নতুন ছড়া ছড়াক্কা,এটি আবিস্কার করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সতীশ বিশ্বাস।
‘ছড়াক্কা’ নামে একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন তিনি।ভারত ও বাংলাদেশের বহু লেখক “ছড়াক্কা” লিখছেন।অল্প কথায় মনের ভাব প্রকাশের
বেশ জনপ্রিয় ফরম্যাট হয়ে উঠেছে এটি।
ছড়াক্কার সাধারণ নিয়ম,এটি ছয় লাইনের হবে।প্রথম ও শেষ লাইন হবে বড়,এদের মধ্যে অন্তমিল থাকবে।মাঝের চারটি লাইন হবে ছোট।
আমি আগে কখনও ছড়াক্কা লিখিনি,গত এক সপ্তাহ ধরে মাথায় কি যে
পোকা ঢুকল,লিখে ফেলেছি কয়েকটা।
প্রথম লেখা কয়েকটি শেয়ার করছি বন্ধুদের সাথে।
আলোচনা(ছড়াক্কা-২)
সমালোচনা খুবই ভাল যদি করে নিন্দুকে
টাকা-পয়সা আরো ভালো
সোনাদানায় রুপ-সাজালো,
বিপদকালে
আসল হালে
ঠিক চেনা যায় বন্ধুকে।
*
সোনার হরিণ(ছড়াক্কা-৩)
প্রিয়জনের সাথে সুখ চলে যায়
শান্তি যায় কিছু,
জীবনের ভাগবন্টনে
বিষাদের ক্ষণে
গাছ হয় নিচু,
সোনার হরিণ ছোটে আপন মায়ায়।
*
আমাদের কথামালা-১৪৫(ছড়াক্কা-৫)
.
আমরা এখন নিজের-নিজের ছায়া মেপে চলি
রোদে পুড়িয়ে
বাতাসে উড়িয়ে,
স্বপ্ন বুনছি
দিন গুনছি,
তাল কাটে,সুর ভাঙে তবু স্রোতে জমে পলি।
*
রাখী-উৎসবে(ছড়াক্কা-৪)
.
ঘরে-ঘরে আজ রাখী-বন্ধন,পথেঘাটে আজ রাখী বন্ধন
খুশিমনে
রাখী পরি,
হাসিমুখে
উইশ করি,
বিপদকালে ক’জন বাঁচাতে পারি বোনের সম্ভ্রম?
*
রংবদল(ছড়াক্কা-৬)
.
আমরা এখন চোরের ভয়ে ঘরবাড়ির রং বদলায়
বদলে ফেলি
পুরোন অভ্যেস,
ছুঁয়ে ফেলি
অনেককিছুর রেশ,
অদলবদল এমনতর,নিজেকে দেখে নিজেই চমকায়।
*
লোডশেডিংয়ে(ছড়াক্কা-৭)
@ তুষার আহাসান
আমরা এখন গাব শিখেছি বিজলিবাতির
সুরে আলো
প্রজাপতি,
নদীর স্রোত
ময়নামতি,
চটিজুতো লোডশেডিংয়ে,এই তো খাতির।
*