ডিজুস যুগের ব্যাপার-স্যাপার
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বাংলা সাহিত্যের যুগ অনুযায়ী আধুনিককাল শুরু হয়েছে ১৮০১ সাল থেকে। তবে গ্রামীনফোন ডিজুস সিম বেশ আগে আনলেও ডিজুস যুগ হিসেবে একটা যুগের সূচনা খুব বেশীদিনের নয়। বছর দুই ধরে এই যুগের নাম হয়ত আড্ডা মাতাচ্ছে, তার বেশী তো অবশ্যই নয়। তা এই যুগে ঢাকা শহরে বৃষ্টি হোক বা না হোক, বন্যায় শহর তলিয়ে যায় যায় অবস্থা; আর তা হচ্ছে প্রেমের বন্যা। হায়রে প্রেম; সবার এমনি সন্দেহ বাতিক হয়েছে যে ছেলে মেয়ে মাইল খানেক দূরত্বে হাঁটলেও সবার সন্দেহ, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে নির্ঘাত প্রেম চলছে। ফাস্ট ফুডের দোকানগুলি সব কানায় কানায় ভরা। এত টাকা কি করে এদের পকেটে আসে; আল্লাহ মালুম।
আজকাল আবার গ্রুপ ডেটিং স্টার্ট হয়েছে। চমৎকার জিনিস সন্দেহ নাই। ডেটিং এর ডেটিং হলো, সাথে আড্ডাবাজীও হলো। ধানমন্ডির ক্যাফে ম্যাংগো আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি জায়গা। তো এক ভর দুপুরে আমি আর আমার আরেক বন্ধু রাক্ষসের ক্ষুধা নিয়ে সেখানে গিয়েছি। খেতে খেতে দেখলাম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় আড্ডাবাজীর জায়গায় গ্রুপ ডেটিং এ এসেছে ৪ জোড়া ছেলেমেয়ে। সকলেই অত্যন্ত ইসমার্ট। ভূট্টা ক্ষেত আমাদের দুইজনকে দেখে তারা কয়েকবার তাচ্ছিল্যভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো। ছেলেদের কয়েকজনের চুল কাঁধ ছুই ছুই; এবং দুইজনকে দেখে রীতিমত বয়স্ক লাগলো। তিনটা বাজতেই মেয়েগুলো একে একে লাইন ধরে বাথরুমে যাওয়া শুরু করলো। বাথরুম থেকে বের হবার পরে আমরা মোটামোটি হার্ট অ্যাটাক করলাম। একটা মেয়ে কেও আর চেনার কোন উপায় নাই। তাদের জিন্স এবং টপস নাই হয়ে কোথা থেকে যেন ধূসর আর সাদা রঙের স্কুল ড্রেস চলে এসেছে। কারো কারো চুল দুই বেনী হয়ে ঝুলছে। একজনের তো দেখলাম নাকের ডগায় গোলাপী রঙের বাবু বাবু চশমাও চলে এসেছে। তখন আমরা বুঝলাম, বাচ্চাগুলি খুব বেশী হলে ক্লাস সেভেন কিংবা এইটে পড়ে। ড্রেস আপের কারণে আগে বুঝি নাই। স্কুল ফাঁকি দিয়ে এই কাহিনী। এখন বাসায় যাবার সময়, তাই গেট আপ চেঞ্জ। চমৎকার ডিজুস পোলাপাইন যা হোক।
