somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খালেদা জিয়া ইতিহাস বিকৃতিতে নামছেন কেন?

২৫ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


‘যোগ্য পুত্র’-এর পথেই হাঁটছেন ‘যোগ্য মাতা’। যদি তা না হয়, তবে সার্কিট পূর্ণ হবে কিভাবে! ভবিতব্যের পথে যেতে হবে না! প্রবাদ বলে, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। অল্প বিদ্যা! ছোটবেলার কোনো গণ্ডমূর্খ কোনো মতে ম্যাট্রিক পাস করে যদি হাবভাবে নিজেকে জাহির করতে যেত; তবে আমরা মজা করে বলতাম, ডিগ্রি হচ্ছে টি.টি.এম.পি অর্থাৎ টেনে টুনে ম্যাট্রিক পাস। পুত্র তেমন ডিগ্রিপ্রাপ্ত। আর মাতা ওই ডিগ্রির কাছেও পৌঁছাতে পারে নি। এমন যাদের ডিগ্রি, ইতিহাস সম্পর্কে তারা কতটুকু যোগ্য তা সহজেই অনুমেয়। বিদ্যার এই জাহাজের মধ্যে যদি থাকে প্রচণ্ড লোভ ও প্রতিহিংসা, তবে তা হয় সোনায় সোহাগা। লোভ ও প্রতিহিংসাজাত নিজ স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য তখন ভয়ঙ্কররা দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য ‘আপসহীন’ হয়ে ওঠে। ভয়ঙ্কর হওয়াটা তখন পৌঁছে চরমে। বলাই বাহুল্য, এই ধরনের গণ্ডমূর্খ, অতি লোভী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা যত থাকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের উচ্চাসনে, ততই তা প্রকাশিত হয় তত সর্বনাশা রূপ নিয়ে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে এবং আরো হবে বলে ধারণা করা চলে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা মানবজাতির ইতিহাসে এক মহান দিন। এই দিনে অহিংসার বাণীর পথিকৃত গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ, বোধিসত্ত্ব লাভ এবং মৃত্যুবরণ করেন। লোভ-লালসা, হিংসা-দ্বেষ, দ্ব›দ্ব-সংঘাতে আমাদের দেশসহ সমগ্র বিশ্ব যখন রক্তাপ্লুত, এত উন্নতি-অগ্রগতির মধ্যে মানবজাতির রক্তক্ষরণ যখন বন্ধ করা অসম্ভব ঠেকছে, তখন এই দিনটির তাৎপর্য আরো বেড়ে গেছে। এই মহান দিনে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন বিএনপি-জামায়াতের ২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে। প্রসঙ্গত এটাই রেওয়াজ হয়ে গেছে যে, ধর্মীয় উৎসবের সর্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক দিকটাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে যান প্রধান দলগুলোর নেতাদের কাছে। পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক অঙ্গনে টেনে আনার ফলাফল বিশেষত পলেটিক্যাল ধর্মের ব্যবহার কখনো ভালো হয় না বিবেচনায় নিয়েও বলি, দেশের বর্তমান অবস্থা ও জনগণের চেতনা বিবেচনায় এটা করা ভিন্ন বিকল্প নেই। কিন্তু ভালো করতে গিয়ে তা কতটা মন্দে রূপ নিতে পারে, তা করে দেখালেন খালেদা জিয়া।
স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করে খালেদা জিয়া বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধিদের বলেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের দল নয়। মিথ্যা ও ঔদ্ধত্যের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে তিনি আরো বলেন যে, জিয়াউর রহমান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানে ছিলেন আরাম-আয়েশে। তিনি আরো বলেন, ‘যার স্বাধীনতা ঘোষণা করার কথা ছিল, তিনি তো পাইপ-টাইপ নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তানে। সেখানে আরামেই দিন কাটালো।’
