somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৯৭১ সালে সংঘটিত যেসব অপরাধের বিচার হওয়া জরুরী

৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। এই আহ্বান আমাদের প্রাণের দাবি হয়ে উঠেছে। আইনী বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। সাধারণত আমরা যুদ্ধাপরাধী শব্দটার সাথেই বেশি পরিচিত। তাই সাধারণ অর্থে ১৯৭১ সালে সংঘটিত সবধরনের অপরাধের অপরাধীকে যুদ্ধাপরাধী বলি। সাধারণ অর্থে বললে খুব বেশি সমস্যার কিছু দেখি না।

তবে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইনে আরো কিছু অপরাধের কথা বলেছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ এই কনসেপ্টগুলো বিচার প্রক্রিয়ার জন্য জরুরী।

আন্তর্জাতিক আইন এবং আমাদের দেশীয় আইন {দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট, ১৯৭৩} প্রতিটি অপরাধকেই সংজ্ঞায়িত করেছে। শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে না, সেই সাথে বিচার করতে হবে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অপরাধীদের, বিচার করতে হবে শান্তির বিরোদ্ধে অপরাধের অপরাধীদের। গণহত্যা যারা সংগঠিত করেছে তাদের বিচার করতে হবে। একজনের বিরোদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ করে মামলা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সহজ হবে।

১৯৭১ সালে সংঘটিত যেসব অপরাধের বিচার হওয়া জরুরী :

প্রাসঙ্গিকভাবে শুরুতেই বলে নেই ধারা ৩ এর মাধ্যমে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এসব অপরাধের বিচার করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।

১. যুদ্ধাপরাধ

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৩(২) (ঘ) অনুযায়ী-
"যুদ্ধাপরাধঃ যুদ্ধের আইন বা প্রথা ভঙ্গ করা, এতে অন্তর্ভুক্ত তবে সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বেসামরিক লোকদের হত্যা, তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ অথবা ক্রীতদাসের মতো শ্রম বা অন্য যেকোন কাজে নিয়োজিত করা; যুদ্ধবন্দী বা নাবিকদের হত্যা বা তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ করা, জিম্মী এবং বন্দীদের হত্যা করা, সরকারি এবং বেসরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকরণ, ইচ্ছাকৃতভাবে নগর, শহর বা গ্রামের ধ্বংস সাধন করা অথবা সামরিক প্রয়োজনকে ন্যায্যতা দেয় না এমন ধ্বংসযজ্ঞ করা"

যুদ্ধাপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার এই অ্যাপ্রোচটি নেওয়া হয়েছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চার্টার অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল এর অনুচ্ছেদ ৬(খ) থেকে।

Charter of the International Military Tribunal থেকে উদ্ধৃতি-
"(b) War crimes: namely, violations of the laws or customs of war. Such violations shall include, but not be limited to, murder, ill-treatment or deportation to Wave labour or for any other purpose of civilian population of or in occupied territory, murder or ill-treatment of prisoners of war or persons on the seas, killing of hostages, plunder of public or private property, wanton destruction of cities, towns or villages, or devastation not justified by military necessity"

ফোর্থ জেনেভা কনভেনশন এর আর্টিকেল ১৪৭ প্রায় একই অ্যাপ্রোচে যুদ্ধাপরাধকে সংজ্ঞায়িত করেছে।

ফোর্থ জেনেভা কনভেনশন থেকে উদ্ধৃতি-
"Art. 147. Grave breaches to which the preceding Article relates shall be those involving any of the following acts, if committed against persons or
property protected by the present Convention: wilful killing, torture or inhuman treatment, including biological experiments, wilfully causing great suffering or serious injury to body or health, unlawful deportation or transfer or unlawful confinement of a protected person, compelling a protected person to serve in the forces of a hostile Power, or wilfully depriving a protected person of the rights of fair and regular trial prescribed in the present Convention, taking of hostages and extensive destruction and appropriation of property, not justified by military necessity and carried out unlawfully and wantonly."

২. মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কনসেপ্টটি জনপ্রিয় হয়েছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৩(২) (ক) অনুযায়ী-
"মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ : যথা, হত্যা, নিশ্চিহ্ন করণ, দাসকরণ, নির্বাসিত করা, কারারুদ্ধ করণ, অপহরণ, অবরোধ, নির্যাতন, ধর্ষণ অথবা বেসামরিক নাগরিকদের উপর অন্যান্য অমানবিক কাজ পরিচালনা করা অথবা সংগঠিত হওয়ার স্থানের অভ্যন্তরীন আইন ভঙ্গ করে বা না করে রাজনৈতিক, গোত্রগত, জাতিগত অথবা ধর্মীয় কারনে অভিশংসন করা।"

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার এই অ্যাপ্রোচটি নেওয়া হয়েছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চার্টার অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল এর অনুচ্ছেদ ৬(গ) থেকে।

Charter of the International Military Tribunal থেকে উদ্ধৃতি-
"(c) Crimes against humanity: namely, murder, extermination, enslavement, deportation, and other inhumane acts committed against any civilian population, before or during the war, or persecutions on political, racial or religious grounds in execution of or in connection with any crime within the jurisdiction of the Tribunal, whether or not in violation of the domestic law of the country where perpetrated."