আগেই শুনেছিলাম লাউঞ্জে স্কুল-কলেজের পোলাপাইনের জ্বালায় বসার উপায় নাই। এরপরেও কিছুদিন আগে নেড়া হয়ে বেল তলায় গেলাম। সেদিন চলছিলো আমাদের মেগা আড্ডাবাজী। ঘুরতে ঘুরতে ধানমন্ডির কেএফসি তে ঢুকতে গিয়ে কি মনে করে আমার এক বন্ধু বায়না ধরলো এইচটুও লাউঞ্জে যাবে। আমি বারবার বললাম, আর ২ বছর আগে হইলেও ঢোকা যাইতো। এখন তা ঠিক হবে না। এরপরেও ওদের পিছু পিছু গেলাম। ঢুকেই প্রথমে মিউজিকের শব্দে পায়ের পাতা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত একটা নাড়া খাইলো। চোখ বন্ধ করে ধাতস্থ হবার চেষ্টা চালালাম। এবারে চোখ খুললাম। সে কি, এইখানে এত ধূমা কিসের? আরেকটু হইলেই চেঁচিয়ে দিয়েছিলাম প্রায়, “আগুন আগুন”। তা দেখলাম সেই ধূম্রজাল মানুষের মুখ থেকে আসছে। ওরে কি ধূমা। হাত দিয়া সরায়ে কোনমতে ঢুকেই সামনে যে আসন ফাঁকা দেখলাম, চারজনে কোন দিকে না তাকিয়ে বসে পড়লাম। আমার গাধা বন্ধু একটা চিৎকার দিলো, “ত্রিনিত্রি, তুই কি আমার কথা শুনিস?” আমি অবাক হয়ে দেখলাম মাত্র এক হাত দূরে বসা আমার বন্ধুর কথা শুনতে আমার এত কষ্ট। এক দিকে মিউজিক; আরেকদিকে সিগারেট আর সীসার ধূমা। সবাই চক্ষু বিস্ফোরিত করে আমাদের দেখছে। ক্যাপ্রি আর থ্রি কোয়ার্টারের মাঝে আমরা বড়ই বেমানান। এক বন্ধু পরে এসেছে পাঞ্জাবী। আশে পাশের ছেলে ছোকড়া এতই অবাক হয়েছে যে ঘুরে ঘুরে তাকে দেখছে। এইখানে আড্ডা মারা অসম্ভব। ৪ মিনিটের মাঝে মানে মানে করে উঠে গেলাম। এক নজরে যা বুঝলাম,এদের মাঝে ৪০ ভাগ স্কুলের ছাত্র ছাত্রী। তবে মেয়েদের সাথে যারা আছে; সবাই কিন্তু সমবয়সী না। কয়েকজনকে দেখে আমার ভার্সিটির শেষ বর্ষের ছাত্র বলে মনে হলো। মন্তব্য নিস্প্রোয়জন।
১বছর আগেও পহেলা বৈশাখ মানেই বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজী; সকাল ৬টায় উঠে রমনায় গমন। গত ৫ বছরে প্রথম বারের মত এইবার আমি পহেলা বৈশাখে বের হইনাই; কারণ ২/৩ জন আমার মত অভাগা ছাড়া কেউই সময় দিতে পারেনাই বিভিন্ন কারণে।তা ৩ জনে কি পহেলা বৈশাখ হয়? এর আগের বারের কথা মনে পড়লো; কি বিচিত্র সাজসজ্জ্বা করেই না র্যালি করেছিলাম! টিভি তো বটেই পেপারেও ছবি এসেছিলো সবার। তা এখনকার ডিজুস ট্রেন্ড অনু্যায়ী সকালেই বয়ফ্রেন্ডদের সাথে বেরিয়ে যেতে হবে; এর পর অনুষ্ঠান যতক্ষন চলে আরকি। তা হোক; ব্যাপার মন্দ নয়। বছরের প্রথম দিন প্রেম না করলে যদি প্রেম কমে যায়? ঘোর কলি কালেও এই রিস্ক নেয়া যেতে পারে; ডিজুস কালে সম্ভব নয়। কিন্তু এই কি ট্রেন্ড আসিলো দেশে যে একুশে ফেব্রুয়ারীতেও ছেলে মেয়ে সাদা-কালো কাপড় পড়ে গোলাপ হাতে বাহির হয়?