প্রবাদ বলে, পাগলে কি না বলে। পাগলের কথা ও কর্মকাণ্ড ধর্তব্যের মধ্যে নেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু খালেদা জিয়া তো আর পাগল নয়, ‘পাগল ও শিশু’ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের নেত্রী। তার রয়েছে ২০ দলীয় জোট এবং মতান্ধ সংকীর্ণ বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন সমর্থক। দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। রয়েছে পাকিস্তানসহ বিদেশি প্রভুও। সাম্প্রতিক সময়ে দুইবার তিনি গৃহযুদ্ধ বাধানোর হীন উদ্দেশ্য নিয়ে দেশকে পেট্রলবোমা দিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে উদ্যত হয়েছিলেন। এমন একজন যদি হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ইতিহাসের চরম বিকৃতি করে, তবে অন্ধদের ওপর এর প্রভাব সহজেই অনুমান করা চলে। প্রবাদ বলে, সব শিয়ালের এক রা। শিয়ালের দলপতি যদি ‘হুয়াক্কা হুয়া’ রব তোলে, তবে তা বেড়ে চলতেই থাকে।
এই বিবেচনায়ই এই বিকৃত ইতিহাসের মুখোশ উন্মোচনে সত্য ও প্রকৃত ইতিহাসের চর্বিত চর্বন একান্ত আবশ্যক। কেননা আমাদের সমাজ ও রাজনীতি এমনই যে, মিথ্যা ও বিকৃত ইতিহাসের পেছনেও মানুষকে ছুটতে দেখা যায়। তবে এই কলামের উদ্দেশ্য তা নয়। কলামটি লেখা হচ্ছে এই জন্য যে, বর্তমানে বিএনপি দলটি যখন বিপর্যয়ে পড়ে বিধ্বস্ত অবস্থায়, তখন খালেদা জিয়া পুত্র তারেক জিয়ার পথ ধরে ইতিহাসকে এমন ডাহা বিকৃতির মধ্যে টেনে নামাতে গেলেন কেন? এই কেন এর উত্তর খুঁজে যদি ব্যবস্থা নেয়া না হয়, তবে লোভ-লালসা ও প্রতিহিংসাজাত দেশি-বিদেশি কায়েমি স্বার্থের বিরুদ্ধে জনগণের লড়াইকে ইস্পিত লক্ষাভিমুখী পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এই দিক বিবেচনায় নিয়েই উল্লিখিত কেন এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা এই ক্ষুদ্র কলামে করা হলো।
প্রথমত. একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ক্রমেই খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, বিএনপি, ২০ দলীয় জোট দেশবাসীর পক্ষে জাতীয় রাজনীতিতে পজেটিভ কোনো ভূমিকা রাখতে না পারায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। জাতির জন্য মঙ্গলজনক ও ভালো কিছুতে বিএনপির নাম উচ্চারণ হচ্ছে না। সমাজ ও রাষ্ট্র জীবনে ভালো কিছু দিতে আর দলটি পারছে না এবং আর পারবে বলেও কেউ মনে করছে না। খারাপ যা কিছু হচ্ছে, তার মধ্যে বিএনপির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। মানুষ তাদের গুপ্তহত্যা-খুন থেকে শুরু করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি তথা মন্দ সব কিছুতে সন্দেহ বা অভিযুক্ত করছে। মন্দের ঘুরপাকে যে পূর্বাপর নিমজ্জিত সে কি ভালো পরিবেশ চাইতে পারে। পানি ঘোলা করাই তো হবে এর উদ্দেশ্য। চোর কখনো কি চায় পূর্ণিমার আলো! চাইবে অমাবস্যার নিকষ কালো অন্ধকার। বলাই বাহুল্য, অন্ধকারকে আরো ঘোর করার জন্যই ইতিহাসকে মিথ্যা ও বিকৃত করে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টায় মেতেছেন খালেদা জিয়া।
দ্বিতীয়ত. এমন সব মিথ্যা ও বিকৃত কথা না বলে কি বলবেন খালেদা জিয়া। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, হাওয়া ভবন ও বিএনপি-জামায়াতের অপশাসন-দুঃশাসন-লুণ্ঠনের প্রেক্ষাপটে ১/১১-এর জরুরি আইনের শাসন এবং সবশেষে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ভেতর দিয়ে খালেদা জিয়া যখন নিজ কর্মফলেই ‘স্বর্গ থেকে বিদায়’ সম্পন্ন করলেন অর্থাৎ সিংহাসন হারালেন; তখন তিনি আন্দোলন করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলের সরকার উৎখাতের কথা বলতে থাকলেন। এক পর্যায়ে তারিখ পর্যন্ত দিতে থাকলেন। পরবর্তীতে সরকার উৎখাতের তারিখ দিয়ে পেট্রলবোমা নিয়ে ক্যাডার সন্ত্রাসীদের মাঠেও নামালেন। কিন্তু সবটাই হলো বুমেরাং। ফলে এখন বলবেনটা কী! সংগঠন টিকিয়ে রাজনৈতিকভাবে মাঠে থাকতে হলে তো কিছু বলতে হবে।
