বহু বছর আগে হারিয়ে ফেলা কোনো প্রেমের মতোই সামহোয়্যারইন-এর কথা মাঝে মাঝে মনে হয়। আজ কাকে যেন একটা পুরনো গল্পের লিংক দিতে গিয়ে মনে হলো, গল্পটা আছে এখানে। স্ক্রল করে অন্য লেখাগুলোও দেখলাম। দীর্ঘ যে কোনো কিছুর প্রতি মানুষের এখন এক রকম বিতৃষ্ণা কাজ করে। দীর্ঘ গল্প, দীর্ঘ উপন্যাস, দীর্ঘ কবিতা কোনো কিছুতেই যেন আর ঠিক আগ্রহ পায় না বেশিরভাগ মানুষ। জীবন যে ছুটছে দিবানিশি! জীবনের পিছু ছুটতে ছুটতে, অপার ব্যস্ততার সায়রে ডুবে যেতে যেতে মানুষের অনুভূতির প্রকাশগুলো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে আসছে। এমনকি ফেসবুকেও দীর্ঘ লেখা পড়ার প্রতি বড্ড অনীহা দেখা যায়, সেটা বোঝা যায় পোস্টের এনগেজমেন্ট দেখে।
এক সময়ের ব্লগ অভিমুখী মানুষরাও এখন তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব। কেউ কেউ কিছুদিন পর সেসব জায়গা থেকেও উধাও হয়ে যায়। তখন এভাবেই, কোনো দগদগে সন্ধ্যায় কাউকে কোনো গল্পের লিংক দিতে গিয়ে মনে পড়ে যায় ব্লগের কথা। হারানো প্রেমের মতো, যেখানে টান নেই কিন্তু স্মৃতি আছে, আর আছে খানিকটা বিরহী সৌরভ। সৌরভ বা সুগন্ধি আবার বিরহী হয় কী করে? থাক, সেসব তত্ত্বকথায় না যাই। এসেছি যখন একটা খবর বলে যাই--
বই তো সেই ২০১৭তেই প্রকাশিত হত। প্রকাশনীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ক্যাচালে পড়ে সেটা আর হয়নি। তারপর আরও চারটি বছর চলে গেল নানারকম হতাশা, বিষণ্নতা, ব্যস্ততা ইত্যাদি মিলিয়ে। এর মধ্যে প্যান্ডেমিক এসে মুখ দেখাল। কিন্তু এভাবে ছিটকে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। তাই ২০২২ বইমেলাকে আর রক্ষে দিলাম না। আগে বোধ হয় বইটার কিছু কনটেন্ট শেয়ার করেছিলাম ব্লগে। বইটার নাম 'ডাইনি'। মূল বই- ' The Witches'। রোয়াল ডাল এর উল্লেখযোগ্য বইগুলোর একটি। এই লিংকে ক্লিক করে অনুবাদটার খানিকটা পড়া যাবে- Click This Link
ডাইনির লেখক সম্পর্কে কিছু বলে যাই। এই লোকটা নিজে ছিল অনেকখানি শিশুসুলভ। আর শিশুদের ভীষণ ভালোও বাসতো। নিজের নাতি-পুতিদের জন্য অনেক কেচ্ছা-কাহিনী লিখেছে। সেগুলোই পরে দুনিয়াজোড়া জনপ্রিয় হয়েছে। বড়দের জন্যেও সে লিখেছে। ওগুলো পড়লে আবার কারো মনে হবে না যে, এই একই লোকের হাত দিয়ে এমন সব শিশু-কিশোর সাহিত্য বেরিয়েছে। কিরকম? আচ্ছা, সেগুলোও কয়েকটা মলাটবদ্ধ করব না হয়, তাহলেই বুঝবেন। ডাইনির প্রচ্ছদটা কেমন হয়েছে? রাজীব দত্ত করেছেন। প্রকাশিত হয়েছে পেন্ডুলাম থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৫৯