ঘটনা প্রথম টের পাই দুই বছর আগে। একুশে ফেব্রুয়ারীতে আমি সচরাচর বের হইনা। জীবনে একবার ফুল দিতে গিয়ে যেই ঝামেলায় পড়েছিলাম; জন্মের তরে সখ মিটে গেছে। সারাদিন আমি শহীদ মিনারের গান শুনি; এই হচ্ছে কাজ। তা দুই বছর আগে আমার খালা হঠাৎ ফোন করে বললো, “এখনি বাসায় আয়। ছুটির দিন; রান্না করতেছি”। রাস্তা তো সব দিকে বন্ধ; তারপরেও আমি হেঁটেই বের হলাম। পাক্কা দুই ঘন্টা লাগলো ভার্সিটি এলাকা থেকে ধানমন্ডি যেতে। কিন্তু চারপাশ দেখে আমি ঠাওর করতে পারলুম না, এ কি শোক দিবস? নাকি সাদা-কালো ভ্যালেনটাইন দিবস? গোলাপ সকালে কেনা হয়েছিলো শহীদ মিনারে দেবার জন্যই; আমি নিঃসন্দেহ। ভুলে বুঝি মিনার ছুঁইয়ে তা এখন শোভা বাড়াচ্ছে প্রেমিকার হস্তযুগলের। আমি সবকিছুর মাঝেই ভালো দিক খোঁজার চেষ্টা করি। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে সারাদিন বাইরে থাকার কারণে সকলেরই কম বেশী দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা হচ্ছে; তাই বা মন্দ কি?
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ঢাকায় ব্রায়ান অ্যাডামস এসেছিলেন, তা নিশ্চই সকলের জানা। আমি তার অন্ধ ভক্ত বললে ভুল হবে, কারণ তার গান আমার কিশোরীবেলার ভালোবাসা। ক্লাস এইটে আমি স্ক্রাপ বুকে “জীবনের তিনটি ইচ্ছা” তে লিখেছিলাম,
১। বিএসবি ব্যান্ডের নিক কার্টার কে একখানি পত্র লেখা
২। ডিজনীল্যান্ডে যাওয়া
৩। ব্রায়ান অ্যাডামসের অন্তত একটি গান তার সামনে বসে শোনা।
এক নংটির ইচ্ছা ইন্টারেই মরে গিয়েছিলো; দুই নংএর আশা এখনো ছাড়ি নাই; আর তিন নং পূর্ন হয়েছে। কি কঠিন শ্রম দিয়ে আমি চীন মৈত্রী সম্মেলনের তার একক বেয়ার বোনস কনসার্টের টিকেট আমি জোগাড় করেছিলাম; সে শুনলে হয়ত উনি নিজেই টিকেট পাঠিয়ে দিতেন। আমার বন্ধুবর্গ আর বড় ভাইয়া আপুরা তো বটেই, ওয়ার্ডের দুইজন রুগীও অত্যন্ত চিন্তিত ছিলো আমি টিকেট পাই কি না পাই।সবার শ্রমের ফসল টিকেটটি পাওয়ার পরে সবার মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি। আগের দিন বিশ্বকাপ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে গ্যালারি থেকে চেহারা কিছুই বুঝিনি; তাই পরের দিন আমি বিকাল ৫টা থেকে চীন মৈত্রীর সামনে দাঁড়ানো; যাতে ঠিক সিটটি দখল করতে পারি। লাইনে দাঁড়ানোর কিছু পরেই একটু টেনশনে পড়লাম। আমি বাংলাদেশেই আছি তো, না্কি কানাডায় এসেছি কনসার্ট