(১)
স্বামীঃ কয়েকজন বন্ধুকে আজ বাড়িতে খেতে ডাকলাম।
স্ত্রীঃ কী? তুমি কি পাগল? বাড়ির এই ছড়ানো ছেটানো অবস্থা, বাসনপত্র সিঙ্কে ডাঁই করে রাখা-----আমি রান্না করতে পারবো না বলে দিলাম।
স্বামীঃ আমি জানি তো।
স্ত্রীঃ জানো? আবার বুক ফুলিয়ে বলছো সেকথা? তারপরও---
স্বামীঃ আরে বোকা গুলো বিয়ে করবে ঠিক করেছে তাই একবার---
(২)
ডিভোর্সের মামলার শেষে বিচারক রায় দিচ্ছেন।
প্রাক্তন স্বামীর দিকে চেয়ে তিনি বললেনঃ
আপনার প্রাক্তন স্ত্রীকে আমি মাসে দশ হাজার টাকা দেওয়া মঞ্জুর করলাম।
সঙ্গে সঙ্গে প্রাক্তন স্বামী বললেনঃ হুজুর, আপনি দয়াময়, মহান, ধর্মাবতার। আপনার সঙ্গে সঙ্গে আমিও আমার প্রাক্তন স্ত্রীকে
মাঝে মধ্যে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো।
(৩)
তিন বন্ধু এক অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়।
স্বর্গে তাদের জিজ্ঞেস করা হলো--
যখন তোমাদের আপনজনেরা মৃতদেহ শেষবারের মতো দেখবে, তখন তাদের মুখে কোন কথা শুনতে চাও?
প্রথম বন্ধু--তারা যেন বলে, আমি খুব ভাল ডাক্তার ছিলাম এবং আমার পরিবারের খেয়াল রাখতাম।
দ্বিতীয় বন্ধু--তারা যেন বলে, আমি খুব ভালো শিক্ষক ছিলাম। ছোটদের অনেক কিছু শেখাতে পেরেছি।
তৃতীয় বন্ধু--তারা যেন বলে, আরে! দেহটা নড়ছে যে!
(৪)
মৃত্যুশয্যায় এক ভদ্রলোক তাঁর স্ত্রীকে ডেকে বললেনঃ তোমাকে কিছু বলতে চাই।
স্ত্রী বললেনঃ থাক কিছু বলতে হবে না।
ভদ্রলোকঃ না শেষ সময়ে আমাকে একটা সত্যি কথা বলতে দাও, তোমার বোন আর বৌদির সঙ্গে আমার ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে।
স্ত্রীঃ তাহলে শেষ সময়ে আমারও একটা সত্যি কথা শুনে যাও, ব্যাপারটা আমি জেনেছি বলেই তোমাকে বিষ দিয়েছি।
(৫)
কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাঁর সেক্রেটারীকে ডেকে বললেনঃ
শোন, আমি এখন একটা জরুরী মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকবো, কেউ এলে কিম্বা ফোন করলে বলে দেবে পরে করতে।
সেক্রেটারী বললেনঃ
কেউ যদি খুব জরুরী কিছু কথা আপনাকে বলতে চায়?
--যে যাই বলুক তুমি না বলে দেবে। খুব ঘ্যান-ঘ্যান করলে বলে দেবে, অমন কথা সবাই বলে।
সেক্রেটারী তাই করতে লাগলেন। একে-একে ফোন আসছে উনি না করে দিচ্ছেন।
কিন্তু এক ভদ্রমহিলাকে উনি কিছুতেই ম্যানেজ করতে পারছেন না। অনেক কথা বলার পর সেক্রেটারী যখন
কিছুতেই লাইন দেবে না তখন মহিলা ধমকের স্বরে বললেনঃ লাইনটা দেবে কিনা বলো, আমি উনার স্ত্রী ।
সেক্রেটারী অম্লান স্বরে বললোঃ অমন কথা সবাই বলে।
(৬)
ট্রেনের টিকিট পরীক্ষকঃ একি তোমার সাথে তো কেউ নাই তবু তুমি দুটো টিকিট কেটেছো কেন?
সুজনঃ এটা আসলে একটা রক্ষাকবচ।
টিকিট পরীক্ষকঃ কি রকম?
সুজনঃ একটা টিকিট হারিয়ে গেলে আর একটা টিকিট ব্যবহার করা যাবে।
টিকিট পরীক্ষকঃ যদি দুটোই হারিয়ে যায়?
সুজনঃ তখন সুটকেশ থেকে মান্থলি টিকিটটা বার করবো।
(৭)
জাহাজডুবি নিশ্চিত।
ক্যাপ্টেন তাঁর তিন সঙ্গী নাবিককে কেবিনে ডাকলেন।
বললেন--হাতে সময় খুব কম। আমাদের সম্বল এখম একটা লাইফবোট। তাতে তিনজন জায়গা পাবে। তারমানে তোমাদের
কোন একজনকে জাহাজেই থাকতে হবে। কে থাকবে সে বিষয় আমি একটা মজার জিনিষ চিন্তা করেছি। তোমরা রাজী থাকলে
বলবো।
নাবিকরা বললো--আমরা রাজী।
ক্যাপ্টেন--আমি তোমাদের সকলকে একটা করে প্রশ্ন করবো, যে সঠিক উত্তর দেবে সে লাইফবোটে জায়গা পাবে। যে উত্তর
দিতে পারবে না, তাকে জাহাজে থাকতে হবে। কি রাজী?
নাবিকরা বললো--আমরা রাজী।
ক্যাপ্টেন প্রথম নাবিককে প্রশ্ন করলেন--টাইটানিক জাহাজটি কত সালে ডুবেছিল?
--১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল।
ক্যাপ্টেন দ্বিতীয় নাবিককে প্রশ্ন করলেন--কত জন যাত্রী তাতে মারা যায়?
--মারা যায় ১৫১৭ জন।
ক্যাপ্টেন তৃতীয় নাবিককে প্রশ্ন করলেন--একের পর এক মৃত যাত্রীদের নাম বলো?
(৮)
ডাক্তার--দেখুন এই থার্মোমিটারটি আপনার স্ত্রীর জ্বিভের নিচে রেখে দেবেন। আর তাঁকে বলবেন যেন আধ-মিনিট পর্যন্ত
তিনি মুখ না খোলেন।
স্বামী--ডাক্তারবাবু দয়া করে আধঘন্টা-ওলা থার্মোমিটার দিন।
(৯)
বিউটিশিয়ান সখীর চুল কাটতে গিয়ে অসাবধানে কানের লতিটা কেটে ফেললো।
সখী চিৎকার করে উঠলো।
সুজন রেগেমেগে বললো--
আপনারা এত চার্জ নেন অথচ এই আপনাদের কাজের নমুনা!
বিউটিশিয়ান হেসে বললো--
ঠিক আছে কানের লতি কাটার জন্যে আমরা কোন এক্সট্রা চার্জ নেব না। কি এবার খুশি তো?
বাসায় ফিরে সুজন হাসিমুখে সখীকে বললো--
হুঁ,হুঁ, বাছাধনকে এমন ধমক দিয়েছি, দেখলে কেমন কানের লতি কাটার জন্যে এক্সট্রা চার্জ নিলো না।
(১০)
শিক্ষক তার প্রোগ্রেস রিপোর্টে লিখলেন--
দেখুন, আপনার ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
শুধুমাত্র খারাপ খবর হলো এই যে,
সে বেশীর ভাগ সময় মেয়েদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়।
আমি তার এই অভ্যাস ছাড়ানোর কায়দা চিন্তা করছি॥
সেই রিপোর্ট যখন ছাত্রের মায়ের হাতে এলো, তখন তিনি লিখলেন--
যখন আপনি সফল হবেন তখন সেই কায়দাটা আমাকে জানিয়ে দেবেন দয়া করে। সেটা আমি ওর বাপের উপর প্রয়োগ করবো।
(১১)
স্বামী--জানো আমি রোজ ৫০০টাকা করে বাঁচাই।
স্ত্রী--সেকি, তাহলে তো তোমার অনেক টাকা জমে গেছে! কি করে জমাও ভাই?
