নব্য সুশীলদের ভণ্ডামী দেখে গা-জ্বলে যায়। এত প্রচণ্ড পরিমানে জ্বলে যে গোসল করে আসতে হয়। কেউ যদি নারীর রক্ষণশীলতার কথা বলে, সে কি মোল্লা হয়ে যায়? নারীর এই উদ্যাম স্বাধীনতা কবে আসলো এই দেশে? এই দেশের ৯০ ভাগের বেশী মানুষ মুসলমান। এই মানুষগুলোর মূল্যবোধে গুটিকয় মানুষের আঘাত করার কি অধীকার আছে?
নব্য কিছু সুশীল খুব বড় গলায় নিজেদের উদার দাবী করে। তারা মনে মনে কতটা স্বাধীন, সেটা তাদের ঘরের বউরা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে, কিন্তু নিজেকে খুব বড় ভাবে মানুষকে দেখাতে চায়, বলতে চায় তারা খুব উদার - তারা নারীর উদ্দাম স্বাধীনতার পক্ষে। কেউ কেউ আরো এক কাঠি বাড়া। নিজেদের তারা নাস্তিক হিসেবে দাবী করে। অথচ মজার ব্যাপার হলো, এদের কখনো স্বনামে ব্লগিং করতে দেখি না। সব সময় কথা বলে নিকের আড়ালে লুকিয়ে। অথচ আমি নিশ্চিত, সামাজিক ভাবে তারা মুসলমান হিসেবে সমাজে চলাচল করে, ঈদের দিন সকালে সেমাই খেয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যায়। ভণ্ডামী ছাড়া এরা আর কি করতে পারে!
৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে একটি মেয়ে বোরখা পড়ে রাস্তায় বের না হলেও শালীন পোশাকে বের হবে, সেটাই সবার কাম্য। অশালীন পোশাকে একটি মেয়ে বের হলে যতটা তার স্মার্টনেস দেখানো হয়, তার চেয়ে বেশি কি আঘাত করা হয় না মুসলিম দেশের সেইসব ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে? এই জিনিসটা তারা কি বোঝে? আমার দেখা বেশ কিছু বিদেশী মহিলা যারা এই দেশে কর্মসূত্রে বসবাস করে, তারা কিন্তু চমৎকার ভাবে এই জিনিসটা উপলব্ধি করে। তারা ঘরে কি পোশাকে থাকে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়, কিন্তু রাস্তায় বের হলে এত সুন্দর করে শালীন পোশাক পড়ে বের হয়, মনের মধ্যে অটোমেটিক একটা শ্রদ্ধা বোধ চলে আসে। ইচ্ছে করে পা ছুঁয়ে সালাম করতে। এরাই কি আমাদের অতি-স্মার্ট মেয়েগুলোর মুখে একটা চপেটাঘাত নয়?
সুশীল নামের ভণ্ডগুলো খুব মোলায়েম ভাবে হেসে হেসে মেয়েগুলোর সাথে কথা বলে, আর বোঝাতে চায়, দেখ, আমরা কত উদার। আমরা তোমাদের এই সব অশালীন পোশাক পড়ে বের হয়ে আসাটাকেই স্মার্টনেস মনে করি, আর সমর্থন করি। তাদের চোখের কোনে কিন্তু ঠিকই ঠিকরে পড়ে কামনার আগুন! আর সুযোগ খুঁজতে থাকে কিভাবে তাদের বিছানা পর্যন্ত টেনে নেয়া যায়। আর আমি যদি সেই মেয়েগুলোকে বলি শালীন পোশাকে বের হতে, তখনই আমি হয়ে যাই আনস্মার্ট-অন্ধকারের জীব-কাঠমোল্লা। আমার জন্যই নাকি পিছিয়ে যাচ্ছে এই দেশ! হায় ঈশ্বর!!
ভণ্ডগুলো যত যাই বলুক, আমি তার থোড়াই কেয়ার করি। আমার কথা আমি বলবই - যতই আমাকে কাঠমোল্লার বিশেষণ দেয়া হোক। যতদিন আমি আমার দেশের মেয়েগুলোকে অশালীনভাবে রাস্তায় বের হতে দেখব, ততদিন আমি এদের ঘৃণা করব। ব্লগে ফেইসবুকে যদি এদের দেখি, যত টুকু সম্ভব এদের প্রতি কঠোর তিরষ্কার করব। মুখে যা আসে তাই বলব। বলবই।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ্ সুবহানাহুয়া তা'লা বলেছেন, "নষ্ট পুরুষ নষ্ট নারীর জন্য, নষ্ট নারী নষ্ট পুরুষের জন্য। পবিত্র নারী পবিত্র পুরুষের জন্য, পবিত্র পুরুষ পবিত্র নারীর জন্য। অপবিত্র নারীকে পবিত্র পুরুষের জন্য হারাম করা হয়েছে।" সুতরাং ঐসব নষ্টা নারীগুলো যে অন্য আরেকজন নষ্ট পুরুষের কপালেই এসে জুটবে, তাতে আর সন্দেহ কি! কুরআন তো আর মিথ্যে হতে পারে না। এরা সবাই হয়ত মুখে মুখে মানুষকে দেখাবে যে তারা কত সুখী, কিন্তু মনের মাঝে কতটা অসুখী তারা থাকবে, তা শুধু নিজেরাই জানবে। কিন্তু কাউকে বলতেই পারবে না কোন দিন। আমি মনে করি, এটাই পৃথিবীতে তাদের শাস্তি। আর পরকালে অনন্তকালের জন্য জাহান্নামের আগুন! আল্লাহ্ আমাদের সেই আগুন থেকে রক্ষা করুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