
এই বুড়োরাই আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব।
আর তরুণ রা?
ওরাতো ফেস বুকে,
ঢুলু ঢুলু চোখে-
ধুঁকছে আর ধুঁকছে!
আমাদের যুবকেরা?
ওরাতো শীশার নল চুষে-
নেশার ঘোরে ফুঁকছে তো ফুঁকছে!
ওরাতো কেশবতীর কালো কেশে
জনমের মত গেছে ফেঁসে!
ওরা আসবে না, ওরা আর জাগবে না!
পক্ককেশ বুড়োরাই সম্বল।
একাত্তরে যে তরূণের দুটি হাত জেগেছিল,
প্রৌঢ়ত্বে সেই পক্ককেশ বৃদ্ধই আবার গর্জে উঠছে!
আর একবার স্বাধীনতার ডাক দিচ্ছে,
তাগুতের হাত থেকে মুক্ত হোক এই বদ্বিপ,
মুক্ত হোক শাহজালাল, শাহ পরাণের এই পূণ্যভূমি।
শ্লোগোণে শ্লোগোণে আবারও মুখরিত হোক-
টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার প্রান্তর,
রক্ত দিয়ে কেনা এ জনপদ, রক্তেই আবার উজ্জীবিত হবে!
রক্তের ফেনাতেই ভেঁসে ভেঁসে আসবে মুক্তি-
আসবে বিজয়।
আসবে, এই পক্ককেশ বৃদ্ধদের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা-
আর আমার বাবার কপালের ভাঁজে ভাঁজে,
তার পবিত্র চিবুকের শ্বেতশুভ্র প্রতিটি সফেদ পশমের
পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা প্রাজ্ঞতার হাত ধরে-
বিজয় আসবেই, আসতেই হবে।
বিজয় কেবল আর একটি রাতের দুরত্বে!
আঁধার এ রাতটুকু পোহালেই বিজয় আসবে।
আসবেই।