ইতিহাসকে যথার্থভাবে তুলে ধরে কি বিএনপি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিকভাবে মাঠে থাকতে পারে! পারে না; কারণ জন্মই যে হয়েছে দলটির বেআইনিভাবে অন্ধগলির ইতিহাসের আঁতুড় ঘরে। অন্ধকার যদি করতে হয়, তবে সার্বিক অন্ধকারই হোক, এটাই এখন বিএনপি সব দিক থেকে চাইছে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যার অন্ধকার সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে। সুদূরপ্রসারী হীন লক্ষ্য হচ্ছে এই যে, যদি কখনো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের মাধ্যমে পুনরায় স্বর্গে প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়; তবে আগের মতো আধাখেঁচড়া নয়, পাকিস্তান যেমন চায় ঠিক তেমন খোলনলচে পরিবর্তন করা যাবে ইতিহাসের আর সেই সঙ্গে দেশেরও। এ থেকেই অনুধাবন করা যায়, কতটা এসপার ওসপার করতে নেমেছেন জামায়াতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া।
তৃতীয়ত. এটা কি বুঝে নেয়া যায় না যে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে কালো গহŸরে ছিলেন খালেদা জিয়া, তা আড়াল করার একটা অদম্য ইচ্ছা রয়েছে এই ইতিহাস বিকৃতির মধ্যে। মানুষ সব সময়েই নিজের মতো করে সবাইকে দেখতে চায়। অন্ধরা বাদে এটা আজ সর্বজনস্বীকৃত যে, খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন আরাম-আয়েশে। পাকিস্তানি আর্মির অফিসার হিসেবে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্রশস্ত্র নামাতে গিয়ে স্বামী জিয়া বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং অনেকের পরে ও অনেকের সঙ্গে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে ভাষণও দেন। স্বাভাবিকভাবেই সেক্টর কমান্ডার জিয়া ভারতে গিয়ে গৃহবধু স্ত্রীকে খবর পাঠান এবং ব্যবস্থাও করেন নিরাপদে ভারতে চলে যাওয়ার। কিন্তু যান নি খালেদা জিয়া। এ জন্য পাকিস্তানি জেনারেলের মৃত্যুর পর তিনি শোকাহত হয়ে কালো কাপড় পর্যন্ত পরেছিলেন। সুদীর্ঘ সময় বিএনপির অবস্থা যখন ছিল জামায়াতকে নিয়ে রমরমা, তখন এর সবই খালেদা জিয়া স্থ’ূলভাবে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু এখন বিপর্যয়ে পড়া খালেদা জিয়ার কাছে ওইসব অপবাদ বোঝাস্বরূপ। ওই বোঝাকে আড়াল বা চাপা দেয়ার জন্যই এখন বঙ্গবন্ধুর আরাম-আয়েশের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে। প্রসঙ্গত মানবিক দিক থেকে খালেদা জিয়া যে নিষ্ঠুর ও জিঘাংসাপরায়ণ তা প্রমাণ রেখেছিলেন, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করে। ইতিহাসের প্রতিও কতটা নিষ্ঠুর ও জিঘাংসাপরায়ণ হতে পারেন খালেদা জিয়া এটাও উল্লিখিত বিকৃতির মধ্য দিয়ে প্রমাণ রাখলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দুই দুইবার যে অবিসংবাদিত নেতা দেশ ও দশের মুক্তির লক্ষ্যে ফাঁসি কষ্ঠের দোরগোড়ায় গিয়েছিলেন, সেই নেতাকে নিয়ে এমন মিথ্যা যিনি বলেন, তিনি নরাধম। পাঠকরা মাপ করবেন, নরকের কীট শব্দটাই এখন কেবল মনে পড়ছে।
