somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেফাঁস কথায় হাসফাঁস - ১

২৪ শে মে, ২০১১ রাত ১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন একটা ইংরেজী গল্পে পড়েছিলাম, কথা হচ্ছে ধনুক থেকে ছোড়া তীরের মত। একবার যদি ছুটে যায়, আর ফেরানো যায় না। তীর দ্বারা সৃষ্ট দাগ যেমন বছরের পর বছর গাছ বয়ে নিয়ে বেড়ায়, কথাও বছরের পর বছর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কিন্তু বেফাঁস কথা? এরকম তো অসংখ্যবার হয়েছে যে আপনি বলতে চাইছেন এক কথা, মুখ দিয়ে বের হয়েছে আরেক কথা। আপনার কথা জানি না, আমার চারপাশে তো অহরহ দেখছি। ছোটবেলার কথাই ধরুন। ছোট বেলায় না বুঝে তো কত কথাই ঠুশ ঠাশ বলে বসি, কি নিষ্ঠুর ভাবেই না মানুষ জন পরে তার জন্য সাজা দেয়! আমার বয়স যখন দেড় কিংবা দুই হবে (আমার অবশ্যই মনে নেই), তখন নাকি টিভিতে ডানো অ্যাড দিলেই আমি ঘুম থেকে উঠেও ডানো ডানো করে গান গাইতাম।কিন্তু তার জন্য এখনো ডানো মিল্কের কৌটা দেখলে বাসার সবার খ্যাক খ্যাক করে হাসির মানেটা কি?X(X( এরপর যখন ঘড়ি দেখতে শিখলাম, এক দুপুরে পন্ডিতের মত কাক্কুকে জানালাম, “কাক্কু, এখন তো সাড়ে দেড়টা বেজে গেছে, খাব না?”B-)B-) তার জের যে অনেকদিন চলেছে তা না বললেও সবাই বুঝতে পারছেন। তবে সাড়ে দেড়টা আমি এখনো ব্যবহার করি। “পরিস্থিতি নাগালের বাইরে”- এর বাক্য সংকোচন হচ্ছে সাড়ে দেড়টা। এখন আর কেউ হাসে না, সবাই গম্ভীর ভাবে মাথা নাড়ে। বড় হওয়ার এই একটা মজা!:P:P


বেফাঁস কথা আমি এখন একটু কমই বলি। কারন নেড়া অনেকবার বেল তলায় গিয়ে তবে তার চুল গজিয়েছে। এজন্য না বুঝলে এখন কথা না বলে মুখে একটু হাসি ঝুলিয়ে বসে থাকি, যার অর্থ “হ্যাঁ সব বুঝেছি” বা “না কিছুই বুঝিনি, কিন্তু প্যাচাল ভালো লাগে না” – দুইটাই হইতে পারে।B-)B-) কিন্তু আমার অনেক বন্ধুই এখনো বেল তলায় নিয়ম করে যাচ্ছে। তখন আমি মেডিসিন ওয়ার্ডের ইন্টার্ন। এক সকালে গিয়ে দেখি নতুন এক আপু এসেছেন ওয়ার্ডে, আপু একটু কেমন কেমন করে যেন কথা বলে। যদিও তার নাম অনারারী ডাক্তারদের মাঝে অনেকদিন ধরে দেখছি, কিন্তু ২ মাসে আপুর সাথে প্রথম দেখা। কিছুক্ষন কথা বলেই বুঝতে পারলাম, কেন আপু আসেননা। অবশ্যই তার সাইকিয়াট্রিক সমস্যা আছে। কিন্তু আমার বেকুব বন্ধু বেশী বুঝলো। প্রেগন্যান্সিতে সাইকি প্রবলেম বেশী বেড়ে যায়, বা নতুন করেও উদ্ভব হয়। এবং আপুও যথেষ্ট মোটাসোটা, দুই দুইএ সে একেবারে আঠারো বানিয়ে ফেললো।

হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো, “আপু, আপনার ইডিডি কবে?”:D [সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ইডিডি হচ্ছে এক্সপেক্টেড ডেট অব ডেলিভারির শর্ট ফর্ম, সোজা বাংলায় বাচ্চা ডেলিভারির সম্ভাব্য দিন।]

আপু একেবারে আকাশ থেকে পড়লেন। নিজের পেটের দিকে একবার তাকিয়ে বললেন, “আমি কি খুব বেশী মোটা?”:|

এবং অবশ্যই তখন আমার বন্ধু তোতলাতে শুরু করলো। ঘটনা সামাল দেয়ার জন্য তখন আমাকে কত কথাই যে বলতে হলো যার মাঝে সবচেয়ে বারুদ ভেজা কারণটি হলো, “ওয়ার্ডে আসেন না তো, তাই সবাই ভেবেছে যে গুড নিউজ”। কিন্তু আপুর সন্দেহের দৃষ্টি আর গেলো না!:((:((



আগবাড়িয়ে কথা বলার জন্য বিশ্রী অবস্থায় পড়া এই প্রথম না। পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে গিয়ে আমি পেজগি পাকিয়েছিলাম।/:) এক তিন মাসের বাচ্চা ম্যালনিউট্রিশন হয়ে ভর্তি ছিল। শুধু মাত্র বুকের দুধ না খাওয়ানোর জন্য বাবুটির চোখ প্রায় অন্ধের কাছাকাছি, শরীরে কিছুই নেই। বাংলাদেশের মানুষ বেশী বুঝে। তারা বুকের দুধ না খাইয়ে চালের গুড়া এমনকি আঙুরের রস পর্যন্ত খাইয়েছে। যা হোক, ম্যালনিউট্রিশন বা অপুষ্টির চিকিৎসা সম্পূর্ন ভাবে মা-বাবার উপর নির্ভরশীল। কারন একেবারে টাইম টু টাইম বিশেষ ভাবে বানানো খাবার এবং ঔষধ দিতে হয়, কষ্ট সাধ্য কাজ। তো সেই বাবুর সাথে যারা ছিল, দেখলাম পুরুষটির বয়স প্রায় ৭০ এবং মহিলার ৫০ এর কম হবে না।
এক বেলার খাওয়া মিস যাওয়ার পরে রাগত ভাবে দুইজনকে ডেকে বললাম,
“বাচ্চার বাবা-মা কি বেঁচে নাই?”X((

মানুষটি মাথা চুলকিয়ে বললো, “জ্বী আছে তো”।

“তাইলে তাড়াতাড়ি খবর দেন। একে বাচ্চার অবস্থা ভালো না, তার উপর তাকে সঠিক ভাবে খাওয়াতে হবে। নানা-নানী দিয়ে কি হয়? কেমন বাবা-মা! একজনকে আসতে বলেন”।

মানুষটি কিছু না বলে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। সামনের বেডের বাবুর ফিচলে অ্যাটেনডেন্ট আমাকে আলো দেখালো।

“কি কন আফা, উনিই তো বাচ্চার বাবা, আর ওইযে মা”।:D

খানিকক্ষন আমি আক্কেলগুড়ুম হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থা। ফিচলে অ্যাটেনডেন্ট মুখে আঁচল চাপা দিয়ে হাসছে।কিছুক্ষন পরেই যে সে সব বেডে গিয়ে গিয়ে এই মজার কাহিনী বর্ননা করবে তা সন্দেহাতীত।:|:| সাড়ে দেড়টা বাজা অবস্থার উন্নতির কোন আশা না দেখে তাকে “আচ্ছা ভালো করে খেয়াল নিন” বলে কোনমতে বিদায় করলাম।:|:|



