আওয়ামীলীগের দাবির মুখে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিল। এখন আওয়ামীলীগের কাছেই বিএনপি তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবি করছে। কেন?দে্
১. বিএনপি বিচারকদের বয়স ২ বছর বাড়িয়ে দিল যেন তাদের পছন্দের লোক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হতে পারে।
২. গোলমাল লাগায় ইয়াজ উদ্দিনকে প্রধান বানিয়ে দিল।
৩. আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করলো।
উদ্দেশ্য কি ছিল?
দেশের গরিব মানুষের স্মৃতিবর্ধক স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই হয়তো অতীতকে সহজে ভুলে যায়।
১. আওয়ামীলীগের নেতাদের দমন করতেই বাবর-তারেক র্যাব এবং ক্রসফায়ারের আবির্ভাব ঘটিয়েছিল।
২. নিজামি বাংলা ভাইকে মিডিয়ার সৃষ্টি বলে ঘোষণা দিলেও মূলত পুলিশ এসকর্টেই রাজশাহীতে তারা মিছিল মিটিং করতো।
৩. আহসান উল্লাহ মাস্টার বা এএমএস কিবরিয়াকে হত্যা করার দায় তৎকালীন সরকার এড়াতে পারে না।
৪. নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের কার্যালয়ে আর একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা বিএনপি-জামাত ভুতই করেছিল।
৫. শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য নোয়াখালীর রিক্সাচালক 'জজ মিয়া' গ্রেনেড হামলা করেছিল বলে যে আজগুবি গল্প বাবর-তারেক গংরা প্রচার করেছিল তার পুনরাবৃত্তি যদি এই সরকারের সময় ঘটে তাহলে বিএনপি নেতৃত্বের হেঁচকি ওঠার কি আছে?
৬. নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি-জামাত যেভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনে মেতে উঠেছিল তাতে কার খুশি হওয়ার কথা? পাকিস্তানের?
৭. দুর্নীতি আর পার্সেন্টেজের যে খেলা বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রীরা, তারেক-মামুন গংরা শুরু করেছিল তার ধারাবাহিকতা যদি এই সরকারের সময় থাকে তাহলে বিএনপি নেতাদের অবাক হবার কি আছে?
৮. লিখতে লিখতে রাত ফুরিয়ে যাবে। শেষ তো হবে না...
কিছু হলেই বিদেশিদের পা-চাটাচাটি করা বিএনপির একমাত্র কাজ হয়ে গেছে। কিন্তু চেটেপুটেও তো কোন লাভ হলো না।
শুরু হলো পেট্রোল বোমা হামলা। এরপর বিদেশি প্রভুরাই যখন নৃশংসতা বন্ধ করতে নির্দেশ দিলো তখন তো দেখি চুপ হয়ে গেছে। কই ভগবানরা বলার পর এখন তো আর পেট্রোল বোমা হচ্ছে না, ঢাকায় ভাংচুরও হচ্ছে না।
বিএনপি বলে বোমা নাকি আম্লীগের লোকেরা মারে। কিন্তু বোমা বানাতে গিয়ে যাদের হাতের কবজি উড়ে যায়, সবই তো দেখি যুবদল আর ছাত্রদলের-শিবিরেরর নেতা-কর্মী।
ভালো হইতে পয়সা লাগে না। ভালো হওয়ার এখনো সময় আছে।