দেখতে? যদি দেশেই থাকি; তবে আমার বন্ধু ছাড়া কেউ আমার সাথে বাংলায় কথা বলে না কেন? আশে পাশের সবার পোশাক, কথা বার্তা শুনে কিছুক্ষনের মাঝেই মনে হতে থাকলো আমি অবাঞ্চিত এখানে। সামনে যান, পাশের সিটটি কি খালি- এরকম সাধারণ কথাও সবাই ইংরেজীতে বলছে। ঘাড়ত্যাড়া হয়ে বাংলায় উত্তর দিতেই সবার চোখে তাচ্ছিল্য। আমরা এতই হীনমন্মতায় ভুগি যে ব্রায়ান অ্যাডামসের কনসার্টে এসেছি বলে বাংলা বলা ভুলে গেছি। এবং সবাই সেটাই স্বাভাবিক ধরে নিচ্ছে। তাদের মনের দীনতা দেখে আমাদের লজ্জায় মাথা নীচু হয়।
সেদিন আমার কাজিন বলছিলো যে তার বান্ধবী সম্প্রতি মোটা হয়ে যাওয়ায় তার ডিজুস বয়ফ্রেন্ড তাকে ডাম্প করেছে। বেচারী মেয়েটি এখন জিমে ভর্তি হয়েছে যাতে আর এজাতীয় কথা শুনতে না হয়। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লেও আমি এত অবাক হতাম না। আজকাল কি প্রেম এভাবে ভাঙ্গে নাকি? ছয়/সাত মাস একটা গার্লফেন্ড থাকলেই সবার প্রাণ আইডাই। একজনের সাথে আর কত? একেকজনের তিনটা করে সিম। একটাতে স্টেবল গার্লফ্রেন্ড; আর দুইটাতে টাংকিবাজী। চমৎকার ব্যবস্থা; আর এতে উৎসাহ দেবার জন্য তো মোবাইল কোম্পানি গুলো দুই পায়ে খাড়া! এসব স্বাভাবিক কবে হলো?
তা বেশ কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু বলছিলো তাকে নাকি একটি মেয়ে প্রপোজ করেছে। সুখের কথা; আমিও বিগলিত হই। কিন্তু পরের কথাতেই মুখ শুকিয়ে গেলো। মেয়ে বলেছে, সে প্রেম করতে পারবে; কিন্তু বিয়ে করতে পারবে না। কেন? কারণ বিয়ের জন্য সে আরেকজনকে আগেই হ্যাঁ বলেছে। তা সে ছেলে গেছে বিদেশ; তাই এই পার্ট টাইম বয়ফ্রেন্ড যোগাড়। আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তা তোমার কি মত?” বন্ধু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো, “ আমি যদি একাই হতাম, তাও তো হইতো। মেয়ে তো মোবাইল কার্ড ভরে দেবার জন্য ফোনেও আরেকজনের সাথে প্রেম আছে”। আমি থতমত খাইলাম। “মেয়ে কি নিজেই এসব বলেছে?” “হু, আর না বললেও তো জানাই যেতো। আমার ভার্সিটির না?”
অর্থাৎ আজকাল কেউ দোষ স্বীকারেও কুন্ঠিত না। দোষ সবাইকে বলে বেড়ালেই যে তা শুদ্ধ হয় না; সেও কি সবাই ভুলেছে নাকি? ভুলতেই পারে; যে দেশে সরকার ঘোষনা দিয়ে মানুষকে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়, খুনীরা অবলীলায় ক্ষমা পায়, সেখানে আর কি আশা করবো আমরা!
