somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিখ্যাতদের বন্ধুতা

২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চরিত্রহীন শরৎ
‘চরিত্রহীন’ লিখে শরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সে সময় বহুদিন পর হঠাত্ রাসত্মায় এক বাল্যবন্ধুর সাথে দেখা। বন্ধুটিকে কৌতূহল নিয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শরত্চন্দ্র বললেন, কি হে, চিনতে পারছ না? আমি শরত্।
: কোন শরত্?
আমি ‘চরিত্রহীন’ শরৎ। শরত্চন্দ্র মুচকি হেসে বললেন।

আগেও এক সতীন, এখনও ১০৩
হোক দ্বিতীয় বিয়ে। বন্ধুর বিয়ে বলে কথা! রজনীকান্ত্ম সেন বন্ধুর বিয়েতে নিমন্¿িত হয়ে গেলেন। ফেরার পথে নববধ– জ্বরে আক্রান্ত্ম হলো। বন্ধু রজনীকান্ত্মের কাছে তার উদ্বেগের কথা জানালেন, বন্ধু এখন উপায়? জ্বর তো ১০৩ ডিগ্রি উঠেছে।
বন্ধুর উদ্বেগ দেখে রজনীকান্ত্ম হেসে বললেন, ভেব না, আগেও এক সতীন, এখনও ১০৩।

ততদিনে বিখ্যাত
একমাত্র বন্ধুর কাছেই মনের কথা অকপটে খুলে বলা যায়। কথা প্রসঙ্গে একদিন মার্ক টোয়েন তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে বললেন, বছর দশেক লেখালেখি করে বুঝলাম এ ব্যাপারে আমার কোনো প্রতিভাই নেই!
: এটা বুঝার পরেও তুমি লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছ কেন?
: ততদিনে আমি বিখ্যাত হয়ে গেছি যে!

দামি ছবি
পিকাসো তখন দক্ষিণ ফ্রান্সে। একদিন বাসায় বন্ধুদের নিয়ে জম্পেস আড্ডা দিচ্ছেন। বন্ধুরা অবাক হয়ে লড়্গ করল, ঘরে পিকাসোর আঁকা একটা ছবিও নেই। এক বন্ধু তো বলেই ফেলল, ঘরে তোমার আঁকা কোনো ছবি দেখছি না কেন? তুমি কী ওগুলো পছন্দ করো না?
শুনে পিকাসো বললেন, পছন্দ করি না এমন নয়। আসল কথা হলো এত দামি ছবি কেনার সামর্থ্য আমার নেই।

মতবাদের প্রতিবাদ
বন্ধুদের মধ্যে মতভেদ থাকবে, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হবে এটাই স্বাভাবিক। টমাস আলভা এডিসনের এক বন্ধু ছিলেন যে সব সময় এডিসনের যে কোনো মতের প্রতিবাদ করতেন। একবার সেই বন্ধু টাকা ধার নিলেন এডিসনের কাছ থেকে। তারপরই পাল্টে গেল বন্ধুর চরিত্র। এডিসন লড়্গ করলেন বন্ধু আগের মত কারণে-অকারণে তার পেছনে লাগে না, মন্ত্মব্যেরও প্রতিবাদ করে না। একদিন যথারীতি এডিসনের কী একটা মন্ত্মব্যে বন্ধুটি সমর্থন করতেই এডিসন রেগে বললেন, হয় তুমি আমার মন্ত্মব্যের প্রতিবাদ করো না হলে আমার টাকা ফেরত দাও।

দুর্ভিড়্গের কারণ
জর্জ বার্নার্ড শ যেমন রোগা পাতলা ছিলেন তার লেখক বন্ধু চেস্টারটন ছিলেন তেমনি মোটা স্বাস্থ্যবান। দুই বন্ধু দেখতে দুরকম হলেও দুজনেই ছিলেন সমান রসিক। একদিন আড্ডায় দুর্ভিড়্গের প্রসঙ্গ উঠতেই চেস্টারটন বার্নার্ড শ’র দিকে তাকিয়ে বললেন, বুঝলে শ, দেশে যে দুর্ভিড়্গ চলছে তা তোমাকে দেখলেই বোঝা যায়। শুনে বার্নার্ড শ বললেন, তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু তোমাকে
দেখে লোকে অন্তত এটুকু বুঝবে যে দুর্ভিক্ষের কারণটা তুমিই।


কথাবার্তা বন্ধ
মৃতরা জীবিতের সঙ্গে যোগস–ত্র স্থাপন করতে পারে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একথা বিশ্বাস করতেন। একবার তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যুর পর তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, মৃত বন্ধুটি তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে কিনা?
ডয়েল বললেন, করেনি। তখন প্রশ্নকর্তা বললেন, তাহলে এখনও কী আপনার মনে হচ্ছে না আধ্যাত্মবাদ বিষয়টি আসলে ভুয়া?
ডয়েল দৃঢ়ভাবে বললেন, এ ঘটনায় তা প্রমাণিত হয় না। কারণ বন্ধুটির যখন মৃত্যু হয় তখন আমাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ ছিল।

শত্রু নেই
ভল্টেয়ার। ফরাসী বিপস্নবের স–চনাপর্বের প্রেরণাদায়ী লেখক। একদিন তিনি বিপস্নবী বন্ধু রম্নশোকে বললেন, এখন পৃথিবীতে আমার কোনো শত্রু নেই। রুশো তো এ কথা শুনে অবাক। ভল্টেয়ারের মত মানুষের শত্রম্ন নেই! তা কী করে সম্ভব? ভল্টেয়ার বললেন, আমার বয়স এখন প্রায় পঁচাত্তর। একসময় আমার শত্রুর অভাব ছিল না। কিন্তু তারা সবাই মারা গেছে। সমবয়সীদের মধ্যে একমাত্র আমি এখনও জীবিত আছি।

৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×