স্বামী---আমি ট্রেনের ডেইলী প্যাসেঞ্জার তো আর তুমিও নিশ্চয় জানো, ট্রেনে লেখা থাকে "অকারণে চেন টানলে ৫০০টাকা
জরিমানা"।
স্ত্রী--তাতে কি?
স্বামী---হাত নিশপিস করলেও আমি কোন দিন চেন টানি না।
(১২)
একজন মহিলা ট্রাক্সি চালক ট্রাফিক না মেনে যাচ্ছিলেন।
ভেতরে বসে ছিল দশ-বারো জন স্কুল ছাত্র-ছাত্রী।
তারা হইচই করছিল।
ওদের বাসায় ফেরার তাড়া ।
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের মটোর সাইকেল পথরোধ করে দাঁড়ালো ট্রাক্সির।
ট্রাফিক সার্জেন্ট বললেন--ছিঃ, কোথায় থামতে হয় তা-ও শেখেননি?
মহিলা বললেন--মাফ করবেন, ওরা আমার ছেলেমেয়ে নয়।
(১৩)
ডাক্তারখানায় এক রোগীকে নিয়ে এলো তিনজন বন্ধু।
ডাক্তার বললেন--কি হয়েছে ওর।
--আমরাও জানি না ডাক্তারবাবু। ও আমাদের বন্ধু। সকালবেলা ভাল ছিল । দিব্যি হাসিখুশি। চান করে ঘরে গেল। তারপর দেখি।
ওর এই অবস্থা কুজো হয়ে আছে। কিছুতেই সোজা হতে পারছে না।
--ঠিক আছে ওকে আমার চেম্বারের ভেতরে রেখে যাও। দেখি কি করতে পারি।
একটু পরে চেম্বার থেকে সোজা হয়ে বেরিয়ে এল বন্ধুটি। পাশে হাসিমুখে ডাক্তার।
--আশ্চর্য, কি করে এমন হলো বলুন তো, কি হয়েছিল ওর।
--হয়নি কিছুই, তোমাদের বন্ধু ভুল করে প্যান্টের হুকে কোটের বোতাম লাগিয়ে ফেলেছিল।
(১৪)
--আরে ভাই কতোবার বলবো, এটা একটা বাড়ি মানে হোম, কোন যাওয়া-আসার রাস্তা কিম্বা যাতায়াত বিভাগ নয়।
বলেই ফোনটা রেখে দিলেন স্বামী।
স্ত্রী এসে বললেন--কে ফোন করেছিল গো?
স্বামী--জানি না, কোন পাগল ছিল বোধহয়। বারম্বার জিজ্ঞেস করছিল, প্রিয়া, রাস্তা কি পরিস্কার হয়েছে।
(১৫)
রীনারা নতুন এসেছে পাড়ায়। সে যখন কলেজ যায়। রকবাজ ছেলেরা ড্যাবড্যাব করে দেখে।
একদিন একজন রীনাকে শুনিয়ে-শুনিয়ে বললো--আরি বাস, চাঁদ তো রাতেই আলো দেয় বলে জানতাম। এখন যে দেখি
দিনেও জোসনা ছড়াচ্ছে।
রীনা ঝটপট জবাব দিলো--প্যাঁচারা রাতে ডাকে শুনেছি, এখন যে দেখি দিন-দুপুরেও ডাকে।
*
(১৬)
সুজন–বুঝলে হাসান, আরো একবছর নাকি আমার শ্বাশুড়ির পরমায়ু। সুতরাং আরো একবছর উনি আমাকে জ্বালাবেন।
হাসান–সেকি, তুমি যে গতকাল বললে, সফিক-ডাক্তার বলেছেন, একমাসের মধ্যেই উনি ইন্তেকাল করবেন?
সুজন–ঠিকই বলেছিলাম। তবে আমার বউ আরো এগারোজন ডাক্তারকে দেখিয়েছে, সবাই ওই একমাস করে বলেছে।
(১৭)
জলের মতো বউও তিন অবস্থায় বিরাজ করে জীবনে।
উদাহরণ?
বিয়ের আগে পাত্র বললো--
না মা, মেয়ে পছন্দ হয়েছে কিন্তু অত চুপচাপ থাকা ভাল না, মনে হলো যেন বোবা।
বিয়ের পরে স্বামী হয়ে ফুলশয্যার রাতে সে বউকে বললো--
এই চুপ করে আছো কেন,একটু কথা বলো।
কয়েক বছর বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করার পরে বউকে সে বলতে বাধ্য--
দয়া করে একটু চুপ করবে?
(১৮)
প্রেমিকা–জানো আমার বাবা তোমার সাথে বিয়েতে মত দিয়েছে।
প্রেমিক–কেন আমি আর্টিস্ট বলে?
প্রেমিকা–হ্যাঁ, কিছুটা তাই।
প্রেমিক–কি বলেছেন তিনি?
প্রেমিকা–বলেছেন ছবিগুলো ভয়ঙ্কর, লোকটা নয়।
প্রেমিক–তাঁর অমন বলার কারণ?
প্রেমিকা–আগে যার সাথে প্রেম করতাম সে কুস্তিগীর ছিল কিনা।
(১৯)
প্রেমিকা--আমি তোমাকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালবাসি। বিয়ের পর তোমার সুখ-দুঃখের সাথী হতে চাই।
প্রেমিক--জীবনে দুঃখ কি জিনিষ আমি জানিই না।
প্রেমিক--বিয়ের পর তোমার সে সাধও পর্ণ হবে।
(২০)
প্রেমিকা--জানো আমি তেমন-ই একজনকে বিয়ে করতে চাই, যে রোজ সিনেমা দেখাবে, গান শোনাবে, চুপ করতে বললে চুপ
করবে, শুরু করতে বললেই শুরু করবে।
প্রেমিক--খুব ভাল, তোমার উপযুক্ত বর হবে টেলিভিশন!
(২১)
বিবাহিত নারী--জানো আমি বিশ দিন ধরে আমার স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছি না।
অবিবাহিত তরুণী--আরে আপনি তো মোটে বিশ দিন খুঁজছেন, আমি বিশ বছর ধরে খুঁজে পাচ্ছি না।
(২২)
স্বামী--আমি বোকা বলেই তোমাকে বিয়ে করেছি।
স্ত্রী--আমিই বেশী বোকা, না হলে বোকা জেনেও তোমাকে বিয়ে করি।
(২৩)
রোহন--একমাস ধরে আমার স্ত্রী রোগা হওয়ার জন্যে ঘোড়ায় চড়ছে।
হাসান--কোন লাভ হলো?
রোহন--হ্যাঁ, ঘোড়াটা খুব রোগা হয়ে গেছে।
(২৪)
দেবদাস--বুঝলে সুমন, বিয়েটা হলো একটা লটারী।
সুমন-মানতে পারলাম না।
দেবদাস -- কেন?
সুমন--কারণ লটারীর টিকিট পরে আবার কিনেও ভাগ্য পরীক্ষা করা যায়।
(২৫)
পরান--এই বইয়ের শেষটা এতো দুঃখজনক যে মনটা আমার হু-হু করছে।
আরেফিন--কি বই এটা?
পরানন--আমার ব্যাঙ্কের পাশবই।
(২৬)
. বাড়ির কর্তা কাজের ছেলেটিকে
--আরে কাঁদছিস কেন?
--গিন্নীমা মেরেছে।
--দুর পাগলা, গিন্নীমা মারলে কাঁদে নাকি? আমাকে কোনদিন কাঁদতে দেখেছিস?