যা হোক, প্রেমের নিন্দা করা আমার এই পোস্টের লক্ষ্য নয়। প্রেম মহান ব্যাপার; সে না থাকলে ৮০ ভাগ সাহিত্য রাস্তায় গড়াগড়ি খেতো। প্রেম কামনা করে না; এমন মানুষ তাবৎ দুনিয়াতে নেই। তবে প্রেম ব্যাপারটা কি সেটা নিয়েই এখন ঘোরতর সন্দেহ লেগেছে। বাঙালির হয়ত অনেক ভালো দিক আছে; তবে তার সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে অন্যদের ভালো আচরণগুলিকে ভুলে খারাপ আচরণগুলি নিজেদের করে নেয়া। একারণেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইংরেজদের কর্মদক্ষতা গুণটি না আমল করে সেই যুগে বিশ্বাসঘাতকতা আর চৌর্যবৃত্তি দোষ অনেকেই দ্রুত আমল করেছিলো। আর এখন পাশ্চাত্যের শিক্ষা, সময়ানুবর্তিতা আর শ্রম দেয়ার মানসিকতাকে আমরা দূরে ঠেলে তাদের ভঙ্গুর সমাজ ব্যবস্থা তথা উছরিংখল সংস্কৃতিকে বুকে ধারণ করার জন্য সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করছি। ইংরেজী সাহিত্যের চমৎকার বইগুলি কারো পড়ার ধৈর্য নেই; তবে প্লে বয় ম্যাগাজিন দেখার আগ্রহের কমতি নেই। বিদেশী মন ছুঁয়ে যাওয়া গানগুলি শোনার নাম নেই; অশ্লীল মিউজিক ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউবে সারাদিন বসে থাকে। এসবের জন্য আমি বাবা-মাকেই দায়ী করি। তারা যদি ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাকে ঠিকমত সময় না দেয়, খারাপকে না বলতে না শেখায়, বুঝতে চেষ্টা না করে, তবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্লাস সিক্সের বাচ্চা ধানমন্ডি লেক আর সাইবার ক্যাফেতে বসে থাকবে বইকি। তবে আমি সেইসব ভার্সিটি পড়ুয়া তরুনের মানসিকতা নিয়ে সন্দিহান। কি করে তারা স্কুলের বাচ্চাদের প্রেমে পড়ে এবং তাদেরকে নিয়ে বাইরে যায়; সত্যি আমার মাথায় আসে না। টি শার্ট কিনতে গেলে তাদের প্রথম পছন্দ চে গুয়েভারা আর ভাষা আন্দোলন- অথচ বাচ্চা একটি মেয়েকে স্কুল ফাঁকি দিতে শেখানোতে তাদের আগ্রহের কমতি নেই। শিক্ষিত ছাত্রের এই যদি হয় রুচী; তবে কি দরকার এমন শিক্ষার? আমি এমন বাচ্চা কেও চিনি; যে বাংলায় লেখা বই বুঝতেই পারে না; ইংরেজীতেই সারাক্ষন কথা বলে। আহা, তাদের বাবা-মার কি গৌরব। আমি তাকিয়ে থাকি।
ভ্যালেনটাইন্স ডে নাকি দেশে প্রবর্তন করেছে শফিক রেহমানের যায় যায় দিন। ১৪ই ফেব্রুয়ারীতে আমাদের দেশের এক করুণ ইতিহাসও আছে পড়েছিলাম। তা সেই ইতিহাস টেনে আমি ভ্যালেনটাইন্স দিবসকে মন্দ বলবো না। সবকিছুর একটা দিবস আছে; ভালোবাসার তবে থাকবে না কেন? বিশেষ একটি দিন, যে দিনে সবাই তার প্রিয়জনকে জানাবে যে তার জন্য আছে তার বুক ভরা ভালোবাসা। শুধু মরে যাবার ভয়ে সে বুক চিড়ে দেখাতে পারছে না। মা দিবস পালন করা শুরু হয়েছে বেশীদিন নয়। আমি এমন একটি মেয়েকে জানি যে মা দিবসে অতি কষ্টে লজ্জা ভেঙ্গে মাকে বলেছে “মা আমি তোমায় ভালোবাসি”। মা অশ্রু টলমলে চোখে বলেছে, “বোকা মেয়ে; তা আমি জানি”। সুতরাং সব কিছুর দিবস থাকুক। সাথে “নিজেকে জানো” দিবস ও থাকুক। এই দিবসে অন্তত মানুষ একবারের জন্য হলেও ভাববে, সে কে, কি তার সংস্কৃতি, এবং তার মূল্যবোধ কতটুকু।
১২২টি মন্তব্য ১২১টি উত্তর
পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন
আলোচিত ব্লগ
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।
ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন
কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী
ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন