এটি আপডেট পোষ্ট।আগেরটি এখানে।
আজকে গেলাম ঢাকা মেডিকেলে।গিয়ে দেখলাম সিমলা বেড এ শুয়ে আছে।অন্য এক রুগীর বেড শেয়ার করা হয়েছে।ওর নিন্মাংগে পাইপ লাগানো।ডাক্তার দেখে গিয়েছে গত রাতে।আর কোন খবর নাই।ওর রিপোর্ট ফাইলটি খুজলাম কিন্ত কোথাও পেলাম না।কেউ বলতে পারলো না।ওর বাবাকে পাওয়া গেলো ওয়ার্ড এর বাইরে বসে বসে ঝুমছে।দারোয়ান ঢুকতে দেয়নি।এবং সম্ভবত সারারাত ঘুমায়নি।কোন মিডিয়ার কেউ যায়নি।গরীব বলে হয়তো সবাই অবহেলা করছে।ওর বাবাকে জিগ্গেস করলাম কি অবস্থা?উনি বললো,আজকে দেশে নিয়ে যাবে।আমি বল্লাম ওরতো আরো চিকিৎসা করা লাগবে।নাহলে পরে অনেক বিপদ হতে পারে।তিনি বল্লেন,এর চেয়ে আর বড় বিপদ কি হবে?আর গরীবের আবার চিকিৎসা?চিকিৎসা করানোর টাকা নাই।এখানে থাকলে খাবো কি?ওষধ কিনবো কিভাবে?শুনে নিজেকে অনেক ধিক্কার দিলাম।ভাবলাম এইতো আমাদের সোনার দেশ।আমরা সবাইকে ভাত কাপড় দিতে নাইবা পারলাম কিন্ত মানুষের জান মাল আর ইজ্জতের নিরাপত্তাটুকুও কি দিতে পারি না?এই অন্যায়ের বিচার কি শেষ পর্যন্ত হবে না?হয়তো শেষ পর্যন্ত গ্রাম্য সালিশে এর সমাধান হবে কয়েকটা টাকার বিনিময়ে।কিন্ত এই মেয়েটির জীবন এবং ভবিশৎ?
চোখ মুছে হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে এলাম মেয়েটির বাপের হাতে কিছু টাকা দিয়ে।নিচে এসে দেখলাম এটিএন নিউজের স্টাফ রিপোর্টার ফায়েজ ভাই পুলিশ এবং ছাত্র মারামারির রিপোর্ট কাভার করতে আসছে।মনে মনে ভাবলাম,আমি দুই দিন ধরে চেষ্টা করে একটা মিডিয়ার লোক পেলাম না একটি জঘন্য অপরাধের পক্ষে একটি কথা বলার লোক অথছ ওই ঘটনা কাভার করার জন্য কোন মিডিয়ার লোক বাদ নাই।যাই হোক ফায়েজ ভাইকে বুঝিয়ে বলার পর ওনি রাজি হলেন।আমার সাথেই উপরে গিয়ে বিষয়টি কভার করলেন।আস্বাস দিলেন যতটুকু সম্ভব দেখবেন।আমি শেষ পর্যন্ত একটু হলেও সান্তনা নিয়ে বেড়িয়ে আসলাম।জানিনা ঘটনাটা এটিএন নিউজ প্রচার করবে কি না।এখনো শংকায় আছি এই ভেবে যে,এই নিরপরাধ মেয়েটি ওর সম্ভ্রমের মুল্য পাবে কি না এবং যে জানেই না ধর্ষন কি এবং ওর কী ক্ষতি হয়ে গেল।
