মানবজীবনের অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক একটি অধ্যায় হচ্ছে যৌনতা। অনেকের মতে এটা ছাড়া জীবনটাই বৃথা, জীবন অসম্পূর্ণ। জীবনের সব সুখ যেন লুকিয়ে আছে ‘সেক্স’-এ। আসন্ন লন্ডন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট। এই ১৭ দিন এ্যাথলেটরা কি যৌনতা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন। তাদের কি কষ্ট হবে না? হবে বলেই ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) এ্যাথলেটদের যৌনক্রিয়া করার অনুমতি এবং সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। আর এটা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। এবারের অলিম্পিকে অংশ নেবেন যুক্তরাষ্ট্র মহিলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক হোপ সোলো। তিনিও মনে করেন এবারের অলিম্পিক ভিলেজে লুকিয়ে আছে প্রচুর যৌনতা।
৩০ বছর বয়সী এ তারকা ফুটবলার গত ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী যুক্তরাষ্ট্র দলের অপরিহার্য সদস্য ছিলেন। ক্রীড়া টিভি চ্যানেল ‘ইএসপিএন’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সোলো বলেন, ‘আমার বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, লন্ডন অলিম্পিক হতে যাচ্ছে যৌনতার স্বর্গরাজ্য। গত অলিম্পিকে দেখেছি এ্যাথলেটরা যে যেভাবে পেরেছে যৌনতার চিত্তসুখ মিটিয়ে নিয়েছে ইচ্ছেমতো। অনেকে আবার বাড়াবাড়িও করেছে। সেক্স করেছে মাঠে, ঘাসে, ভবনে, বাথরুমে ...। এতে একটা উৎকট সমস্যাও তৈরি হয়েছিল। তা হলো রুমসহ সর্বত্র হয়ে পড়েছিল নোংরা ও আর্বজনাময়।’
এমন নয় যে সোলো একাই এসবের প্রত্যক্ষদর্শী। বরং তাঁর মতো একই কথা বলেছেন মার্কিন তারকা সাঁতারু রায়ান লোকেট, অলিম্পিক ভিলেজের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ এ্যাথলেটকেই দেখেছি উদ্দাম যৌনলীলায় মেতে উঠতে।’
সোলো আরও বলেন, ‘আরেকটা বিষয় দেখেছি অনেক সেলেব্রিটিরাই অলিম্পিক ভিলেজে আসতেন তারকা এ্যাথলেটদের সঙ্গে দেখা করতে। যেমন আমি বলতে পারি কৌতুকাভিনেতা স্টিভ বির্নি একবার ভিলেজের বাইরে একটি পার্টিতে এসেছিলেন। পার্টি দিয়েছিলেন অভিনেতা ভিন্স ভন। আমরা অনেকেই পার্টিতে অংশ নিয়েছিলাম। তখন দেখেছি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল অনেকটাই শিথিল। আমরা এ্যাথলেটরা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে অলিম্পিক পদক দেখিয়েই পার্টিতে ঢুকতে পারতাম, যা ছিল অনুচিত। সেলেব্রিটি ও এ্যাথলেটরা পরস্পরের আবাসস্থলে অবাধে যাতায়াত করতে পারত। এগুলো কখনই ফাঁস হয়নি এতকাল।’ আশা করা হচ্ছে আসন্ন লন্ডন অলিম্পিকে ‘অলিম্পিক ভিলেজ’-এ থাকবেন প্রায় ১৭ হাজার ক্রীড়াবিদ এবং কর্মকর্তা। এখন দেখার বিষয়, হোপ সোলোর ভাষ্য অনুযায়ী অলিম্পিক ভিলেজ কেমন পরিণত হয় যৌনতার রাজ্যে।
যুক্তরাষ্ট্র দলের হোপ সোলো
গ্ল্যামারাস এ্যাথলেটদের আলাদা আবেদন সবসময়ই। এ জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও মাতামাতি বেশি করে তাদের নিয়েই। সেটা টেনিস খেলোয়াড়দের নিয়েই সাধারণত বেশি হয়। এদের অনেককেই ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজিনে নগ্ন হয়ে পোজ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতটা খোলামেলা হওয়ার সাহস কেউ করেননি।
"হোপ সোলো স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’ ম্যাগাজিনে"
হোপ সোলো নিজে গত অলিম্পিকে যৌনতার রাজ্যে প্রবেশ করে স্বর্গসুখ লাভ করেছিলেন কি না, সেটা অবশ্য বলেননি। না বললেও নিজের রূপ এবং লোভনীয় দেহবল্লরী দেখিয়ে কীভাবে পুরুষদের বুকে কামনার ঝড় তোলা যায়, তাতে বেশ পারঙ্গম। সেটা ক্রীড়া ম্যাগাজিন ‘ইএসপিএন’-এর ‘বডি ইস্যুতে নিজের পরিপূর্ণ নগ্ন ছবি প্রকাশের মধ্য দিয়ে। এটা কয়েকমাস আগের কথা। ফটোশূটের সময় খুব নার্ভাস ছিলেন বলে স্বীকার করেছিলেন সোলো। তবে ছবিগুলো খুবই ‘হট’ হয়েছে বলে দাবি করেন এ বছর মহিলা বিশ্বকাপে রানার্সআপ যুক্তরাষ্ট্র দলের সোলো। তার এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাঠকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বডি ইস্যু সংখ্যাটি কেনার জন্য।
‘স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড’ ম্যাগাজিনে অবশ্য কেউ কেউ কভার গার্ল হয়েছেন। কিন্তু সেটা শরীরে মোটামুটি কাপড় রেখেই। সেরেনা উইলিয়ামসই প্রথম এই নিয়ম ভাঙ্গেন। গায়ে কোন রকম সুতো না রেখেই একেবারে অনাবৃত হয়ে তিনি ছবি তোলেন। তবে সেটা প্লেবয়, ম্যাক্সিম বা স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের জন্য নয়, একেবারে আনকোরা নতুন ম্যাগাজিন ‘ইএসপিএন বডি ইস্যু’তে।