তবলাঘরের নর্তকী
আমাকে ডেকে গিয়েছিলো শব্দ-নির্ঘুম মেঘপরাগের দল ; সেই থেকে পুষ্প-ঘ্রাণে ভেসে আসছে অনিদ্রা-অসুখ । দৃষ্টি-জুড়ে অনন্ত বেদনা অথবা হিমশীতল রাত ডুবে যায় স্বপ্নশহর – ক্রন্দনপাতায় । তবলাঘরের নর্তকী হাওয়ায় ডিগবাজি দিয়ে উড়িয়ে দেয় অদৃশ্য বেলুন । একটি পৌরাণিক ঘোড়া বর্ণবেলুনের পিছু নিয়ে পেরিয়ে যায় জলমাতাল হ্রদ , ভগ্নধ্বনি থেকে সৃষ্টি হয় অসংখ্য বালুচর ।
সর্বত্র নিষিদ্ধ হারেম ! অচিন মুদ্রাভাঁজ , নৃত্যনিক্বণ - থেকে ছুটে আসছে অন্ধকার এবং শূন্যতা । ছায়া ঘুমনাশী জলপ্রপাত ছুঁয়ে ষোড়শী বালিকারা গেয়ে চলেছে সুমিষ্ট হারেম সংগীত , মুঠোয় পুরে নিচ্ছে মায়াবিনী প্রজাপতিবিভ্রম অথচ কেউ জানেনা , এই শূন্যতার পথ বেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে অজস্র অশ্রুত সরাইখানা ; মন্দ্রিত দিনলিপি ।
ধাতব সংগীত
হে কাঠ মালতী , তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি আমার সমস্ত সংলাপ । ঋণ ! ফুলেরা শুধু ঋণের কথাই বলতে জানে ! তাদের কাছ থেকে পালাতে গিয়ে জেনেছি ঘুঘুর পাখায় নিজেকে বেঁধে নিলেই উড়ে যাওয়া যায় না ! যে পথে সুশ্রী হরিনীরা হেটে যায় , সে পথে কোনদিন ঘাস জন্মে না । নৈঃশব্দ নিদ্রাকারক জেনেও চুপিসারে সেই পথে হাটি । দ্যাখো ! রাতের শীতলতা বরফের মত গলে পরছে , ছড়িয়ে পরছে সর্বত্র এক ধাতব সংগীত !