এই বেফাঁস কথা বলার জন্যই বেশীর ভাগ মানুষ তার পিতৃ-মাতৃ কর্তৃক দেয়া এত ভালো ভালো নাম বাদ দিয়ে আজগুবী সব নাম দিয়ে পরিচিত হয়। আমাদের এক ক্লাসমেট এই জীবনে যা বলতে চেয়েছে কোনভাবেই বলতে পারেনি। উদ্ভট সব কথা বার্তা বলে গিট্টু পাকিয়ে এমন বেড়াছেড়া অবস্থা করে, যে সেখান থেকে উদ্ধার পাওয়ার চাইতে বুড়ীগঙ্গার নোংরা পানিতে সাঁতার কাটা সহজ।:P:P সুতরাং তার নাম গিট্টু।:) আমার এক বন্ধু অনেকদিন এই নিয়ে ভুগেছে। ফরেনসিক ক্লাস আমাদের কারো পছন্দ হতো না, বিশেষ করে টিউটোরিয়াল গুলি। ৩০ জনের একটা ব্যাচ, মাথা নাড়লেও স্যার দেখে ফেলে এমন অবস্থা। তো এক দুপুরে আমি খাতা খুলে কাটাকুটি খেলছি আর স্যারের জিন ক্রোমজোম এবং সেক্সুয়াল হ্যারেসমেন্টের সাজা বিষয়ক ভ্যাজর ভ্যাজর না শোনার প্রাণপণ চেষ্টা করছি। আমার আরেক বন্ধু আমার এক বেঞ্চ আগে বসে থ্রীলার পড়ায় মগ্ন। আমি একবার বইটি কাড়তে চাইলুম, দিলো না।X(( হঠাৎ স্যারের নজরে পড়লো। উনি চেঁচিয়ে উঠলেন,
“এই, এই ছেলে, দাঁড়াও”।

আমার বন্ধু টেরই পেলো না। পিঠে গুঁতা দেয়াতে অটোমেটিক দাঁড়িয়ে গেলো, মন তখন কোথায় কে জানে।

“বলো, What is sex?”

স্যার আসলে জানতে চেয়েছিলেন সেক্সের ডেফিনেশন, মানে ক্রোমজমের ক্যাচক্যাচানি। আমার বন্ধু ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললো, “স্যার, আওয়ার বেসিক নিড”।B-)B-)

কয়েক সেকেন্ডের জন্য পিন পতন নিরবতা। অতঃপর স্যার সহ সকলের হো হো হাসিতে তার চমক ভাঙলো। কিন্তু ততক্ষনে কথা গুলির মত ছুটে গেছে, আর কি ফেরানো যায়? পুরো তিন মাস তাকে দেখলেই, “দোস্ত, বল তো, আমাদের বেসিক নিড টা কি?”:D:D:D


উলটা পালটা কথা বলে পরিস্থিতি আউট অব হ্যান্ড করার জন্য আমার এক বন্ধু আমাদের মহলে ত্রাস। একেবারে না দেখে না বুঝে, সে সত্য কথাটা ঠাশ করে মুখের উপরে বলে দিয়ে চলে যাবে। অতঃপর এই বেচারী আমাকে এবং আমার আরেক বন্ধুকে সেটা সামাল দিতে হবে। এটাই অনেকদিন ধরে চলে আসছে। কোন কথা বলার আগে তাই আমরা বলি, “দোস্ত, তুই কইস না, আগে আমি বলি, তারপরে বলিস”। তারপরেও সে শোনে না। আরেক বন্ধুর রিসেপশনে গিয়েছি। জামাইকে তেমন ভালো লাগলো না। মানে আমাদের বন্ধুর জন্য একেবারেই ভালো লাগছিলো না। তা তো আর বলা যায় না, আহা উহু করে ছবি তুললাম।
হঠাৎ আমার সত্যবাদী বন্ধু বলে বসলো,
“ধূর, কি বিয়া করতাসে দেখ!X( এর চাইতে তো ওর বয়ফ্রেন্ডটা দেখতে ভালো আছিলো”।

আমি সাথে সাথে সহমত ব্যক্ত করলুম। “যা কইসোস দোস্ত”।/:)

