বুড়ো হওয়ার সুবিধা
সমারসেট মম-এর আশিতম জন্মদিন উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছে। মম বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন, বুড়ো হওয়ার কিন্তু অনেক সুবিধা। এটুকু বলে তিনি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলেন। উপস্থিত শ্রোতারা উসখুশ করতে লাগল। কিছু একটা বলা দরকার কিন্তু কী বলবেন মম মনে করতে পারছিলেন না। অবশেষে কেশে গলা পরিষ্কার করে মম বললেন, আসলে আমি ওই সুবিধাগুলোই মনে করার চেষ্টা করছি।
মহড়া
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে ‘বিসর্জন’ নাটকের মহড়া চলছে। রবীন্দ্রনাথ জয়সিংহ এবং দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর রঘুপতির পাঠ করছেন।
নাটকের একটি দৃশ্যে জয়সিংহের মৃতদেহের উপর শোকাচ্ছন্ন রঘুপতি আছড়ে পরবে। দিনেন্দ্রনাথের বিশাল শরীর। স্বাস্থ্যও বেশ ভালো। একদিন মহড়ার সময় কবির দেহের উপর আছড়ে পরতেই কবি কঁকিয়ে উঠে বললেন, দিনু তোর যেমন ভুলোমন, তুই কিন্তু এ দৃশ্যের সময় ভুলে যাসনে আমি এখনও বেঁচে আছি।
সাহিত্যসভা
ভিক্টর হুগো একবার ট্রেন থেকে নামার সময় দেখলেন স্টেশনে উত্সবের আমেজ। উত্সাহী লোকজন হাতে ফুলের তোড়া নিয়ে অপেড়্গা করছে। হুগো বুঝলেন কোনো বিখ্যাত ব্যাক্তি আসবেন নিশ্চই। তিনি ভিড় এড়ানোর জন্যে উল্টোদিক দিয়ে নেমে স্টেশনের বাইরে চলে এলেন। এমন সময় দু তিনজন তাঁকে দেখে হৈ হৈ করে এগিয়ে এলেন, আপনি এখানে! অথচ আমরা সবাই আপনার জন্য অপেড়্গা করছি। হুগোর হঠাত্ মনে পড়ে গেল, এখানে এক সাহিত্যসভায় বক্তৃতা দিতেই তিনি এসেছেন। এবং তাঁর জন্যই স্টেশনে এতো আয়োজন।
টিকিট
আইনস্টাইন বাসে করে হোটেলে ফিরছেন। বাসের কন্ডাক্টর টিকিট চাইতেই আইনস্টাইন এ পকেট সে পকেট হাতড়ে কোথাও টিকিট পেলেন না। কন্ডাক্টর তাঁকে বিব্রত হতে দেখে বললেন, ঠিক আছে, আপনাকে আর ব্যসত্ম হতে হবে না। কোথায় নামবেন বলুন, নামিয়ে দিচ্ছি। একথা শুনে আইনস্টাইন বিচলিত হয়ে বললেন, সেটাই তো মনে করতে পারছি না। টিকিটের উল্টো পাশে হোটেলের নাম লেখা ছিল যে!
ঠিকানা
আমেরিকায় উচ্চতর বিদ্যাচর্চা কেন্দ্রে আইনস্টাইনকে থাকার জন্য একটি বাড়ি দেয়া হয়েছিল। একদিন ভর সন্ধ্যেবেলা এক ভদ্রলোক ডিনের অফিসে টেলিফোন করে আইনস্টাইনের বাসার ঠিকানা জানতে চাইলেন। সেক্রেটারি সবিনয়ে বললেন, দুঃখিত আইনস্টাইন নিরিবিলি থাকতে চান বিধায় তাঁর ঠিকানা দেয়ার ব্যাপারে নিষেধ আছে। অপর প্রান্ত্মের ভদ্রলোক এবার গলা নামিয়ে প্রয় ফিসফিস করে বললেন, আমিই আইনস্টাইন। বিকেলে একটু বেরিয়েছিলাম। এখন বাসার ঠিকানাটা মনে করতে পারছি না। পিস্নজ ঠিকানাটা বলুন।
টেলিফোন নাম্বার
একদিন এক সহকর্মী আইনস্টাইনের কাছে তাঁর টেলিফোন নাম্বার জানতে চাইলে দ্রম্নত টেলিফোন ডিরেক্টরি হাতে নিয়ে সেখানে নাম্বার খুঁজতে লাগলেন তিনি। সময় নষ্ট হচ্ছে দেখে বিরক্ত হয়ে সহকর্মী বললেন, তুমি তোমার নিজের ফোন নাম্বারটাও মনে রাখতে পারো না! এ কথায় আইনস্টাইন উল্টো যুক্তি দেখিয়ে বললেন, যে জিনিসটা টেলিফোন গাইডে লেখা আছে সেটা আমি কষ্ট করে মনে রাখব কেন?