(২৭)
জেলখানা থেকে পাঁচজন কয়েদী পালিয়েছে।
খবর পেয়ে পাহারার দায়িত্বে থাকা অফিসারকে ধমকে দিলেন জেলার
--কি রকম বে-আক্কেল আপনি? বেরোবার দরজা গুলো বন্ধ ছিল কিনা দেখেননি?
অফিসার মুখ কাঁচুমাচু করে বললো--
বেরোবার দরজাগুলো বন্ধই ছিল স্যার। তবে--।
--কি তবে?
--ভেতরে ঢোকার দরজা গুলো বন্ধ করতে ভুলে গেছিলাম।
(২৮)
সমীর--পাশের বাড়ির জেঠুমণিরা খুব গরীব তাই না মা?
মা--দেখে তো তা মনে হয় না। কেন বলতো?
সমীর--ওদের নাতিটা ভুল করে দশ পয়সা খেয়ে ফেলেছে তাতে কত কান্ডই না করলো।
(২৯)
সুজন আর সখী মার্কেটিংয়ে বেরিয়েছে।
দেদার জিনিস কেনা হয়েছে।
ফুচকা খেয়েছে।
আইসক্রিম খেতে গিয়েই কথাটা মনে পড়ে গেছে সখীর।
সে ব্যস্ত হয়ে বললো--
ও-গো শিগগীর বাড়ি চল, আমি তাড়াহুড়োতে গ্যাস নেভাতে ভুলে গেছি।
সুজন বললো--
ভয়ের কোন কারণ নেই, আমি চানঘরের কলটা বন্ধ করতে ভুলে গেছি।
(৩০)
সদ্য-বিবাহিত এক তরুণী তার বান্ধবীর কাছে বিয়ের গল্প করছিল।
--জানিস, আমাদের বিয়েটা না, একেবারে সিনেমার মতো।
--কি রকম।
--প্রেম হয়েছে কলকাতায়, বিয়ে হয়েছে দেরাদুনে। আর হনিমুন হলো পুরীতে।
--তোর বর বুঝি খুব বড়লোক?
--না-রে, আমার বর টুরিস্ট-বাসের ড্রাইভার।
*
(৩১)
এক জুয়াড়ীকে পুলিশ ধরে এনেছে থানায়।
জুয়াড়ী বললো--
আমাকে এখানে আনা হয়েছে কেন?
পুলিশ-অফিসার বললেন--
তোমাকে জুয়া খেলার জন্যে থানায় আনা হয়েছে।
জুয়াড়ী মৃদু হেসে বললো--
বেশ-বেশ খুব ভালো। তাহলে আর দেরী করা কেন, আসুন শুরু করা যাক।
(৩২)
শিক্ষক--পিঁপড়ে আমাদের কি উপকার করে?
হাসান--মা কোথায় মিস্টির হাঁড়ি লুকিয়ে রেখেছেন, পিঁপড়ে আমাদের জানিয়ে দেয়।
(৩৩)
সুজন--সখী তোমাকে আমি কত ভালবাসি, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
সখী--ঠিক আছে তুমি হাত দিয়ে এঁকে দেখাও।
(৩৪)
স্বামী--আজকাল দুরের জিনিষ দেখতে কষ্ট হচ্ছে, ভাবছি একটা চশমা নেবো।
স্ত্রী--ফালতু টাকা খরচের কথা চিন্তা করো না তো, মনে রেখো এ-এলাকায় আমার চেয়ে সুন্দরী আর কেউ নেই।
(৩৫)
ডাক্তারবাবু: কি খুব ভয় লাগছে?
রোগী: হ্যাঁ, ডাক্তারবাবু দাঁত তুলতে এসে মনে হচ্ছে ভয়ে
আমি পটল তুলব।
ডাক্তারবাবু:আরে না,না, এই গ্লাসের হুইস্কিটুকু খেয়ে নিন,
দেখুন আপনার হারানো সাহস ফিরে পাবেন।
একটু পরে।
ডাক্তারবাবু: কি, এবার সাহস ফিরে পেয়েছেন তো?
রোগী:পেয়েছি মানে, আলবত পেয়েছি, কোন শা--, আমার
দাঁত তুলতে আসে দেখি, ঘুঁষি মেরে তার দাঁত ফেলে দেব।
৩৭)
নতুন ভাড়াটিয়া:আগের বাড়ি ছেড়ে আসার সময় বাড়ি ওয়ালা খুব কান্নাকাটি করলেন।
বাড়ি ওয়ালা :-চিন্তা নেই আমার ও দশা হবে না, আমি ভাড়ার টাকা অগ্রিম নিই ।
(৩৮)
সেলসম্যান:-আমাদের এই ওষুধ খেলে মানুষ ১২০ বছর বাঁচে ।
যুবক:-ব্যাচেলার হলে একটা কিনতাম।
(৩৯)
বিমার এজেন্ট:-ভাঙা হাত-পাযের জন্য আমরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিমা করি ।
খদ্দের:-ভাঙা হাত-পা নিয়ে আপনারা কি করেন ?
(৪১)
ছেলে: মা, আজকাল তুমি লোকজনের সাথে
এত কম কথা বল কেন?
মা: মিথ্যে বলার জন্যে ফেসবুক আছে।
(৪২)
স্বামী: মিথ্যে কথা আমি একদম লাইক করি না।
স্ত্রী: ফেসবুকে তো দেখি সবার কথাতেই লাইক দাও।
(৪৩)
দ্বাদশ তম বিবাহ বার্ষিকীর রাত।
স্ত্রী: তোমাকে আমি ঘোড়ার মত ছুটতে দেখেই স্থির
করে ফেলেছিলাম। কি স্থির করেছিলাম জানো?
স্বামী:জানি, তুমি স্থির করেছিলে, ঘোড়াটাকে আমি
গাধার মত খাটাব।
(৪৪)
স্ত্রী: খুব সমস্যায় পড়েছি জানো?
স্বামী: কেন?
স্ত্রী:ছেলের খুব হাতটান হয়েছে, যেখানেই
টাকা রাখি,চুরি করে নিচ্ছে। কি করি বল তো?
স্বামী:ওর পড়ার বইয়ের ভেতরে রাখ,খুঁজে
পাবে না।
(৪৫)
যুবক: আপনাকে কোথায় যেন দেখেছি?
সুন্দরী তরুণী: আমি একটা মানসিক হাসপাতালের
নার্স, তাই সেখানে দেখা হতে পারে।
(৪৬)
হামিদ: বুঝলি আমি সেদিন একশ টাকা কুড়িয়ে
পেয়েছিলাম রাস্তায়।
কামুদ: তাই নিয়ে রেস্তরায় নিশ্চয় খাবার খেলি।
হামিদ: হ্যাঁ, খেলাম, তবে বিল হয়ে গেল সাতশো
টাকা।
কামুদ: তারপর?
হামিদ: আমি দোকানদারকে বললাম, আমার কাছে
কোন টাকা নাই।
কামুদ: দোকানদার তোকে মারল বুঝি?
হামিদ: না, সে আমাকে পুলিশে দিল।
কামুদ: পুলিশ নিশ্চয় মারল?
হামিদ: না, সে আমার কাছে ওই একশ টাকা ঘুষ
পেয়ে ছেড়ে দিল।
(৪৭)
এক বিদেশী পর্যটক তার গাইডকে জিজ্ঞাসা করল:
এদেশে সবথেকে বেশী বরফ কোথায় পড়ে?
গাইড: রাত আটটার আগে কাশ্মীরে আর রাত
আটটার পর হুইস্কির গ্লাসে।
(৪৮)
একবার এক জাপানী প্রতিনিধি দল ভারতে এল
একটি উন্নয়ণ প্রকল্পের কাজ দেখাশোনার জন্য।
একটা মিটিংয়ে সেই প্রতিনিধি দলের শীর্ষ কর্তা
বললেন: আমাদের তিন বছর সময় দিন
আমরা ভারতকে জাপান বানিয়ে ছেড়ে দেব।
ভারতীয় প্রতিনিধি দলের শীর্ষ কর্তা তার
জবাবী ভাষণে বললেন: আপনারা বড্ড বেশী
সময় নিয়ে ফেলছেন, আপনারা আমাদের মাত্র
তিনদিন সময় দিন, আমরা জাপানকে ভারত
বানিয়ে দেব।
(৪৯)
রহিম: কাল আমি ক্যাটরিনা কাইফের সাথে
কথা বললাম।
রহমান: তাই নাকি? কি বলল?
রহিম: রং নাম্বার।
(৫০)
প্রেমিকা: আমি হলাম মোবাইল, তুমি আমার
সিমকার্ড।
প্রেমিক: তাই নাকি,তোমার মোবাইল ডবল
সিমের নয়তো?
(৫১)
করিম: তুই তোর বউকে কি বলে ডাকিস?
দেবদাস: গুগল শুনছো?
করিম: তারমানে?
দেবদাস: একটা প্রশ্ন করলে হাজার রকম উত্তর দেয়, তাই।
(৫২)
এক ভদ্রলোক দোকানে ঢুকলেন কুকুর কিনতে।
দোকানদার তাকে তিনটি কুকুর দেখালেন।
প্রথম কুকুরটি দেখে ভদ্রলোক বললেন,
এটার দাম কত?
দোকানদার: দু-হাজার টাকা।
ভদ্রলোক: কেন?
দোকানদার:এটা কম্পিউটার চালাতে জানে।
ভদ্রলোক:আর,এটার দাম কত?
দোকানদার:এটাও খুব ভাল, এর দাম চার হাজার।
ভদ্রলোক:কেন?
দোকানদার:এটা মাল্টিমিডিয়ার কাজ জানে।
ভদ্রলোক:বেশ,বেশ, তা এই তিন নম্বরটির দাম কত?
দোকানদার:আট হাজার।
ভদ্রলোক: তা এটা কি জানে?
দোকানদার:এটা কি জানে তা আমি নিজেও জানি না।
ভদ্রলোক:জানেন না, তা, অমন অস্বাভাবিক দাম বলছেন কেন?
দোকানদার:অন্য কুকুর দুটো ওকে ‘বস’ বলে ডাকে।
(৫৩)
গাবলু: কিরে অমন অবাক হয়ে বরফটাতে কি
দেখছিস?
হাবলু: দেখছি, বরফটার কোথায় লিক আছে, যেখান
দিয়ে পানি পড়ছে।
(৫৪)
বাবা: মাটিতে অমন করে কি খুঁজছিস?
ক্যাবলা: একটু আগে তুমি বলছিলে না, আমি নাকি
তোমার নাম মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছি, সেটাই খুঁজছি।
(৫৫)
রহমান: আচ্ছা ভোটের বয়স ১৮ বছর কিন্তু বিয়ের
বেলা বয়স কেন ২১ বছর হতেই হয়।
করিম: ১৮ বছর বয়সে দেশ সামলানো যায় কিন্তু ২১
বছর বয়সের আগে বউকে সামলানো যায় না।
(৫৬)
মা: খোকা, তুই বড় হয়ে কি হতে চাস?
খোকা: পশুর ডাক্তার।
মা: কেন, পশু ডাক্তার কেন?
খোকা: পশুরা কখনোই ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলে না।
(৫৭)
বিদুষী কন্যা: ভগবান, আমাকে একজন বুদ্ধিমান পুরুষের
সঙ্গে বিয়ে দাও।
ভগবান: তা হয় না কন্যা, অন্য কোন বর নাও।
বিদুষী কন্যা: না, আমার বুদ্ধিমান বরই চাই।
ভগবান: ওরে পাগলী, বুদ্ধিমান পুরুষেরা কখনোই
বিয়ে করে না।
(৫৮)
লাইব্রেরীতে গিয়ে এক পাঠক জিজ্ঞাসা করল, আত্মহত্যা
নিয়ে কোন ভাল বই আছে?
লাইব্রেরিয়ান: হ্যাঁ, আছে। কিন্তু ইস্যু করা যাবে না।
পাঠক: কেন?
লাইব্রেরিয়ান:তাহলে সেটা আর ফেরত পাওয়া যাবে না।
(৫৯)
রহিম: বল তো বান্ধবী আর স্ত্রীর মধ্যে তফাত কোথায়?
করিম: কোথায়?
রহিম: বান্ধবীকে তুই বলতে পারবি, তুমিই আমার সেরা
বান্ধবী কিন্তু বউকে কখনোই বলতে পারবি না, তুমিই
আমার সেরা বউ।
(৬০)
বাবা: চার-এর পরে কত হয়?
ছেলে: পাঁচ-ছয়-সাত।
বাবা: বেশ,বেশ, তারপর?
ছেলে: আট-নয়-দশ।
বাবা: খুব ভাল, তারপরে?
ছেলে:গোলাম-বিবি-সাহেব!
(৬১)
সুলতানা:-শুনছো,আমাদের তো কোন ছেলেপুলে নেই,তাই ভাবছি,আমার সব সম্পত্তি কোন ফকির-দরবেশকে দান করে যাব।
শুনে সুলতানার স্বামী বাদশা যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থাতেই ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, সুলতানা তার হাতটা ধরে বলল:
পাগলের মতো দৌড়ে কোথায় যাচ্ছো?
বাদশা:সম্পত্তি রক্ষা করতে যাচ্ছি।
সুলতানা: মানে বুঝলাম না।
বাদশা: ফকির-দরবেশ হতে যাচ্ছি।
(৬২)
শিক্ষক: জেন্ডার কয় প্রকার ও কী কী?
ছাত্র: ম্যাসকুলাই,ফেমিনিন আর আলেকজেন্ডার।
(৬৩)
যুক্তিবিদ্যার ক্লাস চলছে।
শিক্ষক: আমি টেবিল ছুঁয়েছি, টেবিল মাটি ছুঁয়েছে । সুতরাং আমি মাটি ছুঁয়েছি। এমন একটা যুক্তি দেখাও।
ছাত্র: খুব সোজা স্যার, ধরুন, আপনি আপনার মেয়েকে স্নেহভরে চুমু খেয়েছেন, এখন আমি আপনাকে শ্রদ্ধাভরে
চুমু খাচ্ছি, তার মানে, আমি আপনার মেয়েকে প্রেমভরে চুমু খাচ্ছি।
(৬৪)
শিক্ষক: মধ্যযুগকে অন্ধকার যুগ বলা হয় কেন?
ছাত্র: খুব সোজা স্যার, সে-সময় 'নাইট' রা রাজত্ব করতেন।
(৬৫)
শহরের এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে এক রোগী। মাঝ রাতে তাঁকে
দেখতে এলেন একজন পা-টলমল ডাক্তার। বেডের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
ঠিক সেই-সময়ে আরো একজন ডাক্তার রাউন্ডে এলেন। তাঁরও
টই-টম্বুর অবস্থা। তিনিও নিজের পেশেন্ট ভেবে সেই রোগীর বেডের পাশে দাঁড়ালেন।
দুই-ডাক্তার হাত চালালেন রোগীর চাদরের ভেতর। রোগীর হাত ভেবে তাঁরা পরস্পরের হাতের কব্জি ধরলেন।
প্রথম ডাক্তার বললেন--হুম যা ভেবেছি তাই, পেশেন্ট আজ তিন-চার পেগ মদ খেয়েছে।
দ্বিতীয় ডাক্তার বললেন--হুম চার-পাঁচ পেগ সাঁটিয়েছে নিশ্চয়।
প্রথম ডাক্তার--নেশার ঘোরে আরামে ঘুমোচ্ছে, আর আমরা মরছি কষ্ট করে।
দ্বিতীয় ডাক্তার--তিন চার পেগে কেন যে এদের এতো নেশা হয়ে যায়, ঘুমোনোর আগে খেয়াল রাখা উচিত ছিল ডাক্তারবাবু আসবেন রাউন্ডে।
প্রথম ডাক্তার--যত্তো সব মাতালের কান্ড।
দ্বিতীয় ডাক্তার--যত্তোসব মাতালের কান্ড।
দুই ডাক্তার নিজের-নিজের রোগীর হাত ছেড়ে চলে গেলেন নিজের নিজের চেম্বারে।
(৬৬)
হাতুড়ে হলেও সমর-ডাক্তারের বেশ নাম-ডাক আছে। সুবোধের খুব ইচ্ছে ডাক্তারী শেখার। তাই সে তিন-বছর ধরে ডাক্তার বাবুর ব্যাগ বয়েছে। অনেক অসুখ এবং ওষুধের নাম মুখস্ত করেছে। কিন্তু ডাক্তারীর আসল রহস্য ভেদ করতে পারছে না।
শুনে ডাক্তারবাবু বললেন--আমার সাথে কয়েকদিন থাকো, তাহলে বুঝতে পারবে, যা দেখবে,যা শুনবে মনে রাখতে হবে।
একদিন এক রোগীর বাড়ি গেলেন ডাক্তার বাবু। সাথে সুবোধ। ডাক্তার বাবু বললেন--চানাচুর খেলে তো অসুখ সারবে না মা-মণি।
কিশোরী সলাজ হেসে স্বীকার করল অপরাধ। বললো--আর কখনো খাবে না।
বাইরে বেরিয়ে সুবোধ বলল--আপনি কি করে জানলেন মেয়েটা চানাচুর খেয়েছে?
