লেখাটা কার জানা নাই
ভালো লাগল তাই পোস্ট করলাম…………………।।
***কোটিপতি বাবার বিলাসবহুল
ফ্ল্যাট এ বসে নিজেকে
প্রিন্সেস ভাবতে ভালোই লাগে।
ভালো লাগে “Off to Langkawi” লিখে
ফেসবুকে চেকইন দিতে। এরকম ভালো
লাগা নিয়ে বেড়ে ওঠা
মানুষগুলো যখন কফি খেতে “Gloria
Jeans” এ যেতে চায় তখন পাশের একটা
বন্ধু “আমার একটু কাজ আছে, তোরা
যা” বলে পাশ কেটে যায়। খুব
অসামাজিক মনে হয় তাকে ?
ভার্সিটি থেকে ট্যুর এ যাচ্ছে
সবাই। এই হবে সেই হবে প্ল্যান করতে
বন্ধুরা যখন ব্যস্ত তখন কেও একজন মন
ভোলানো কারণ দেখিয়ে সরে আসে
ট্যুর থেকে। তার গায়েও লেগে
যায় “অসামাজিক” ট্যাগ।
সবার হৈ-হুল্লোড়ের মাঝ থেকে
একজন অসামাজিক মানুষ ধীরে ধীরে
অপাংক্তেয় হয়ে যায়। তুমি শুধু
মানুষটার পাশ কেটে যাওয়া দেখ,
তার মলিন মুখের বোবা ভাষা
বুঝতে যাওনা…
তুমি যখন সেমিস্টার ব্রেক এ
সমুদ্র স্নানে যাওয়ার গোছগাছ করছ
তখন ঐ অসামাজিক ছেলেটা তার
পরবর্তী সেমিস্টার ফি জোগাড়
করতে হিমশিম খাচ্ছে…
তুমি যখন “Bone Café” তে বসে cappuccino
coffee নিয়ে বসে আছো তখন সে ছোট
বোনের স্কুল ফির জন্য আরেকটা
টিউশনি পেতে জুতোর তলা ক্ষয়
করছে…
ঝুম বৃষ্টিতে গাড়ির ভেতর বসে
“Rain on Glass” ক্যাপশনের ছবি তুলে
পোষ্ট করতে তোমার আঙ্গুল যখন
আইফোনের স্ক্রিন ছুয়ে যায় তখন
তোমারই অসামাজিক কোন বন্ধু
প্যান্ট গুটিয়ে বৃষ্টির চৌদ্দ
গুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে লোকাল
বাসের পেছনে দৌড়াতে থাকে।
ওরা অসামাজিক কারণ ওদের
দুনিয়াটা তোমার Fairy Tale দুনিয়ার
মত নয়। ওদেরও মন আছে , রঙ বে রঙের
ইচ্ছেও আছে। পার্থক্য শুধু ওদের
ইচ্ছের পাখি গুলোর ডানা বাঁধা,
সাধ থাকা সত্ত্বেও উড়তে
পারেনা। ওরা বড় হয় দায়িত্বের
বোঝা ঘাড়ে নিয়ে। অনেকগুলো
চোখ খুব আশা করে ওদের দিকে
তাকিয়ে থাকে।তাই ওরা তোমার মত
সামাজিক হতে পারেনা, সবার মাঝে
বেঁচে থাকে অসামাজিক বিশেষণ
নিয়ে…..
.
“সব অসামাজিক মানুষ গুলোর জন্য
স্যালুট…দৌড়াতে থাক
…শেষ হাসিটা তোরই”
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