somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুদন্ডই যেখানে সকল পাপের শাস্তি

২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগে একটি পোস্ট দিয়েছিলামঃ "আর কতক্ষণ হাততালি দেবেন ?" এই শিরোনামে। ঐ পোস্টে বলেছিলাম করতালি বা হাততালি পাওয়া সবসময় সৌভাগ্যের ব্যাপার নাও হতে পারে। আজকে সেরকম একটা গল্প আপনাদেরকে শোনাব।


প্রাচীন গ্রিসের এক আইন প্রণেতার নাম ছিলঃ ড্রাকো (Draco )। সেই যুগে আইনের কোনো লিখিত রূপ ছিলো না। তার ফলে সহজেই বিচারের রায় যেত অভিজাতদের পক্ষে। খ্রিস্টপূর্ব ৬২১ অব্দে ড্রাকোই প্রথম আইনের লিখিত রূপ দেন। ফলে চাইলেই রায় অভিজাতদের পক্ষে নেওয়ার আর কোনো সুযোগ ছিলো না।

কিন্তু ড্রাকোর এই আইন ছিল খুবই কড়া। কেমন কড়া? শুনুন প্রাচীন ঐতিহাসিক প্লুটার্কের মুখেইঃ " For nearly all crimes there is the penalty of death"। আরেক গ্রিক বক্তার কথা শুনুনঃ " The Draconian Code is written in blood." বোঝাই যাচ্ছে সবাই ব্যাপারটাকে অতিরঞ্জিত করে ফেলেছে। কিন্তু দুখঃজনক ব্যাপার হলো, বর্তমানে ইংরেজি ভাষায় Draconian শব্দের মানেও দাঁড়িয়েছে তাই, অতিশয় কঠোর ও নির্মম। বেচারা Draco, তার নাম থেকে তৈরি শব্দ তাকেই ব্যঙ্গ করছে।

ড্রাকো নাকি বলেছিলেনঃ "লঘু পাপের শাস্তি মৃত্যুদন্ড, কিন্তু গুরু পাপের জন্য-এর চেয়ে কঠিন কোনো শাস্তি আমার মাথায় আসেনা"। বলা হয় হত্যা বা মন্দির লুটের শাস্তি যেমন ছিলো মৃত্যুদন্ড, আপেল বা সব্জি চুরির শাস্তিও ছিলো মৃত্যুদন্ড! নরহত্যার শাস্তি ব্যতীত ড্রাকোর প্রবর্তিত বাকি সব শাস্তি ৩০ বছর পর জ্ঞানী সোলন পরিবর্তন করে ফেলেন। কিন্তু ড্রাকো'র সময়ে ড্রাকো কিন্তু ছিলেন সেলিব্রেটি, কারণ তিনিই প্রথম লিখিতভাবে সবার জন্য সমান আইন প্রণয়ন করেন। এরকম একটা সময়ে ড্রাকো গিয়েছিলেন এক অনুষ্ঠানে, সবাই বিপুল করতালি (Applause) দিয়ে তাকে অভিনন্দিত করছিল। তখনকার দিনের রেওয়াজ ছিল, নিজের পরিহিত আলখাল্লা বা টুপি ছুড়ে দিয়ে ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানানো, তাই আনন্দের আতিসাজ্যে সবাই বিপুল করতালে দিয়েছিলো আর এরই সাথে ছুড়ে দিয়েছিলো বিপুল টুপি আর আলখাল্লা। হতভাগা ড্রাকো এতো টুপি ও আলখাল্লার ভার সইতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেন । ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!

ছবিঃ উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া (ড্রাকোর ছবি নয়)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৮:২২

কাশ্মীরে বন্ধুকধারীদের হামলায় ২৬ জনকে হত্যা; নেপথ্যে উগ্রবাদী মোদীর বিতর্কিত কাশ্মীর নীতি!

পেহেলগাম, ছবি গুগল থেকে প্রাপ্ত।

কাশ্মীরে অন্তত ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়েছেন, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। বিশ্লেষকদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসর্জনের ছাই

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:০৯




একদিন দগ্ধ ঘাসে ভালোবাসা পুড়িয়ে দেব।
সর্বাংগে ওর ছাই মেখে আমি বৈরাগ্য নেব।
রগড়ে রগড়ে ধুয়ে ফেলব শ্রবন মেঘের জলে।
কায়াটা কে শুকতে দেব তোমার বাড়ির উঠনে।

পায়ের নখে গজিয়ে উঠবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু আশা, কিছু হতাশা, কিছু বাস্তবতা

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯



বাংলাদেশ যেন একটা রোলার কোষ্টারে সওয়ার হয়ে চলছে এখন। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে; একটা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। আমরা সরকারের কর্মকান্ডে আশান্বিত যেমন হচ্ছি, তেমনি হতাশায়ও নিমজ্জিত হচ্ছি;... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াই=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১২


এই উষ্ণতায় ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াই নদীতে সমুদ্দুরে
বালুচরে হেঁটে বেড়াই,
ঢেউয়ে থাকি বসে, জল এসে ছুঁয়ে দিক আমায়,
হিম হাওয়া এসে ভাসিয়ে নিয়ে যাক সুখের সপ্ত আসমানে।

এই বৈশাখে ইচ্ছে করে পুকুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি শেষ কবে একটি বই পড়েছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২


আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ্ব বই দিবস। অনেকেই একে বলেন ‘বিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস’। ইউনেসকোর উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে বই, লেখক এবং কপিরাইট রক্ষার বার্তা নিয়ে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×