ডাক্তার হেসে বললেন-এইজন্যেই বলি, চোখ-কান খোলা রাখবে। তুমি খেয়াল করোনি রোগীর বিছানায় চানাচুরের টুকরো পড়েছিল?
এই তাহলে ডাক্তারীর রহস্য ভেবে সুবোধ নিজের চেম্বার খুললো।
প্রথম-দিনেই কল। রমানাথ মাস্টারের মা গুরুতর অসুস্থ। ছুটে গেল সুবোধ-ডাক্তার। দেখল-রোগীর বয়স আশীর কাছাকাছি। বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নাই।
বললো--ইনি নিশ্চয় বিড়াল খাইয়াছেন, বিড়াল খেলে অসুখ কি করে ভাল হবে বলুন।
হতবাক রমানাথ বললেন--কি করে বুঝলেন, আমার মা বিড়াল খেয়েছেন?
--কেন, বিছানার চাদরে বিড়ালের পায়ের দাগ আপনাদের চোখ এড়াতে পারে, ডাক্তারের চোখকে ফাঁকি দেবার উপায় নাই!!!
(৬৭)
স্ত্রীঃ জানো তো কাল রাতে আমি একটি দারুন স্বপ্ন দেখেছি।
স্বামীঃ কী স্বপ্ন?
স্ত্রীঃ তুমি এবারের ঈদে আমার জন্যে অনেক শাড়ী,দারুণ জুতো আর বাহারী ডিজাইনের গয়না কিনে এনেছো।
স্বামীঃ আমিও একটা দারুণ স্বপ্ন দেখেছি।
স্ত্রীঃ কী?
স্বামীঃ ওগুলো কেনার বিল তোমার বাবা হাসিমুখে মিটিয়ে দিলেন।
(৬৮)
প্রশ্নঃএক স্বামী আর এক গাধার মধ্যে তফাৎ কী?
উত্তরঃএকজন স্বামী গাধা হতেও পারে কিন্ত একটা গাধা এতটা গাধা নয় যে, সে কারো স্বামী হবে।
(৬৯)
বাক্যকে কোঁচা পরিয়ে সং সাজানো=বাক্য সংকোচন।
কয়েকটা বাক্য সংকোচনের উদাহরণঃ
ডুবে ডুবে উড়ি=ডুবুরী
জলের বিদ্যুৎ=নিরঙ্কুশ
বর যেখানে গর্জায়=গহ্বর
অতিরিক্ত আচার খান যিনি=অত্যাচারী
গৌরভের পতন=গর্ভপাত
যার আন্দাজ দীর্ঘ নয়=গোলন্দাজ
একথালা আলু=আলুথালু
অন্তরের প্রথম বেদ(ঋক্)=আন্তরিক
(৭০)
স্বামীর মৃত্যুতে ব্যথিত স্ত্রী সমাধিতে লাগানোর জন্যে স্মৃতিফলক তৈরী করতে দিয়েছেন। তাতে লেখা থাকবে, শান্তিতে ঘুমাও।
কয়েকদিন পর স্ত্রী জানতে পারলেন স্বামী তাঁর সব সম্পত্তি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাকে উইল করে দিয়ে গিয়েছেন।
রাগে অগ্নিশর্মা স্ত্রী ছুটে গেলেন খোদাই-মিস্ত্রীর কাছে। বললেন--ওটা লেখা হয়ে গেছে?
-মিস্ত্রী--হ্যাঁ, এই দেখুন।
স্ত্রী--"শান্তিতে ঘুমাও" এরপর একলাইন যোগ করতে হবে।
মিস্ত্রী--কি লিখবেন?
স্ত্রী--লিখে দিন " আমাদের ফের দেখা না হওয়া পর্যন্ত"।
(৭১)
ছাত্র--স্যার বিশ্বাসঘাতক কাকে বলে?
শিক্ষক--এক কথায় কী করে বোঝায়। ধর আমাদের দল ছেড়ে কেউ অন্য দলে যোগ দিলো, সেই বিশ্বাসঘাতক।
ছাত্র--স্যার, যদি কেউ অন্য দল ছেড়ে আপনাদের দলে যোগ দেয়, তাহলে?
শিক্ষক--সে দেশপ্রেমিক।
(৭২)
পাগলা-গারদে এক পাগল চিৎকার করে উঠলো--
হা-হা-হা, আমি রাজা হয়ে গেছি, রাজ-রাজেশ্বর হয়ে গেছি, মেই তো রাজা বন গয়া, হা-হা-হা, আমি রাজা হয়ে গেছি।
পাগলের কথা শুনে আর নাচ দেখে ছুটে এলেন দায়িত্ব-প্রাপ্ত ডাক্তার।
বললেন--কি করে বুঝলে তুমি রাজা হয়ে গেছো।
--ভগবান আমাকে চিঠি লিখেছে, আমি রাজা হয়ে গেছি, হা-হা-হা!
অন্যপাশ থেকে একজন পাগল তখন চিৎকার করে বললো--
সব বাজে কথা, আমি ওকে কোন চিঠিই লিখিনি।
(৭৩)
প্লেন কি-ভাবে চালাতে হয় তার ক্লাশ চলছে।
একজন ছাত্র প্রশ্ন করলো--স্যার,মাঝ আকাশে যদি কোন গন্ডোগোল হয়, আমি প্লেন থেকে বেরিয়ে যাই, আর আমার
প্যারাশুটটাও ঠিক সময়ে যদি না খোলে, তা হলে তখন থেকে মাটিতে নামা পর্যন্ত কত সময় লাগবে?
শিক্ষক মৃদু হেসে উত্তর দিলেন--তোমার বাকী জীবন।
(৭৪)
যাদববাবু আর মাধববাবু ছেলেবেলার বন্ধু। দুজনেই ক্রিকেটের খুব ভক্ত। দুজনেরই অনেক বয়স হয়েছে। যাদববাবু একদিন মারা
গেলেন। তাঁর মৃত্যুক্ষণে মাধববাবু অশ্রুসজল কন্ঠে বললেন--তুই যেখানে যাচ্ছিস সেখানে ক্রিকেট খেলা হয় কিনা আমাকে
জানাস।
দু-দিন পরে মাধববাবু স্বপ্ন দেখলেন। যাদববাবু তাঁকে বলছেন--তোর জন্যে ভাল খবর এবং খারাপ খবর দুই-ই আছে।
--ভাল খবরটা আগে বল।
--আমি যেখানে এসেছি এখানে ধুন্ধুমার ক্রিকেট খেলা হয়। প্রতিদিনই নতুন-নতুন খেলোয়াড় আসছে।
--আর খারাপ খবর?