সামনে এক বন্ধুর বিস্ফোরিত চক্ষু দেখে পিছে ঘুরলাম। কোন ফাঁকে যে জামাইএর বন্ধুরা ঘুরতে ঘুরতে আমাদের পিছে চলে এসেছে কেউ খেয়াল ই করেনি। কি করি?:-/:-/ কোনমতে বললাম, “ঠিক, আমার আগের বয়ফ্রেন্ড এখনকারটার চাইতে দেখতে ভালো ছিল”।:| তারপরো ফাঁড়া কাটলো না।
আমার বন্ধু বলে বসলো,
“অ্যাঁ, তোর বয়ফ্রেন্ড কবে থিকা?”:-*:-* এবার আর মানে মানে কেটে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় রইলো না।:|:|



কখনো কি বাচ্চা কাচ্চাদের সামনে কিছু বলেছেন এই ভেবে যে, “ধূর, ও কি কিছু বুঝে? ছোট মানুষ”। কক্ষনো করবেন না!:-/:-/ বাচ্চা কাচ্চা মানেই ১০ নং রেড সিগনাল।:-/ এরা যদি বুঝে, তাইলেও সর্বনাশ, আর যদি না বুঝে তাইলে একেবারে সোয়া সর্বনাশ। আমার এক কাজিন একেবারে ইঁচড়ে পাকা পাজির পা ঝাড়া ছিলো। সবার সামনে ভালো মানুষটির মত করে বসে থাকতো, কিন্তু আসলে কিছু দুষ্টের শিরোমনি। তো তখন আমি পড়ি ক্লাস টেনে, আশে পাশের মানুষজন প্রেম যে করছে সবে তা আমার কাছে লুকানো বন্ধ করেছে। ক্লাস টুতে আমি আমার বাসার কাজের মেয়েকে প্রেম পত্র লিখে দিতে সহায়তা করায় যেই দাবড়ানি আমার আম্মাজান আমাকে দিয়েছিলেন, সেই স্মৃতি তখনো আমার কাছে “স্মৃতি তুমি বেদনা”।:((:(( তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, অনেক উঁচু দরের প্রেমপত্র ছিলো সেটা।B-) কারন আমার মনে আছে, কাজের মেয়ে ৩/৪ লাইন বলে আর কি লিখতে বলবে, তা বুঝতে পারছিলো না। তখন আমি নিজ মাথা থেকে, “আচ্ছা বলো তো- তোমার সাথে তো দেখাই হয়েছে শুধু, কথা তো আর হয়নি। দেখা হলেই কি প্রেম হয়?” –এই লাইনটি বের করে অত্যন্ত বাহবা কুড়িয়েছিলাম।:):) এমনকি মেয়েটির আশিক জানিয়েছিল পরের চিঠিতে, যে চিঠির উপরে আকাঁ গ্রামের দৃশ্য এবং ফুল তার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে। পারলে যেন আরো এঁকে দেয়।B-)B-) কিন্তু আমার আম্মাজান না বুঝলো আমার সাহিত্য চর্চা, না বুঝলো আমার জয়নুল আবেদীন হওয়ার ইচ্ছাকে।:((:(( যা হোক, একটি চিঠিই লিখতে সাহায্য করেছিলাম, কারন পরেরটাতে আমার আম্মাজান ধরে ফেলে যে কাহিনী করেছিল, তা বরং নাই বলি। সেই স্মৃতির কারনে আমি তো কারো বার্তাবাহক হবো না। কিন্তু যে রিকোয়েস্ট করতেছে, সে তো আমার খুবই প্রিয়, আমার সম্পর্কে খালা হয়। চিঠি না, ফোনে উহাকে ডেকে দিতে হবে। কি আর করা, বললাম, আচ্ছা দাও।:|:| নাম্বার নেয়ার সময় আমি মারাত্মক ভুলটি করে বসলাম। সামনে ছিল তাহসীন। আমি ভাবলুম, ছোট মেয়ে কি বুঝে? ওরে বাবা, এ তো পৌনের উপর সওয়া সের!:-* নাম্বারটি যখন আমি জোরে জোরে বলছি, সে ততক্ষনে তা একটা কাগজে নোট করে ফেলেছে। যা হোক, ফুনাইলাম। ফোনে সেই ছেলের আম্মিহুজুর বললেন তাহার ছেলে বাইরে গেছে। কাহিনী শেষ ভেবে আমি গেলাম ছাদের ঘরে কম্পুটারে খেলতে। ১ ঘন্টা পর ফুঁসতে ফুঁসতে আমার আন্টি এসে হাজির।
“ওই! তুই তাহসীনরে কি বলসিস?”X((X((