৩. শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৩(২) (খ) অনুযায়ী-
"শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ : যথা, আগ্রাসনমূলক যুদ্ধের পরিকল্পনা, প্রস্তুতি, সূত্রপাত করা বা লিপ্ত হওয়া অথবা আন্তর্জাতিক চুক্তি, ঐক্যমত্য বা নিশ্চয়তাসমূহের লঙ্ঘন করে যুদ্ধ করা;"

শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করার এই অ্যাপ্রোচটি নেওয়া হয়েছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চার্টার অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল এর অনুচ্ছেদ ৬(ক) থেকে।

Charter of the International Military Tribunal থেকে উদ্ধৃতি-
"(a) Crimes against peace: namely, planning, preparation, initiation or waging of a war of aggression, or a war in violation of international treaties, agreements or assurances, or participation in a common plan or conspiracy for the accomplishment of any of the foregoing"


৪. গণহত্যা

দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৩(২) (গ) অনুযায়ী-
গণহত্যাঃ কোন জাতীয়, গোত্রগত, গোষ্ঠীগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত যেকোন কাজ, অংশত বা পূর্ণত সংগঠিত করা বুঝাবে এবং অন্তভূক্ত হবে, যেমনঃ

১) দলের সদস্যদের হত্যা করা;

২) দলের সদস্যদের দৈহিক বা মানসিক দিক থেকে গুরুতর ক্ষতি করা;

৩) ইচ্ছাকৃতভাবে আংশিক বা পূর্ণভাবে দৈহিক ধ্বংস সাধনের পরিকল্পনা করে দলীয় জীবনে আঘাত হানা;

৪) দলের মধ্যে জন্মরোধ করার লক্ষ্যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ;

৫) এক দলের শিশুদের জোরপূর্বক অন্য দলে স্থানান্তর করা;

গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করার এই অ্যাপ্রোচটি নেওয়া হয়েছে Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide এর অনুচ্ছেদ ২ থেকে।

Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide থেকে উদ্ধৃতি-
"In the present Convention, genocide means any of the following acts committed with intent to destroy, in whole or in part, a national, ethnical, racial or religious group, as such:

(a) Killing members of the group;

(b) Causing serious bodily or mental harm to members of the group;

(c) Deliberately inflicting on the group conditions of life calculated to bring about its physical destruction in whole or in part;

(d) Imposing measures intended to prevent births within the group;

(e) Forcibly transferring children of the group to another group. "

সুতরাং বাংলাদেশ অপরাধের সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো কিছু করে নি। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে।

আরো যেসকল অপরাধের বিচারের কথা বলা হয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) অ্যাক্ট ১৯৭৩ এ সেগুলো হলো-

ঙ) ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনে বর্ণিত সামরিক সংঘর্ষে প্রয়োগযোগ্য যেকোন মানবিক বিধিমালার লঙ্ঘন;

চ) আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অন্য যেকোন অপরাধ;

ছ) এরকম অপরাধ সংগঠন করার জন্য ষড়যন্ত্র এবং সহায়তা করা;

জ) এ ধরণের অপরাধ ঘটন রোধ করতে ব্যর্থ করা বা এর সাথে সহযোগিতা করা।

(ছ) অংশের সহায়তা করা এবং (জ) অংশের সহযোগিতা করা শব্দগুলো বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।



নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ : একটি প্রস্তাবনা


প্রাসঙ্গিকভাবে একটা বিষয়ের উল্লেখ করতে চাই। আমাদের (বাংলাদেশের) উচিত "ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট উইমেন" অর্থাৎ "নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ" নামের নতুন একটি কনসেপ্টকে সংজ্ঞায়িত করে তার অপরাধীদের বিচার করা।

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো "ধর্ষণ" কে মানবতার বিরোদ্ধে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে। বাংলাদেশের এই অ্যাপ্রোচকে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট বিষয়)।
ধর্ষণ সহ নারীকে যুদ্ধক্যাম্পে আটকে রাখা, শারীরিক এবং মানসিকভাবে আক্রান্ত করা, ঠিকমতো খাবার না দেওয়া, পরিধেয় কাপড়ের ব্যবস্থা না করা এসবই হতে পারে নারীর বিরোদ্ধে অপরাধ।
যুদ্ধক্যাম্পে আটকে রেখে দিনের পর দিন অনাহারে রেখে রেখে, পরিধেয় কাপড় কেড়ে নিয়ে নারীদের উপর মানসিকভাবে এবং শারীরিকভাবে যে অত্যাচার করা হয়েছে তার কঠিন বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আইনগতভাবে "নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ" কনসেপ্টটাকে গ্রহণ করা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৩:০৫
১৩৭টি মন্তব্য ১৩৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×