--আগামী কাল তুই ব্যাট করতে নামছিস।
(৭৫)
আদালতে এক সাক্ষীকে প্রশ্ন করা হলো --আপনার জন্মদিন কবে?
--তেসরা মার্চ।
--কোন বছর?
--প্রতি বছর একই দিনে হয়।
(৭৬)
যাদববাবু তাঁর মৃত্যুশয্যায় তিন বন্ধুকে তিনটি খামে ২৫,০০০করে টাকা দিয়ে বললেন--খামগুলো আমার সঙ্গেই দাহ করে দিও।
ওপারের জীবনটা আমি বিলাসিতা করেই কাটাতে চাই। খামগুলো আমার সঙ্গে গেলে আশা করি অসুবিধা হবে না।
যাদববাবুকে দাহ করার সময় তিন বন্ধু একটা করে খাম পুড়িয়ে দিলো।
কিছুদিন পরে অনুতপ্ত একজন বন্ধু বললো--আমি বোধহয় ভুল করেছি, আমি ১৫,০০০টাকা বের করে নিয়েছিলাম স্কুল তৈরী
করবো বলে।
দ্বিতীয় বন্ধু বললো--আমি ২০,০০০টাকা বের করে নিয়েছিলাম একটা অনাথ আশ্রম করার জন্য।
তৃতীয় বন্ধু বললো--কি-করে তোমরা বন্ধুর বিশ্বাস নষ্ট করলে? ধিক তোমাদের, ছিঃ। আমি কিন্তু খামে আমার নামে পুরো
২৫,০০০টাকারই একটা চেক রেখে দিয়েছিলাম।
(৭৭)
এক ডাক্তারের বাড়িতে তাঁর এক সহকর্মী ফোন করে বললেন--আমরা তিনজন তাস খেলছি। আরো একজনকে দরকার। আসবে?
ডাক্তার বললেন--এক্ষুণি আসছি।
ডাক্তার তড়িঘড়ি বেরিয়ে যাচ্ছেন দেখে তাঁর স্ত্রী বললেন--কোনও এমারজেন্সী কল নাকি?
--হ্যাঁ, খুবই সিরিয়াস ব্যাপার, ইতিমধ্যেই তিনজন ডাক্তার পৌঁছে গিয়েছে সেখানে।
(৭৮)
পাশাপাশি দুই দম্পতি বাস করেন।
একজোড়া নতুন।
নতুন দম্পতির নাম রকি ও নুরী।
একজোড়া পুরানো।
পুরোন দম্পতির নাম অলকেশ ও অলিভা।
রকি যখনই বাড়ির বাইরে যান, স্ত্রী-কে আদর করে যান।
বিষয়টি রোজ নজরে পড়ে অলিভার।
তিনি পুলকিত হন।
একদিন তিনি আদর দেখে ছুটে এসে বললেন--ওই মেয়েটির স্বামী বাড়ির বাইরে যাবার আগে প্রতিবার ওকে কেমন আদর করে
যায়। তুমিও করো না কেন?
খবরের কাগজ পড়তে-পড়তে অলকেশ বললেন--মেয়েটাকে তো আমি চিনিই না, আদর করবো কি করে?
(৭৯)
আমেরিকায় এক প্লেন দুর্ঘটনায় যাত্রী,পাইলট, এয়ার হোস্টেস সহ সকল কর্মীই মারা গেছে। বেঁচে রইল শুধু একটি বাঁদর। সে ও ওই প্লেনের যাত্রী ছিল।
গুরুতর আহত বাঁদরটিকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। সৌভাগ্যক্রমে বাঁদরটি মানুষের কথা বুঝতে পারে, বলতেও পারে। ফলে দুর্ঘটনার তদন্তের
জন্য একজন প্রতক্ষ্যদর্শীর মত নিতে গেলে ওই বাঁদরটাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। তদন্ত কমিশনের একজন অফিসার এলেন তাঁর কাছে।
অফিসারঃ প্লেনটা যখন আকাশে উড়লো তখন যাত্রীরা কি কী করছিলেন?
বাঁদরঃ কোমরে বেল্ট ঠিকঠাক করে বেঁধে নিচ্ছিলেন।
অফিসারঃ এয়ার হোস্টেসরা?
বাঁদরঃ তাঁরা যাত্রীদের হ্যালো, গুডমর্ণিং বলছিলেন।
অফিসারঃ পাইলট কি করছিলেন?
বাঁদরঃ ককপিটে তাঁর বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা দেখে নিচ্ছিলেন।
অফিসারঃ আর তুমি কি করছিলে?
বাঁদরঃ আমি আমার সঙ্গের যাত্রীদের দিকে তাকিয়েছিলাম।
অফিসারঃ দশমিনিট বাদে যাত্রীরা কি করছিলেন?
বাঁদরঃ খাবারদাবার খাচ্ছিলেন।
অফিসারঃএয়ার হোস্টেসরা?
বাঁদরঃ খাবার দিচ্ছিলেন।
অফিসারঃপাইলট কি করছিলেন?
বাঁদরঃ স্টিয়ারিং ধরে বসে ছিলেন।
অফিসারঃআর তুমি?
বাঁদরঃ খাচ্ছিলাম আর এদিক ওদিক ছুঁড়েছুঁড়ে ফেলছিলাম।
অফিসারঃতিরিশ মিনিট বাদে যাত্রীরা কি কী করছিলেন?
বাঁদরঃ কেউ পড়ছিলেন কেউ ঝিমোচ্ছিলেন।
অফিসারঃএয়ার হোস্টেসরা?
বাঁদরঃ তাঁরা মেকআপ রুমে ছিলেন।
অফিসারঃ পাইলট কি করছিলেন?
বাঁদরঃস্টিয়ারিং ধরে বসে ছিলেন।
অফিসারঃআর তুমি?
বাঁদরঃ কিচ্ছু না।
অফিসারঃ প্লেন ক্রাশ করার ঠিক আগে যাত্রীরা কি করছিলেন?
বাঁদরঃ সবাই ঘুমোচ্ছিলেন।
অফিসারঃপাইলট কি করছিলেন?
বাঁদরঃ উনি স্টিয়ারিং থেকে উঠে এয়ারহোস্টেসদের নিয়ে ইয়ে করছিলেন।
অফিসারঃআর তুমি?
বাঁদরঃ আমি স্টিয়ারিংয়ে বসে প্লেনটা চালাচ্ছিলাম।
(৮০)
বাক্য সংকোচনের কয়েকটি উদাহরণঃ
জল যার হৃদয়=নিরন্তর
গরম জল=নিরুত্তাপ
মরুভুমির বাসিন্দা=নিরবিচ্ছিন্ন
জলের উপরের দেশ=নিরুদ্দেশ
(৮১)
গুরুজী--বলো তো সুজন কোন ফুল সবচেয়ে মজার?
সুজন--এপ্রিলফুল, গুরুজী।
(৮২)
দেবদাস--কি রে সুজন, কোমরে দড়ি বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেন?
সুজন--বা-রে গুরুজী যে বললো, সামনে পরীক্ষা এবার কোমর বেঁধে লেগে পড়।
(৮৩)
বাবার মাথায় পাকা চুল দেখে ছেলে বললো--
বাবা, তোমার মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে কেন?
বাবা মৃদু হেসে বললেন--
তুমি একেবারেই পড়াশোনা করছো না, দিনের পর দিন আমার পকেট ফাঁকা করছো, তাই আমার চুল গুলো সাদা হয়ে যাচ্ছে।
ছেলেটি মুচকি হেসে বললো--
হুম, এইবার বুঝছি, দাদুর মাথায় কেন কালো চুল নেই।
(৮৪)
রাতের অন্ধকারে দুই চোর চুরি করে হাজির হলো জঙ্গলে।
একজন চোর বললো--
দাঁড়া একটু, কি-কি চুরি করলাম একবার দেখে নিই।
--তার কি দরকার, কাল সকালের কাগজেই দেখতে পাবি।
--নারে ইয়ার, কাগজওলাদের বিশ্বাস নাই, ওরা সবকিছু বাড়িয়ে লেখে।
(৮৫)
পথচারী--তোমার নাম কি খোকা?
