কয়েকদিন ধৈরা বাংলাদেশে যারেই ফোন দেই সবাই জিজ্ঞেস করে অস্ট্রেলিয়াতে নাকি এখন ফিনান্সিয়াল সাপোর্ট হিসাবে ৫০ লাখ টাকা দেখাইতে হবে। প্রথম আলোতে নাকি এইটা ছাপা হৈছে। অনেক খুইজা আইজকা খবর্টা পাইলাম।
এইখানে মোস্তফা কামাল খবর্টা ল্যাখছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকাররে পক্ষ থেকে নাকি জানানো হৈছে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াতে যাওয়া বাংলাদেশি ছাত্রদের দাখিল করা কাগজ পত্র নাকি কিছু জাল পাওয়া গ্যাছে। তারা নাকি পড়ার নাম কৈয়া যাইয়া নিজের টিউশান ফি নিজেই দেয়। যার জন্য তাগো অনেক কাজ কর্তে হয় আর রাইতে দেরী কৈরা বাসায় ফির্তে গ্যালে অনাকাংখিত ঘটনার জন্ম দেয়। যার জন্য সব মিলাইয়া বাংলাদেশকে নাকি চার স্তরে নামানো হৈছে।
কিন্তু জনাব মোস্তফা কামাল কি এইটা জানেন যে, বাংলাদেশকে প্রায় বছর খানেক আগেই এ্যাসেসমেন্ট লেভেল ফোরে নামানো হৈছে। উনার কথাতে মনে হৈছে যে দুইদিন আগে পরে এইটা করা হৈছে। আর এইখানে আইসা বেশী কাজ কোন দেশে মানুষই না করে। এখন কোনো ছাত্র যদি তার নিজের টিউশান ফি নিজে দিতে পারে পারে তাতে কৈরা সমস্যাটা কৈ।
কিছুদিন ধৈরা রাইতে একটু ঝামেলা হৈতাছে যার বেশীর ভাগই কর্তাছে লেবানীজেরা। নেপালীরাও গ্যাঞ্জাম কর্তাছে। আমি এখনো শুনি নাই কোন বাংলাদেশী বড়সড় কোনো গ্যাঞ্জাম কর্ছে। রাইতে কাজ কৈরা ফিরে বৈলা বাংলাদেশগো দোষ হৈয়া গ্যালো!!!
আর আইজকা অস্ট্রলিয়ান সরকারের ওয়েব সাইট অনেক কৈরা ঘাইটাও কোনোখানে পাইলাম না যে ৫০ লাখ টাকার কথা কোনোখানে কওয়া আছে। আর যেইখানে একটা কলেজে দেড় বছরের কোর্সের জন্য মাত্র ১২-১৫ লাখ টাকা দর্কার হয় (কলেজ ভিত্তিক, ইউনির কথা আলাদা) সেইখানে আমারে কেনো ৫০ লাখ টাকা দেখাইতে হবে!!! যেহেতু অস্ট্রলিয়ান সরকারের ওয়েব সাইতে এই ধরনের কিছু নাই তার্মানে মোস্তফা কামাল আর প্রথম আলো পত্রিকা যতৈ ফাল পারুক কোনো কামে আইবো না।
উনি ল্যাখলো এইটা নাকি নতুন শর্ত, এইটা বছর খানেক আগের বাসী খবর। কিন্তু এইরকম খবর দেরী কৈরা খবর ছাপাইয়া তারা ঠিক কি বুঝাইতে চাইলো? খামাখাই ছাত্রগো মাঝখানে আতংক ছড়ানোর মানে কি হৈলো তা বুঝলাম না!!!
সবচেয়ে ভালো হয় যার কাছ থেকে যাই শুনেন, এইখানেও একটু খোঁজ নিয়েন
http://www.immi.gov.au/
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০০৯ রাত ৯:৫১