বিসিবি'র সম্ভবত শিক্ষাগ্রহন করার বিষয়ে এলার্জী আছে। নতুবা কি করে, একজন প্লেয়ার চলমান বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করার পাশাপশি পত্রিকাতে কলাম লিখবার অনুমতি পায়। পূর্বেও দেখা গেছে , বিভিন্ন সময়ে একই টিমের বিভিন্ন প্লেয়ার বিভিন্ন মতামত প্রদান করে বিভেদের জন্ম দিয়েছে, যা নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য বোর্ড গুলো প্লেয়ারদের বাক স্বাধীনতার উপর আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রণ। ফলাফল ও পেয়েছে, কোন লাভ না হলেও নিদেন পক্ষে তাতে কোন ক্ষতি হয়নি। ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও তাদের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক পদক্ষেপের পাশাপাশি প্লেয়ারদের ইচ্ছা খুশীমতকথা বলা বন্ধ করেছে বহুবার, পাশাপাশি তাদের কথা মডারেট করবার জন্য রেখেছে একজন মুখপাত্র। কিন্তু আমরা পারি নাই।
নিজের দলের পরাজয় বিশ্লেষন ও পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ উপেক্ষা করে, আমাদের ষোল কোটি বাঙ্গালীর দলপতি কলাম লিখতে বসেছে প্রত্যুত্তর দেয়ার আশায়। জানি না ক্রিকেট বোর্ড এখন পর্যন্ত তাকে কোন সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছে কিনা, না পাঠালে বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে। নতুবা সাকিব হয়ত সারা দিনরাত ধরে কলাম লেখার উপরই থাকবে আর মাঠে যেয়ে বিশ্রাম নেবে, যা কারোর জন্যই সুখকর কিছু নয়।
তিনি তার কলামে অনেক কিছুই লিখেছে, দর্শক দের ক্রিকেট জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। যা দিয়ে উনি হয়ত নিজেকেই ছোট করেছে। তিনি তো এই সকল দর্শক ও অনুরাগীদেরই নেতা এটা ভুলে গেলে হবে কি করে।কোন একটি ম্যাচে ভালো করলেই তাদের জন্য তৈরী থাকে প্লট, ফ্লাট, গাড়ী, টাকা। সেগুলো গ্রহন করতে তাদের কোন প্রকার পিছুটান থাকে না। প্রাকটিস বাদ দিয়ে ধর্ণা ধরে থাকে কখন সে গুলো বাস্তবায়িত হওয়ার পর গোগ্রাসে গিলবে। তো বর্তমানের গুলা দিলে সেগুলা গ্রহন করতে এত কষ্ট কেন। ধৈর্য ও সহ্য না থাকলে আপনি কিসের নেতা।
সাকিব কে দিয়ে প্রথম আলোর কলাম লেখানোর সিদ্বান্ত টি ভালো। কিন্তু বিশ্বকাপের মধ্যে সে পূর্ণ সময়ের জন্য বিসিবির কর্মী; তাকে দিয়ে কিভাবে খন্ডকালীন কলাম লেখানো হয় এটা আমার মত সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়।
ক্রিকেট বোর্ড কয়েকদিন আগে প্লেয়ারদের উন্নয়নের জন্য একজন মানসিক অবস্থা একজন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। আমার মনে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে প্লেয়ারদের পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশন দেখার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত; ডাক্তার বাবুকে মনে রাখতে হবে বাঙালী খুবই আবেগপ্রবন, কোন মতেই তারা আবেগ চেপে রাখতে পারে না।
যেমনটি ঘটেছে আমার বেলাতে। আবেগ সামলাতে না পেরে অফিসের কাজ বাদ দিয়ে এই কলাম লিখতে বসেছি।