সুজন--সুজন।
পথচারী--ওটা তো তোমার ডাকনাম। স্কুলের নাম কি?
সুজন--দেবুবাবুর পাঠশালা।
(৮৬)
একটা বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল খবরের কাগজে।
তা দেখে এক ক্রেতা এলেন বাড়িটা কিনতে।
বাড়ির মালিক বললেন--
বাড়ি বিক্রি করবো না।
--সেকি, তাহলে বিজ্ঞাপন দিলেন কেন?
--বিজ্ঞাপন আমি দিলেও লিখেছে তো কাগজের লোক।
--কিন্তু আপনার কথামতোই তো লিখেছে।
--তা লিখেছে। কিন্তু বিজ্ঞাপনটা পড়ার পর মনে হচ্ছে বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়। তাই আমি আর আমার স্ত্রী স্থির করেছি,
বাড়িটা বিক্রি করবো না।
(৮৭)
ছেলে--বাবা আর পারছি না, হোমটাক্স করে-করে আমি ক্লান্ত।
বাবা--শোন খোকা, বেশী পরিশ্রম করে পৃথিবীতে আজ অব্দি কেউ মরেনি।
ছেলে--না বাবা, মরে বিশ্বরেকর্ড করার ঝুঁকি নিতে আমি রাজী নই।
(৮৮)
আমি তখন সাংবাদিকতা করতাম। কবিতা আর গল্প লেখা তখন আমাকে নেশার মতো আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। কলকাতা তথা
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু বিখ্যাত-অখ্যাত কাগজে ছাপাও হতো সে-সব। সেই সুবাদে উঠতি লেখক হিসেবে বেশ কিছু সাহিত্য-সভায় ডাক পেতাম।
মফঃস্বলের সেই সব অনুষ্ঠানের আয়োজকরা পোস্টকার্ড পাঠিয়ে আমন্ত্রণ করতেন। জানতেন একে ডাকলে সহজেই পাওয়া যায়।
বেশ কয়েকটা অনুষ্ঠানে যোগ দেবার পর বুঝলাম, লেখক নয় শ্রোতা হিসেবে আমি বিখ্যাত হয়ে গেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা অন্যদের
পাঠ শুনি,অনুষ্ঠান শেষে কখনোই অভিযোগ করি না--আমাকে কেন পাঠের সুযোগ দেওয়া হলো না?
একবার এক-জায়গায় গেছি ডাকাতির রিপোর্ট করতে। সেখানে আমি সাংবাদিক হিসেবে যাদের সাথে কথাবার্তা বললাম, তারা
আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করলো--সাহিত্য-আড্ডা করলে চুরি-ডাকাতি প্রকোপ কমবে কিনা?
--একথা কেন আপনাদের মনে হলো?
উপস্থিত সকলের প্রতিনিধি হয়ে উত্তর দিলেন ধনপতি বসু। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। বিশালদেহী মানুষটির
কথা শুনলে মনে হয়, হাঁক ছাড়ছেন। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি বললেন--
--মানে গল্প-কবিতায় তো মানুষকে ভাল হওয়ার কথা লেখা হয়ে থাকে, ওসব শুনে যদি কারো পরিবর্তন হয়।
--দেখুন আমার কাজ রিপোর্ট সংগ্রহ করা, আর প্রতিবেদন লেখা, এরবেশী আমি আর কিছু বলতে পারবো না।
--পারবেন না মানে, আপনাকেই পারতে হবে। আমরা সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করব, আপনি হবেন তাতে প্রধান অতিথি।
--প্র-ধা-ন অতিথি, ওরে বাবা, সে যে গুরুতর দায়িত্ব। না, না, প্রধান অতিথি হওয়ার মতো বয়স কিম্বা যোগ্যতা কোনটাই
আমার হয়নি।
--হয়নি মানে আলবাত হয়েছে। আমি খবরের কাগজ খুলে দেখিয়ে দিতে পারি, আশেপাশে অনুষ্ঠিত সাহিত্য-আড্ডাগুলির
সবকটিতেই আপনি উপস্থিত ছিলেন। ১০০টা অনুষ্ঠানে ১০০ শতাংশ উপস্থিতি।
অস্বীকার করার উপায় নাই। তাই বললাম--হ্যাঁ তা ছিলাম, তবে আমি কোথাও কিছু পাঠ করিনি।
--ওটাই তো আপনার প্রধান অতিথি হওয়ার প্রধান যোগ্যতা। গল্প-কবিতা লেখে তো অনেকেই, মন দিয়ে শোনে ক-জন?
অতএব আপনাকে ছাড়া হবে না। বসে-বসে শুনবেন আর হাততালি দেবেন। ব্যস আপনার ডিউটি শেষ।
নির্ধারিত দিন উপস্থিত হলাম সেই সাহিত্য আড্ডায়। কিন্তু ধনপতি-বাবুকে দেখলাম না। খবর নিলাম। ধনপতির সহকর্মী আদিত্য
বাবু বললেন--আড্ডার হুজুগ তুলে উনি ভগ্নীপতির অসুখ শুনে চলে গেছিলেন কলকাতা। অগত্যা এখান ছেলে-ছোকরারা
বাদবাকী দায়িত্ব পালন করেছে। একটু আগে উনি ফোন করেছিলেন,কিছুক্ষণের মধ্যেই এখানে এসে পৌঁছাবেন।
যথা-সময়ে অনুষ্ঠান শুরু হলো ধনপতিবাবুর স্কুলে। একজন ঘোষক নাম ডাকছেন। লেখক আসছেন। স্বরচিত গল্প কবিতা পাঠ
করছেন। হাততালি নিয়ে পাঠ শেষ করে ফিরে যাচ্ছেন নিজের আসনে।
আমি নিজের আসনে বসে কৌতুহল নিয়ে লক্ষ করছি, শ্রোতাদের মধ্যে কে-কে চোর হতে পারেন। পাঠ শোনার পর তাদের
মুখের চেহারার পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। পরিবর্তিত মুখ-গুলি কি আগামীতে চুরি ডাকাতি ছেড়ে দেবে? প্রভৃতি।
একসময় লক্ষ্য করলাম ধনপতি-বাবু বাইরের বারান্দায় পায়চারী করছেন। মাথায় পাগড়ি, হাতে ইয়া মোটা লাঠি।
একে ধনপতিবাবু তার উপরে লাঠি। ভয়ঙ্কর অবস্থার আভাষ। চোর-ডাকাতদের ভাগ্যে কি আছে তা নিয়ে ভাবছি না। ভাবছি
ওই তরুণ কবির কথা, যে একঘন্টা আগে মাইক-হাতে নিয়েছে, শ-খানেক কবিতা পাঠের পরেও যার মাইক ছাড়ার কোন ইচ্ছা
দেখতে পাচ্ছি না।
হাততালির হারও কমে গেছে। একজনের জন্যে যা বরাদ্দ, একজন জন তা গ্রাস করলে, কার-ই-বা ভাল লাগে।
চুপিসাড়ে নিজের আসন থেকে নেমে হাজির হলাম ধনপতির সামনে। বললাম--হাতে লাঠি কেন?