চতুর্থত. কেন যেন মনে হয় খালেদা জিয়া এমন পরিস্থিতি চাচ্ছেন, যাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। এমনটা হলে ‘আপসহীন’ কথাটা আবার সামনে আনা যাবে এবং অস্থির-অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিরও পরিবেশ পাওয়া যাবে। এটা তো সর্বজনস্বীকৃত যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এমন কথা বলা সংবিধান ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমনিতেই তিনি আছেন নানা দুর্নীতির মামলায়। এতে তিনি এক সময় জেলেও যেতে পারেন। বলুন তো পাঠকরা, কোনটাতে জেলে গেলে খালেদার লাভ। নিঃসন্দেহে দুর্নীতির মামলায় নয়, রাজনৈতিক মামলায় জেলে যাওয়াই তার হীন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শ্রেয়তর। এতে দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তির সাপোর্ট পাওয়া যাবে সহজে এবং ভুল ইতিহাসে মাঠও গরম করা যাবে। দুর্নীতিকে করা যাবে রাজনীতিতে ট্রান্সফার। ফৌজদারি মামলাকে রাজনৈতিক মামলায়। খালেদা জিয়ার পরামর্শক দেশি-বিদেশি মাস্টারমাইন্ডরা সুকৌশলী বটে! তবে সংবিধান ও আইনকে পাশ কাটিয়ে যে যাওয়ার উপায় নেই এবং তাতে যে শাস্তি পেতে হবে, এটা বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রীকে অনুধাবন করতেই হবে।
আইন যাই থাকুক, যেভাবেই খালেদা জিয়া অগ্রসর হোক না কেন, জনতার আদালতে এসব উক্তি ও এতদ্সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য খালেদা জিয়া কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আছেন। জনতার আদালতের বিচারে খালেদার শাস্তি হচ্ছে ও হতেই থাকবে। প্রবাদ বলে, প্রদীপ নেভার আগে জ্বলে বেশি। ক্ষমতা হাতছাড়া হতে থাকায় তিনি জ্বলছেন এবং নিজের আগুনে দেশ ও মানুষকে জ্বালিয়ে মারতে চাইছেন। কিছুদিন আগেও খালেদা জিয়া পাকিস্তানের মুসলিম লীগের মতো ‘ভারত’ জুজু দেখিয়ে মানুষকে মাত করতে চাইতেন। এখন সেই পথ খালেদা জিয়ার জন্য বন্ধ। এখন আছে পাকিস্তান আমলের মতোই কেবল ধর্মের জুজু। এটাও ভোঁতা হতে বসেছে। মানুষ বলে, খালেদার জীবনাচরণ ধর্মের সঙ্গে যায় না। আর ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারায় জাতিকে আর সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে অনেক মূল্য দিতে হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্ম যাবে, এটাও মিথ্যা প্রমাণিত হতে বসেছে। এই অবস্থায় বিএনপির দীপ নিভে যাওয়া ছাড়া আর উপায় আছে কী!
সূত্র
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:৫০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ট্রাম্প ভাইয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের সদস্য এর মধ্যে এই তিন জন সদস্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লিখেছেন অতনু কুমার সেন , ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৮

প্রথম জন হলো: জেডি ভান্স, উনি মেবি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। ভদ্রলোকের বউ আবার ইন্ডিয়ান হিন্দু। ওনার নাম উষা ভান্স। পেশায় তিনি একজন অ্যাডভোকেট।

দ্বিতীয় জন হলো বিবেক রামাস্বামী। এই ভদ্রলোক আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০২



বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসল 'আয়না ঘর' থাকতে রেপ্লিকা 'আয়না ঘর ' তৈরির প্রয়োজন নেই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৮


স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ৫ই আগস্ট সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় নেমে এসে। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসন আমলে অসংখ্য মানুষ কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি হাজার কথা বলে

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৫৩

আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯






ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×