আশরাফুলকে রাখা হয়েছে বিশ্বকাপ দলে। অনেকের মতো আমিও আশা করেছিলাম সে দলে থাকবে না, ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেও সে পারফর্ম করেছে এবং দলে ঢুকেছে। দলে গিয়ে যথারীতি ব্যর্থ। এবারও হয়তো সেরকম কিছু হবে। ঢাল হিসেবে প্রতিপক্ষের বোলিং কিংবা পিচের কথা বলবে। নির্বাচকেরা তো তার পক্ষে আছেই। তবে আজকে কয়েকটি খবর পড়ে আমি খুবই বিস্মিত।
১। বিসিবি চেয়েছে মাশরাফি বাদ পড়ায় আশরাফুলও বাদ পড়ুক। তার জায়গায় কাপালী বেটার চয়েস। এতে আমি শতভাগ সায় না দিলেও আমি দল বানালে দুই জনকেই রাখতাম। তাই এটা দোষণীয় কিছু নয়। বিসিবি মিডিয়া নয় দর্শকের কথা ভেবেছিল।
২। বিসিবির এমন সিদ্ধান্ত কিছুতেই মানতে পারেননি তিন নির্বাচক। তারা দরকার হলে পদত্যাগ করবেন এমন হুমকি দেন। অর্থাৎ সোজা কথায় আশরাফুলকে বাদ দিলে তারা রিজাইন দেবেন ! কি বিচিত্র তাদের মানসিকতা!
উৎস
৩। আশরাফুল গতকাল সকালে পত্রিকায় দেখেন দলে ঢুকছেন কাপালী। তখন ফোন দেন রফিকুল আলমকে। এখানে আমার প্রশ্ন সে প্লেয়ার হয়ে কি করে সিলেক্টরকে ফোন দেয় ? এতে কি দুই নম্বরীর আভাস পাওয়া যায় না ?
দল ঘোষণার সময় পদত্যাগপত্র নিয়েই এসেছিলেন নাকি নির্বাচকেরা। অলক দলে ঢুকলে তারা পদত্যাগ করবেন। তাহলে আশরাফুল কি এমন জিনিস তাদের দিয়েছে যার জন্য তাদের পদত্যাগ করতে হবে ? আকরাম খান নাকি যেকোন সময় পদত্যাগ করতে পারেন।
আরো কিছু কথা না বলে পারছিনা, দল নিয়ে নাকি ট্রেড অফও হয়েছে।
রকিবুল খেললে আশরাফুল দলে থাকবে।
নাইম ইসলাম খেলবে যদি অলক কাপালী দলের আশেপাশে না থাকে।
মাশরাফিকে সাকিব পছন্দ করে না, তাহলে তাকে বাদ না দিয়ে উপায় নেই!
উৎস
এসব পড়ার পর কি বলবো বুঝতে পারছি না, কোথায় আশরাফুলের জোর ? বিসিবি সভাপতিও তাকে নিতে ইচ্ছুক ছিলেন না। বাজে সিচুয়েশান এড়ানোর জন্য নির্বাচকদের দল তিনি মেনে নেন!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