আমি তো কিছুক্ষন বুঝলামই না কাহিনী কি। পরে শুনলাম, সেই পুঁচকু, যার কিনা বয়স ৭ বছর, সে ওই নাম্বারটি দিয়ে আমার আম্মাজানের হাতে দিয়ে বলেছে, “এই নাম্বারে ত্রিনিত্রিআপু ফোন করে কাকে যেন চাইছে”। সৌভাগ্যবশত আমার আম্মাজান তখনো মোবাইলের হাল হকিকত বুঝিয়া উঠিতে পারে নাই, তাই সে কাগজ ফেলে দিছে। এই হচ্ছে বাচ্চা কাচ্চাদের বেশী বুঝার অবস্থা।:((:((


আবার না বুঝলেও কাহিনী আছে। আমার মামাতো বোনের বয়স তখন সাড়ে ৪ হবে। পাশের বাসার ছেলেটির বয়স ৫। চমৎকার জোড়ি। ছেলেও গোপনে আমার মামাতো বোনের উপর ফিদা।B-)B-) একদিন আমরা যারা মুরুব্বী স্থানীয় ছিলাম, মানে যাদের বয়স সর্বোচ্চ ১৫, তারা ছেলেকে ডেকে পাঠালাম।

সে এলে পড়ে গম্ভীর মুখে আমার এক দূর সম্পর্কীয় ভাই বললো,
“তা, তুমি যে আমাদের বোনকে পছন্দ করো, তাকে বিয়ে করবা না?”

ছেলেও স্মার্টলী উত্তর দিলো, “বড় হলেই করবো”।:P:P

আমার ভাই আরো গম্ভীর হয়ে বললো,
“কিন্তু তার আগেই যদি ভালো সম্বন্ধ আসে, তাহলে কিন্তু আমরা বসে থাকবো না”।;);)

ইমন (পিচ্চি ছেলে) এবার কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো, “তাহলে কি করতে হবে?”

“তোমার আব্বুকে তোমার বলা দরকার যাতে সে আনমনার(আমার বোন) আব্বুকে কথাটা বলে”।:P:P

এখানে প্রসংগতো উল্লেখ্য, আমার মামা তখন ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট, আর ইমনের বাবা তার ঠিক নীচের পদে ছিলেন। তখন আমাদের নানুবাড়ীর ড্রইংরুমে তাদের একটা কি যে আলোচনা চলছিলো আরো ৭/৮ জন আংকেলের সাথে। ইমন শুনে সাথে সাথে রওনা দিলো।
মিটিং এর মাঝে ঢুকে তার আব্বুর শার্ট টানতে লাগলো আর ভাঙা রেকর্ডের মত বলতে লাগলো,
“আব্বু, এই আব্বু, আমি আনমনাকে বিয়ে করবো। আব্বু শোনো না, আমি আনমনাকে বিয়ে করবো, তুমি আনমনার আব্বুকে এখনি বলো”।:P:P:P

আংকেল লজ্জায় যত, “ঠিক আছে বাবা, বাসায় গিয়ে কথা বলবো আমরা” এসব বলে, ইমন তত ঘ্যান ঘ্যান করে। আমার মামা আর বাকি সব আংকেল হাসতে হাসতে শেষ। আমরাও যে দরজায় কান লাগিয়ে শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি, সে বলাই বাহুল্য!;););)






সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ১:৪৬
৬৮টি মন্তব্য ৬৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×