--একজনকে ঠ্যাঙাবো।
--দেখুন, ওই ছেলেটা নতুন কবি, একটু বোধহয় বেশীই কবিতা পড়ছে, মানে বুঝতেই পারছেন ছেলেমানুষ।
--না,না, আপনারা আমাদের অতিথি, এক-একজনে একশটা করে কবিতা পড়লেও আমি কিছু বলবো না। কিন্তু আমি খুঁজছি
সেই ছোকরাকে যে ওকে আমন্ত্রণ করে এনেছে। ওকে পেলে হাড়গোড় সব কোপ্তা-কবিতা করে দেব।
(এই কাহিনীর আমি, আমি নই, শোনা একটা কৌতুকীর ব্লগান্তর)
(৮৯)
সুজন গেছে সখীর কাছে দেখা করতে। খালি হাতে যাওয়া যায় না, তাই বাজার থেকে নকল ফুল
কিনে নিয়ে গেছে।
নকল ফুল দেখে সখীর খুব রাগ। বললো--ছিঃ, ছিঃ, তুমি আমার জন্যে প্লাসটিকের ফুল এনেছো।
সুজন থতমত খেয়ে বললো--এর পেছনে দুটো কারণ আছে।
সখী--একটা নিশ্চয় তুমি খুব কৃপণ, তাই।
সুজন--না, না, প্রথম কারণটা হলো, তোমার জন্যে এতো বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয় যে বাগানের ফুল শুকিয়ে যায়।
সখী--দ্বিতীয় কারণ?
সুজন--এই ফুলগুলো আমার প্রেমের মতোই চির-সজীব।
(৯০)
গুরুজী–বলো তো আরেফিন, যারা সত্যি কথা বলে না সেই-সব বাচ্চারা বড় হয়ে কি হয়?
আরেফিন–ভাল সেলসম্যান হয় গুরুজী।
(৯১)
প্রথম বন্ধু–জানো আমি আমার প্রেমিকাকে পাঁচ বছর ধরে চিঠি পাঠিয়েছিলাম।
দ্বিতীয় বন্ধু –তাতে কি কোন লাভ হয়েছে?
প্রথম বন্ধু- লাভ নয় ক্ষতি, মেয়েটি পোস্টম্যানকে বিয়ে করেছে।
(৯২)
ছেলে : মা, একটা টাকা দাও তো, বেচারা বুড়োটা সেই কখন থেকে চেঁচাচ্ছে।
মা: আহা তাই বুঝি, কি বলছে ও?
ছেলে: বলছে বেলুন একটাকা করে।
(৯৩)
সুজন: অনেক তো ঘোরা হলো, চল এবার বাড়ি যাই।
সখী: তোমার পকেটে এখনও কত টাকা আছে?
সুজন: এই শ দুয়েক মতো।
সখী: তাহলে ঘন্টা দুয়েক পরে ফিরলেই চলবে।
(৯৪)
আগে ঘরে থাকতো মাসী-পিসি, এখন ঘরে থাকে এসি-পিসি(A.C-P.C)।
(৯৫)
এখন কেউ এসে মেশে না, সবাই S.M.S-এ।
(৯৬)
গুরুজী–বলো তো কাজল, কি লিখে সবচেয়ে বেশী রোজগার করা যায়?
কাজল–প্রেসক্রিপশন স্যার?
(৯৭)
স্ত্রী--এই বদভ্যাস ত্যাগ করলে কি এমন ক্ষতি হয় ? আমার মুখে কোনদিন সিগারেট দেখেছো ?
স্বামী--সিগারেট খেতে হলে মুখ বন্ধ করতে হয় , বিয়ের পর আজ অব্দি সেটা করেছো কি ।
(৯৮)
একটা কমিক-নকশায় শুনেছিলাম--সিগারেট ছাড়ার মত আর সহজ কাজ আছে নাকি, আমি
গতমাসে পঁচিশবার সিগারেট খাওয়া ছেড়েছি।
তারমানে দাম্পত্য-শান্তি বজায় রাখতে কেউ-কেউ পঁচিশবার সিগারেট ছাড়েন , নিন্দুকরা
বলে--তিনি মনের শান্তি বজায় রাখতে পঁচিশবার সিগারেট-মুখো হন।
(৯৯)
স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ঠিক কি-রকমের হয় তা বোঝাতে এক দম্পতির বেডরুমে নিয়ে যাব
আপনাদের।
ভয় নেই , ওদের মধ্যে দু-দিন ধরে বাক্যালাপ বন্ধ।
দেখুন রাত দশটায় কি করছে ওরা---
স্বামী টেবিলে চিরকুট রেখে ঘুমোতে গেলেন । চিরকুটে লেখা--
জরুরী কাজ আছে , ভোর চারটেয় ডেকে দেওয়া হয় যেন।
স্ত্রী ঘুমোতে যাওয়ার আগে চিরকুটটি পড়লেন।
স্বামীর ঘুম যখন ভাঙলো তখন সকাল সাতটা ।ধড়ফড়িয়ে উঠে বালিশের নিচে একটা চিরকুট
খুঁজে পেলেন তিনি । তাতে লেখা---
চারটে বাজে , উঠে পড়ো।
•
(১০০)
ভারতের সুনীল গাভাসকার কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়া গেছিলেন একটি টিভি চ্যানেলে ধারাভাষ্য দিতে।
সেখানে একটি সিনেমা তখন রমরমিয়ে চলছে।
সিনেমাটির নাম গাভাসকার।
অস্ট্রেলিয়ানরা তো রীতিমত উন্নাসিক। তারা তো সিনেমার নাম রাখে না। তবে কি তাঁর ক্রিকেট জীবন নিয়ে তৈরী হয়েছে বইটি?
অনেক ভেবেচিন্তে সিনেমা হলে গিয়ে ছবিটি দেখলেন গাভাসকার।
তিনি অবাক হয়ে দেখলেন ছবিটিতে একবারও তাঁর নাম তথা কীর্ত্তির কথা উচ্চারণ হওয়া দুরের কথা ক্রিকেটের "ক "ও নাই।
হতাশ গাভাসকার ডাইরেক্টরী দেখে ডিরেক্টরের ফোন নম্বর সংগ্রহ করলেন।
ফোনে নিজের পরিচয় দিয়ে বললেনঃ আমার নামে বই করলেন অথচ আমার তো দুরের কথা ক্রিকেট বিষয়ক একটা কথাও নাই সিনেমাটিতে।
পরিচালক হেসে বললেনঃ তোমার ভারতীয় পরিচালকরা তো এটা শুরু করেছে।
গাভাসকার অবাক স্বরে বললেনঃ কি রকম?
পরিচালকঃ তোমাদের পরিচালকরা সিনেমা করলো "বর্ডার", অথচ তাতে অ্যালান বর্ডার তথা ক্রিকেটের নামই নাই! আমার এই সিনেমাটা তার বদলা
বলতে পারো।
(১০১)
এক সরকারী অফিসে কিছু লোক কৌতুক বলছে -
একজন বলল - "সবকিছু হাসির বিষয় নয় - ৫০"
সবাই হো হো করে হেসে উঠল
আরেক জন বলল - "সবকিছু হাসির বিষয় নয় - ১৩"
সবাই হো হো করে হেসে উঠল
আরেক জন বলল - "সবকিছু হাসির বিষয় নয় - ১৩৩"
সবাই হো হো করে হেসে উঠল। তাদের মধ্যে একজনের হাসি থামতেই চাই না। হাসছে তো হাসছেই। তাই দেখে সদ্য জয়েন করা মদন বলল - " স্যার আপনি এত হাসচ্ছেন কেন?"
" আরে ওই কৌতুকটা আমার পড়া হয়ে উঠে নি"
এরপর আরেক জন বলল - "সবকিছু হাসির বিষয় নয় - ৭৯"
সবাই হো হো করে হেসে উঠল।
সবদেখে মদন ভাবল সেই বা বাদ যাবে কেন? সে বলে উঠল "সবকিছু হাসির বিষয় নয় - ২৭"
কিন্তু কেউ হাসছে না।
মদন অবাক। পাশের জনকে কারন জিজ্ঞাসা করতেই সে বলল -
" সবাই কৌতুক বলতে পারে না।"
---সবকিছু হাসির বিষয় নয়-এর আমি হয়ত তাই, যে কারণে আমার পোস্ট
খুব লোক পড়ে?