবানী দিয়েছে। বাংলাদেশের খাসি! দেখে মন ভরে যায়।
আমার ফেইসবুক বন্ধু ইফতেখার হোসেন। আমি তার স্ট্যাটাস প্রায় দেখে থাকি। তিনি এখন মক্কা/মদিনায় আছেন, হজ্জ্ব পালন করছেন। হজ্জ্বে গিয়েও যে কয়েকজন বাংলাদেশী নেট ব্যবহার করছেন, তিনি অন্যতম। তা হলে কথা থেকে যায় তিনি তার দেশের বাড়িতে কোরবানীর গরু দেখলেন কি করে? হা, এই গরুর ছবি তাকে ইমেল করে পাঠিয়েছেন তার ছেলে এবং সেই মেইল থেকেই তিনি এটা ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন। তবে আমার দেখা এই গরুই প্রথম যাকে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। বিষয়টা অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করছি, যদিও মনে হচ্ছে এটা গরু চোরদের হাত থেকে বাঁচাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে!
ইনোসেন্ট চৌধুরীর গরু। ফেইসবুকে তিনি বেশ পরিচিত, নামখানা বেশ! ইনোসেন্ট! ভাল দামে বেশ সুন্দর গরু কিনেছেন। তবে আজ সকালে দেখলাম, নিজের গরু নিজেই কোরবানী দিয়েছেন এবং পুরা গরু জবাইয়ের একটা ভিডিও আপলোড করেছেন। গরু জবাইয়ের ছবি আপলোড করা কতখানি ঠিক হয়েছে এটা মার প্রশ্ন। প্রযুক্তি হাতের কাছে আছে বলে এর ব্যবহার এভাবে করতে হবে!
আমাদের ব্লগার রুবেল ভাই এর গরু। অনলাইনের যে কোন অনুষ্টানে তিনি উপস্থিত থাকতে বেশ পছন্দ করেন। এই গরু দেখে আমার ছেলে বলল, বাবা গরু টা দেখে সোমালিয়া, সুদানের কথা মনে পড়ছে! আমি বললাম, এই গরু কোরবানীই হয়ত আল্লাহ সবার আগে কবুল করে নেবেন। ঘুষের বা চোরাই টাকায় বড় বড় গরু/ছাগল কোরবানী দেয়া যায়, কিন্তু তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না! ছেলে কি বুঝলো বুঝতে পারছি না!
ফেইসবুক বন্ধু আশ্রাফুল আলম খোকন ভাইয়ের গরু! বেশ নাদুস নুদুস গরু, রংটাও চমৎকার, দেখে মন ভাল হয়ে যায়।
আল মাসুম ভাইয়ের গরু! খালি বসে থাকে। কোরবানীর আগে এই পশু গুলো যে ধকল সহ্য করে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এই গরুটা সেটা কিছুটা প্রকাশ করতে পেয়েছে!
ফেইসবুক বন্ধু আর রাফি সাহেবদের গরু। এবার দাম অনুসারে ভাল গরু কেনা গেছে! সবাই খুশি, আমিও খুশি।
জাকির হাসান সাহেবদের গরু। রাতে কেনা এবং রাতেই ছবি তোলা এবং রাতেই ফেইসবুকে আপলোড!
আরো একটা পর্ব করা যেতে পারে। যারা প্রথম পর্ব দেখেন নাই এবং নিজের গরু/ছাগল খুঁজেন নাই, তাদের জন্য আবারো লিঙ্ক দিয়ে গেলাম।
আমার ছবি সংগ্রহ! পর্ব ২ (ব্লগার/ফেইসবুকারদের কোরবানীর গরু/ছাগল!)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